শিরোনাম
◈ টানা দুই হা‌রের পর জ‌য়ে ফির‌লো মেসির ইন্টার মায়ামি ◈ করমর্দন বিতর্কে সুনীল গাভাস্কার - ক্রীড়া এবং রাজনীতি কখনোই আলাদা ছিল না  ◈ সীমানা পুনর্নিধারণ নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে নির্বাচন কমিশন ◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে গঠনমূলক ও ভবিষ্যতমুখী: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ আইসিসির শাস্তির ভ‌য়ে এশিয়া কাপ বয়কট কর‌ছে না পাকিস্তান ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ২৪ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৭:০৬ সকাল
আপডেট : ২৪ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৭:০৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আপনি জানেন? মিথ্যা সাক্ষী দিলে কি হয়?

ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ : মিথ্যা সাক্ষ্য দিলে মুক্তি ও কল্যাণ লাভের সব পথ চিররুদ্ধ করে দেওয়া হয়। এমন ব্যক্তির কোনো কাজ আল্লাহর দরবারে গ্রহণযোগ্য হয় না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও কাজ পরিত্যাগ করতে পারল না, তার রোজা রেখে পানাহার বর্জনে আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬০৫৭)
ইসলামের দৃষ্টিতে মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া জঘন্যতম গুনাহর কাজ। একবার রাসুলুল্লাহ (সা.) হেলান দিয়ে বসে ছিলেন। এই অবস্থায় তিনি সাহাবাদের বলেন, কবিরা গুনাহ সম্পর্কে কি আমি তোমাদের বলব? সাহাবারা বলল, হে আল্লাহর রাসুল, বলুন। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, অন্যতম কবিরা গুনাহ হলো, কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করা (শিরক করা), মাতা-পিতার অবাধ্য হওয়া। এ কথা বলে নবী করিম (সা.) সোজা হয়ে বসেছেন এবং বলেছেন, মিথ্যা সাক্ষী দেওয়া। এ কথা তিনি তিনবার বলেছেন। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৬৫৪)

কেউ কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করলে তা অভিযোগকারীর জাহান্নামে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট। আবু জর গিফারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করল, সে যেন নিজের ঠিকানা জাহান্নামে বানিয়ে নিল। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৫০৮)

কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য ও অপবাদ রটনার মাধ্যমে ওই ব্যক্তির ওপর জুলুম করা হয়। আর জুলুমের কারণে সমাজ ও রাষ্ট্রে ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দেয়। এ বিপর্যয় কোনো বিশেষ গোষ্ঠী বা ব্যক্তির ওপর আসে না, বরং সবাই এর ভুক্তভোগী হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) মুসলমানদের মজলুমের বদদোয়া থেকে বেঁচে থাকার জন্য সতর্ক করেছেন। কেননা আল্লাহ তাআলা মজলুমের দোয়া কখনো ফেরত দেন না। পবিত্র কুরআনে ইরশাদ হয়েছে, আর তোমরা ভয় করো ফিতনাকে, যা তোমাদের মধ্য থেকে শুধু জালিমদের ওপরই আপতিত হবে না (সবার ওপর আসবে)। আর জেনে রেখো, নিশ্চয় আল্লাহ আজাব দেওয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠোর। (সুরা : আনফাল, আয়াত : ২৫)

মানুষের জীবন দুনিয়ায়ই শেষ নয়। পরকালের অনন্ত জীবনই মানুষের প্রকৃত ও আসল জীবন। সেখানেই তাকে চিরকাল অবস্থান করতে হবে। সত্য চিরস্থায়ী। আর অপবাদ সব সময় ক্ষণস্থায়ী। এর স্থায়িত্ব একেবারে সাময়িক। এর পরিণতি অত্যন্ত ভয়াবহ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘দেখো, তারা কিভাবে মিথ্যা বলেছে নিজেদের সম্পর্কে, তারা যে মিথ্যা রটনা করত, (পরকালে) তা তাদের কাছ থেকে হারিয়ে গেল।’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ২৪

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়