ঢাকার অ্যাপোলো হসপিটালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের বরাত দিয়ে আইরীন আহমেদ আরও জানান, বর্ষীয়ান ও প্রবীণ এই রাজনীতিকের মেরুদ-ের অনেক হাড় ক্ষয় হয়ে গেছে। প্রতি মাসে একটা করে হরমোন ইনজেকশন নিতে হবে। বয়সজনিত কারণে সার্জারি, কেমো ও রেডিও থেরাপিও দেওয়া যাচ্ছে না। যতদিন বাঁচবেন এই ইনজেকশন চালিয়ে যেতে হবে। দেশের বাইরে গেলেও একই চিকিৎসা ব্যবস্থা দিবেন চিকিৎসকেরা।
কথা বলতে অনেক কষ্ট হলেও অ্যাডভোকেট আহমেদ আলী কথা বলেছেন এ প্রতিবেদকের সঙ্গে। কারও প্রতি কোনো ক্ষোভ না থাকলেও জাতীয় ও ছাত্রলীগের রাজনীতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, এখন তো একরকম রাজনীতি নেই বললেই। আমরা স্বাধীনতার জন্য রাজনীতি করেছি, এখন যা হচ্ছে তা ব্যবসার রাজনীতি। এখন কি আর আগের ছাত্রলীগ আছে? নেই। ছাত্রলীগ এখন আদর্শিক রাজনীতিতে নেই। জাতীয় রাজনীতিতেও আদর্শ নেই। এখন রাজনীতি ব্যবসা ও ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহৃত হয়।
রাজনীতি নিয়ে হতাশা ব্যক্ত করলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রবীন এই রাজনীতিবিদ। তিনি বলেন, দেশে এখন উন্নয়নের রোডম্যাপ তৈরি হয়েছে, সেই রোডম্যাপ ধরেই এখন উন্নয়ন-অগ্রগতির দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে খুব শিগগিরই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপরিচালনা করছেন বলেই সেই সম্ভাবনা আমি দেখি।
অ্যাডভোকেট আহমেদ আলী আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। ভাষা আন্দোলনের সংগঠক। মুক্তিযুদ্ধকালীন আগরতলা যুবশিবির কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ৮ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে কুমিল্লা শত্রুমুক্ত হলে প্রথম মুক্তির বিজয়ী পতাকা উত্তোলন করেন আহমেদ আলী। সত্তরের নির্বাচনে জয়লাভ করে মেম্বার অব কনস্টিটিউশন এডমিনিস্ট্রেটর (এমসিএ) হয়েছিলেন। বৃত্তহত্তর কুমিল্লা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন। বার কাউন্সিলের প্রথম নির্বাচিত চেয়ারম্যানও হয়েছিলেন আহমেদ আলী।
প্রধানমন্ত্রীকে কাছ থেকে দেখতে চান মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ আলী: বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুব কাছ থেকে দেখার অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছেন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আহমেদ আলী, জানিয়েছেন তার ছোট মেয়ে আইরীন আহমেদ। এ প্রতিবেদককে তিনি বলেন, বাবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমাদের কাছে এটা তিনি বলেছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের কোনো চাওয়া নেই, কোনো আক্ষেপও নেই। আমরা চাই বাবা তার প্রাপ্য সম্মানটুকু পান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এসে বাবাকে দেখে গিয়ে বাবাকে সেই সম্মানটুকু দিবেন অথবা দেখা করার সুযোগ দিবেন বলে আশা করছি। আমরা চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অন্তত একবার হলেও বাবাকে দেখতে আসুন বা দেখা করার সুযোগ দিবেন।
আপনার মতামত লিখুন :