শিরোনাম
◈ সরকার চোরাবালির ওপর দাঁড়িয়ে, পতন অনিবার্য: রিজভী  ◈ সরকারের বিরুদ্ধে অবিরাম নালিশের রাজনীতি করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের ◈ বুশরা বিবিকে ‘টয়লেট ক্লিনার’ মেশানো খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ ইমরানের ◈ প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ ◈ গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ছাড়াল ◈ পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার ২৭ বস্তা টাকা, গণনা চলছে ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী

প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৭:৫২ সকাল
আপডেট : ১৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৭:৫২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এত কাছে!

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ৩ নম্বর গেট থেকে সাড়ে তিন মিনিটের হাঁটা পথ। গুগল ম্যাপ অনুযায়ী দূরত্ব সাড়ে ৪শ’ মিটার। এ দূরত্বেই গড়ে উঠেছিল জঙ্গি আস্তানা। তবে এলিট ফোর্স র‌্যাবের হানায় এ আস্তানাতেই মৃত্যু ঘটেছে তিন জঙ্গির। প্রাথমিকভাবে নিহত তিন জঙ্গির দুইজনের নাম জানাতে পেরেছে র‌্যাব। একজনের নাম জাহিদ, অন্যজনের নাম সজিব।

নিহত অন্যজনের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। তিন তরুণেরই বয়স আনুমানিক ২৫ থেকে ২৮। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা দু’টি জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে র‌্যাব দু’টি নাম জানিয়েছে। তবে দুটো পরিচয়পত্রেই রয়েছে একই ব্যক্তির ছবি। এ কারণে জাতীয় পরিচয়পত্র দু’টি সঠিক না ভুয়া- তা নিয়ে সংশয়ে র‌্যাব।

১৩/১ পশ্চিম নাখালপাড়া। ছয়তলা ভবনের রুবি ভিলা। রুবি ভিলার দু’টি বাড়ির পরই পুরনো এমপি হোস্টেলের সীমানা প্রাচীর। রয়েছে বিমানবাহিনীর মেসসহ সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসিক কোয়ার্টার। এমন স্পর্শকাতর একটি স্থানে টানা ১২ ঘণ্টা ২০ মিনিটের অভিযান চালিয়ে জঙ্গি আস্তানার মূল উৎপাটন করে র‌্যাব। ঘটনাস্থল থেকে র‌্যাব ২টি পিস্তল, ৩টি গ্রেনেড, ৩টি সুইসাইডাল ভেস্ট ও বিপুল পরিমাণ পাওয়ার জেল উদ্ধার করে।

রুবি ভিলা ভবনের মালিক শাহ মোহাম্মদ সাব্বির হোসেন (৫৫)। তিনি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একজন ফ্লাইট স্টুয়াট। অভিযানের সময় তিনি বাসায় ছিলেন না। র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিহত তিন জঙ্গিই জেএমবির সদস্য। দেশের গুরুত্বপূর্ণস্থানে হামলার ছক ছিল তাদের। তবে সফল অভিযানের মাধ্যমে তাদের সেই ছক ভণ্ডুল করে দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, এর আগেও রুবি ভিলায় র‌্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে দু’বার অভিযান চালানো হয়েছিল। তখন সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করা হলেও প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

ঘটনাস্থল ও র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে তেজগাঁও থানাধীন পশ্চিম নাখালপাড়ার ১৩/১ নম্বর ‘রুবি ভিলা’ নামের ৬ তলা বাড়িটি ঘিরে ফেলে র‌্যাব-৩ এর একটি দল। বাড়ির কেয়ারটেকার প্রধান গেট না খোলার কারণে র‌্যাব গেট ভাঙা শুরু করে। কিছুক্ষণ পর কেয়ারটেকার গেটটি খুলে দেয়। কেয়ারটেকার র‌্যাবকে জানায়, ঘুমে থাকার কারণে তিনি র‌্যাবের উপস্থিতি টের পাননি। বাড়ির পঞ্চম তলার ডান পাশের একটি ফ্ল্যাটে নক করলে ভেতর থেকে কোনো সাড়া দেয়া হয়নি। একপর্যায়ে র‌্যাব ওই ফ্ল্যাটের দরজা ভাঙা শুরু করে। এ সময় ভেতর থেকে গুলির শব্দ হয়। এতে ভেতরে জঙ্গি আছে- এমন সন্দেহ থেকে র‌্যাব সদস্যরা সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত নিচে নেমে আসেন। র‌্যাবের পক্ষ থেকে হ্যান্ড মাইকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য বাসার মধ্যে রেখে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। তবে র‌্যাবের কথায় সাড়া না দিয়ে জঙ্গিরা রান্না ঘরের জানালার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে উপর থেকে নিচে থাকা র‌্যাবকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তখন র‌্যাব দ্রুত বাড়ির গ্যাস লাইন ও বৈদ্যুতিক লাইন বিছিন্ন করে দেয়। এরপর র‌্যাবের সদস্যরা দ্রুত উপরে উঠে অভিযান চালায়। বাসার ফ্ল্যাটে রান্না ঘর লাগোয়া একটি কক্ষে তিন জঙ্গি নিহত হয়। খবর পেয়ে সিআইডির ক্রাইম সিনের সদস্যরা ওই বাসায় গিয়ে তিন জঙ্গির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে বিভিন্ন আলামত জব্দ করে তারা।

