ডেস্ক রিপোর্ট: পেঁয়াজের দাম ‘স্বাভাবিক’ কমেছে চালেরও: তোফায়েল
চাল এবং পেয়াঁজের বাড়তি দাম কমে এখন স্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে দাবি করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
সোমবার সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ এই দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘সরকারের উদ্যোগ ও দেশে নতুন পেঁয়াজের উৎপাদন শুরু হওয়ায় স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজের মূল্য কমে স্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছেছে।’
চালের দামের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘চালের দাম বেড়েছিল। কারণ উত্তরাঞ্চল ও হাওরাঞ্চলে বন্যায় ফসলহানি হয়েছিল। মৌসুম এলেও দাম কমেনি, এটা ঠিক নয়।’
চলতি বছর হাওর এবং উত্তরাঞ্চলে বন্যার কারণে চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকা এবং চিকন চাল ৭০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
তবে সম্প্রতি আমদানি বাড়ার পর দাম কিছুটা কমে আসলেও এখনও তা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক বেশি।
বাজার তদারকিতে সরকারি সংস্থা টিসিবির হিসাবে এখন দেশে চালের দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৫ শতাংশেরও বেশি। আবার গত এক মাসে চালের দাম কমেনি এতটুকু।
তবে বাণিজ্যমন্ত্রীর পরখাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামও দাবি করেছেন, চালের দাম প্রতি কেজিতে ৪ থেকে ৭ টাকা কমেছে এবং আটার দাম সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে।
এর আগে পেঁয়াজের দাম নিয়েও কথা বলেন তোফায়ে। তার দাবি পেঁয়াজ এখন কেজি প্রতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
চলতি বছর যে দুটি পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়েছে তার মধ্যে পেঁয়াজ একটি।
নভেম্বর-ডিসেম্বরে এই পণ্যটির দাম নিয়ে নিত্য সংবাদ প্রকাশ হয়েছে গণমাধ্যমে। এক পর্যায়ে দাম কেজিতে ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
তবে আমদানি বাড়া এবং দেশীয় পেঁয়াজ বাজারে চলে আসায় দাম কমে এসেছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
টিসিবির হিসাব অনুযায়ী, সোমবার ঢাকার বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭৫ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছিল। গত এক সপ্তাহে দাম কমেছে ৩১ শতাংশ। তবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পণ্যটির দাম প্রায় দ্বিগুণ। নিউজ24