মাইকেল : গুহা শব্দটি শুনলেই আমাদের মাথায় আদিম মানুষের কথা আসে। কারণ আদিম মানুষের বসবাস ছিল গুহায়। কিন্তু পানির নিচেও যে গুহা আছে তা অনেকের কাছে অজানা। প্রত্নতত্ববিদ ও ডুবুরিদের কাছে পানির নিচের গুহা গবেষণার একটি বড় রসদ। আর গবেষণা করতে গিয়েই তারা নতুন একটি গুহার সন্ধান পেয়েছে। প্রত্নতত্ত্ববিদরা দাবি করছে এটা পানির নিচের সবচেয়ে বড় গুহা।
বিশ্বের বৃহত্তম এই গুহার সন্ধান পাওয়া গেছে মেক্সিকোর উপসাগরীয় অঞ্চল ইউকাটান পেনিনসুলায়। গুহাটি ২১৬ মাইল দীর্ঘ। এর অবস্থান থেকে গবেষকরা ধারণা করছেন, এখানে মেক্সিকান প্রাচীন মায়ান সভ্যতার গুপ্তধনও থাকতে পারে।
মায়ান সভ্যতার কথা চিন্তা করে মেক্সিকোর এই উপসাগরে ডুবুরিরা দীর্ঘদিন তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। আর তাদের নির্দেশনা দিচ্ছিলেন পানির নিচে প্রত্নতত্ত্ব নিয়ে কাজ করে এমন কিছু প্রত্নতত্ববিদ। অনুসন্ধান অনুযায়ী, নতুন এই গুহাটি পানির নিচে দুটি গুহার মাঝামাঝি অবস্থান করছে। নতুন এই গুহার নাম দেওয়া হয়েছে স্যাক অ্যাকটন।
প্রত্নতত্ববিদরা মনে করছে, মেক্সিকোতে এমন আরও অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে। আর তার মধ্যে পেনিনসুলার নাম আলাদা করে বলতেই হবে। সেই রহস্য উন্মোচনে কাজ করছে গ্রেট মায়া অ্যাকুইফার প্রজেক্ট (জিএএম) টিম। একটানা কাজ করার সুবিধার্থে দীর্ঘদিন পেনিনসুলায় পানির নিচে বসবাস করছেন দলের সদস্যরা।
নতুন এই গুহা আবিষ্কার সেই পরিশ্রমের বড় অর্জন বলে মনে করছেন তারা। এটি পানির নিচে অবস্থিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গুহার পাশাপাশি অন্যতম সমৃদ্ধ প্রত্নতত্ত্বের খনি হবে বলেও আশা করছেন অনুসন্ধানকারীরা।
জিএমএম-এর ডিরেক্টর বলেন, আমরা এর আগে প্রাচীন আমেরিকার বাসিন্দাদের ইতিহাস খুঁজে বের করেছি। একই পদ্ধতি ব্যবহার করে নতুন এই গুহার সন্ধান মিলেছে। সূত্র : বাংলা ইনসাইডার এবং এএফপি