গতকাল সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, যে বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে ওই বাড়ির আশপাশে লোকজনের ভিড়। পুরো এলাকা ঘিরে রেখেছিল র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য সদস্যরা। অভিযানের কারণে বাড়ি থেকে অনেকেই বের হতে পারেনি। উৎসুখ মানুষের ভিড় সামলাতে র‌্যাব সদস্যদের বেগ পেতে হয়। রাস্তায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেয় র‌্যাব।

অভিযানের কারণে বাড়ির আশপাশের বাসিন্দারা আটকা পড়েন। জঙ্গি অভিযানের আতঙ্কে অনেকজন বাড়ি থেকে বের হননি। রুবি ভিলা নামে যে বাড়িটিতে অভিযান চালানো হয়েছে তার দুইটি বাড়ির পরেই রয়েছে সাবেক এমপি হোস্টেলর প্রাচীর। প্রায় সাড়ে ৫০০ গজ দূরে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ৩ নম্বর গেট। এমন একটি সংবেদনশীল বাসায় জঙ্গি আস্তানার খবর পেয়ে এলাকাবাসী বিস্মিত হন।

জানা গেছে, নিহত জাহিদ গত ২৮শে ডিসেম্বর বাড়িটির পঞ্চম তলায় বামপাশের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়েছিল। ৪ঠা জানুয়ারি জাহিদসহ তার আরো দুইজন সহযোগী নিয়ে উঠেছিল। জাহিদ অগ্রিম ২০০০ হাজার টাকা ভাড়া দিয়েছিল।

অভিযানের খবর পেয়ে র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ঘটনাস্থলে যান। তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমাদের কাছে আগে থেকেই খবর ছিল রাজধানীর কোনো এক সংবেদনশীল স্থানে জঙ্গিরা তৎপরতা চালাচ্ছে। সেই সূত্র ধরে আমাদের গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করি। একপর্যায়ে পশ্চিম নাখালপাড়ায় বাসাটিতে অভিযান চালালে তিনজঙ্গি নিহত হয়েছে। জঙ্গিরা তাদের কক্ষের চুলার ভেতরে গ্রেনেড রেখে গ্যাস ছেড়ে দিয়ে আগুন জ্বালাতে চেয়েছিল। র‌্যাবের চৌকস সদস্যদের বিচক্ষণতার কারণে তাদের সেই পরিকল্পনা নসাৎ হয়ে গেছে। তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে একটি এনআইডি এবং আরেকটি এনআইডির ফটোকপি উদ্ধার করা হয়েছে।

পরিচয় আলাদা থাকলেও ছবি দু’টোর মিল আছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে, এনআইডিটি নকল। ফিঙ্গার প্রিন্টের মাধ্যমে সেটির সত্যতা নিশ্চিত করতে পেরেছি। তিনি আরো জানান, যে ফ্ল্যাটটিতে অভিযান চালানো হয়েছে সেটি মূলত একটি মেস। রুবেল নামে এক যুবক ওই মেস পরিচালনা করে। যারা নিহত হয়েছে তারা বাড়ির মালিক ও মেসের পরিচালকের কাছে ভাড়াটিয়ার কোনো তথ্য দেয়নি। আমি রাজধানীর প্রত্যেক বাড়িওয়ালাকে অুনরোধ করবো যে, যেন প্রত্যেক ভাড়াটিয়ার সঠিক পরিচয় জেনে যেন তারা ভাড়া দেন। কাউকে সন্দেহ হলে যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়।

বাড়িটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রত্যেক তলায় দুইটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ছয়তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় বাড়ির মালিক শাহ মোহাম্মদ সাব্বির হোসেন থাকেন। পুরো বাসাটিতে মোট ৫৭ জন বসবাস করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি বাড়িটি তৈরি করেন। পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাট ও তৃতীয় তলার দুইটি ফ্ল্যাটসহ মোট ৩টি ফ্ল্যাটে মেস করে থাকতো কিছু যুবক। যাদের বেশির ভাগই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া। রুবেল নামে এক যুবক কয়েক মাস আগে পঞ্চম তলার ডান পাশের ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেন। পরে তিনি মেস হিসেবে সেটিকে পরিচালনা করেন। তিনটি ফ্ল্যাটের মেসে মোট ২১ জন সদস্য থাকতো।

