আশিস গুপ্ত, নয়াদিল্লি: পদ্মাবত ছবি মুক্তির প্রতিবাদে ভারতের গুজরাটে মঙ্গলবার রাতভর তান্ডব চালিয়েছে রাজপুতরা।
গুজরাটের আমেদাবাদে কমপক্ষে ২০০টি গাড়ি ও ৮টি দোকান ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়েছে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫০টির বেশি যানবাহন। শহরের যে পাঁচটি মাল্টিপ্লেক্সে 'পদ্মাবত' মুক্তি পাওয়ার কথা সেখানে হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র বিক্ষোভকারীরা।
বৃহস্পতিবার গোটা দেশে মুক্তি পাচ্ছে পদ্মাবত । সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে সারা দেশেই মুক্তি পাবে ছবিটি। কিন্তু রাজপুত কর্ণী সেনা তা কিছুতেই মানতে চাইছে না। সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা খাওয়ার পর এবার বিক্ষোভ, ভাঙচুরে মেতেছে তারা।
তিনদিন আগেই গুজরাটের আমেদাবাদে একটি মলে ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে মেমনগরের একটি মল ও সিনেমা হলে আবার ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে ‘পদ্মাবত' বিরোধী কট্টরপন্থীরা। হামলাকারীদের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মলটি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে শূন্যে গুলি চালাতে হয়। অবশ্য মলের ম্যানেজার রাকেশ মেহতা জানিয়েছেন, ‘আমাদের এখানে পদ্মাবত প্রদর্শন করা হবে না বলেই পোস্টার দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও হামলা হয়েছে।’
তবে এটা ঠিক যে অনেক হল মালিকই পদ্মাবত ছবি প্রদর্শনে রাজি নয়। মঙ্গলবারের ঘটনা জানান দিচ্ছে পদ্মাবত মুক্তি পেলে কী ধরণের হামলা চালাতে পারে কট্টরপন্থীরা। তাই বিভিন্ন সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ নিজেদের সুরক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
কর্ণী সেনা জানিয়েছে, পদ্মাবত ছবি যে মলে প্রদর্শিত হবে সেখানেই প্রবল বিক্ষোভ দেখানো হবে। রাজস্থানের কট্টরপন্থীরা আবার একধাপ এগিয়ে বলেছেন, ছবি মুক্তি পেলেই গায়ে আগুন দিয়ে শতাধিক মহিলা জহরব্রত পালন করবেন।
পদ্মাবত ছবির মুক্তি আটকাতে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ সরকার। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বিজেপি শাসিত দুই রাজ্যেরই মুখ পুড়েছে। শীর্ষ আদালত একথাও জানিয়ে দিয়েছে, ছবি মুক্তির পর বিশৃঙ্খলা হলে তা রক্ষার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট রাজ্যের সরকারের।