সান্দ্রা নন্দিনী : মেক্সিকোর পুরাতত্ত্ব বিভাগ পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রগুহার সন্ধান পেয়েছে। ‘গ্রেট মায়া অ্যাক্যুফার প্রজেক্ট’ বা ‘জিএএম’ টিম কয়েকবছর ধরে মেক্সিকোর ইউকুতান উপদ্বীপে অনুসন্ধান চালায়। অবশেষে ‘স্যাক অকতান’ ও ‘দোস ওজোস’ নামের জলগুহা দু’টি অমিলিত অবস্থায় আবিস্কার করে। তাদের এই আবিস্কার বিশ্বের তালিকায় আরেকটি অবিশ্বাস্য পুরাতাত্ত্বিক স্থান যুক্ত করলো। এর মাধ্যমে মায়া সভ্যতার সময়ের নানা কাহিনী ও রীতি-নীতি সম্পর্কে অনেক তথ্য জানা যাবে।
‘স্যাক অকতান’ গুহাটি ‘দোস ওজোস’ গুহার সাথে মিলিত হয়ে দীর্ঘতম জলগুহার সৃষ্টি করেছে। জলগুহার নিয়ম অনুযায়ী বড় গুহাটি ছোটটিকে গ্রাস করে। এ নিয়মের আওতায় পৃথিবীর দীর্ঘতম এ জলগুহাটির নামকরণ হয়েছে তুলনামূলক দীর্ঘ গুহা ‘স্যাক অকতান’র নামে।
দীর্ঘতম এ সমুদ্রগুহাটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৩৪৭ কিলোমিটার। আবিস্কারকদের পরবর্তী লক্ষ্য হল, এই সমুদ্রগুহার সাথে স্থানীয় আরও ৩টি জলগুহার মেলবন্ধন ঘটানো এবং গুহাটির জলধারার গুণগতমান ও জীব-বৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা। এছাড়া, সমুদ্রগুহাটির অবস্থান সনাক্তের সুবিধার্থে একটি মানচিত্রও প্রস্তুতের পরিকল্পনা তাদের রয়েছে। সিএনএন
মেক্সিকোর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যানথ্রোপলোজি অ্যান্ড হিস্ট্রি বিভাগের পরিচালক ও গবেষক গুলামো দো আনদা বলেন, এই আবিস্কারের সূত্র ধরে আমরা আমেরিকার প্রথম অভিবাসীদের বিষয়ে, বিলুপ্ত জীববৈচিত্র্য এবং বিশেষ করে মায়া সভ্যতা নিয়ে তথ্য-প্রমাণসংগ্রহ করেছি। প্রসঙ্গত, মায়া সভ্যতায় গুহার মাধ্যমে তাদের দেবতাদের যোগাযোগের উল্লেখ রয়েছে। সিএনএন
আপনার মতামত লিখুন :