অভিযান চালানো ফ্ল্যাটে রান্না ঘরের সঙ্গে লাগোয়া ৩ জন, পাশের পক্ষে ৪ জন এবং দরজার সঙ্গে লাগোয়া অন্য একটি কক্ষে আরো ২ জন থাকতো। তিনজন নিহত হওয়ার পর র‌্যাব ওই ফ্ল্যাটে বসবাসকারী ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তারা র‌্যাবকে জানিয়েছে, জাহিদ নামে যে যুবক নিহত হয়েছে সে রাতে আসতো আর সকালে বের হয়ে যেত। কোনো কথা বলতো না। তারা শুধু জাহিদকে চেনে। অন্য দুইজন কখন এসেছে তা তারা জানাতে পারেননি। জাহিদ নিজেকে তাদের কাছে একটি সিরামিক কারখানায় চাকরি করে বলে পরিচয় দিয়েছে।

বাড়ির কেয়ারটেকারও তাদের বিস্তারিত পরিচয় জানতে পারেনি। অভিযান শেষ হওয়ার পর র‌্যাব সাংবাদিকদের কক্ষটি দেখায়। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, কক্ষে একটি বিছানা রয়েছে। পাশেই রান্না ঘর। ঘরের মেঝেতে রক্ত জমাট হয়ে লেগে আছে। দেয়ালে রয়েছে লাল পাতার দুটো কালেন্ডার। রান্নাঘরের সঙ্গে থাকা জানালার গ্রিলের একটি অংশ ভাঙা। র‌্যাব জানিয়েছে, জঙ্গিরা সেখান থেকে গ্রেনেড চার্জ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

স্থানীয় ভাড়াটিয়া বাবুল দাস বলেন, রাত ২টার দিকে একটানা ৩০ মিনিট গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়ে ঘুম ভেঙে যায়। এরপর বাইরে বের হয়ে দেখি, অনেক র‌্যাব সদস্য দাঁড়িয়ে আছে। এরপর থেকে বাড়ির ভেতরে ঢুকে যাই।

আরেক বাসিন্দা হাসান আলী জানান, এই এলাকাটি আবাসিক এলাকা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, এমপি হোস্টেল থাকার কারণে এখানে প্রায় পুলিশের পক্ষ থেকে রেড দেয়া হয়। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে শুনতে পাই, র‌্যাব জঙ্গি অভিযান শুরু করেছে।

গতকাল সকালে তেজগাঁও থানা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, ২০১৬ সালের ১৪ই আগস্ট রুবি ভিলায় অভিযান চালিয়ে জঙ্গি সন্দেহে ১০ জনকে আটক করেছিল পুলিশ। কিন্তু, তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ছেড়ে দেয়া হয়। এছাড়াও ২০১৩ সালের জুলাই মাসেও র‌্যাবের পক্ষ থেকেও আরেকটি অভিযান চালানো হয়েছিল। কিন্তু, তাতেও কোনো জঙ্গি ধরা পড়েনি। তৃতীয় দফায় অভিযানের মাথায় এবার র‌্যাবের সঙ্গে গোলাগুলিতে ৩ জঙ্গি সদস্য নিহত হলো। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম বিভাগের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান গতকাল দুপুর ২টা ২০ মিনিটে জানান, অভিযান সমাপ্ত হয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের ঘটনাস্থলটি ঘুরে দেখান। তিনি জানান, শ্বাসরুদ্ধ একটি অভিযান শেষ করেছে র‌্যাব। র‌্যাবের চৌকস দল জঙ্গিদের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এলাকাটি সংবেদনশীল হওয়ার কারণে র‌্যাব অভিযান চালাতে সতর্ক ছিল। যাতে করে কোনো আশপাশের নাগরিকের জীবন ঝুঁকির মধ্যে না পড়ে।

আস্তানাটির পাশেই রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এমন একটি স্থানে জঙ্গির আস্তানা রয়েছে এটি নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি ছিল কী-না প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, অব্যশই ঝুঁকির মধ্যেই ছিল। র‌্যাবের তৎপরতার কারণে এমন একটি স্থানের জঙ্গি আস্তানার সন্ধান করে গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, আইডি কার্ডে জাহিদের বাবার নাম জোবাইর রহমান লেখা আছে। গ্রামের বাড়ি উল্লেখ করা আছে কুমিল্লায়। আর সজিবের বাবার নাম জামান হোসেন। গ্রামের বাড়ি উল্লেখ করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বাড়ির ভাড়াটিয়া জানান, তিনি একটি কল সেন্টারে কাজ করেন। রাতের ডিউটি করে এসে তিনি বাসার সামনে র‌্যাবের সদস্যদের দেখতে পান। এরপর তিনি আর বাসার মধ্যে ঢুকতে পারেননি। তিনি আরো জানান, এই বাসাটিতে প্রায় সময় পুলিশ রেড দেয়। সন্দেহভাজন হলে তাদের ধরে নিয়ে যায়। পুলিশ আতঙ্কে অনেক ভাড়াটিয়া বাড়িটি ছেড়ে চলে গেছেন। মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়