মাছুম বিল্লাহ : মালদ্বীপে প্রকাশ্যে ভারতের প্রতি শত্রুতামূলক মনোভাব প্রদর্শনের পরিপ্রেক্ষিতে নয়াদিল্লিতে উদ্বেগ বৃদ্ধি পাওয়ার পর মালে অবশেষে দিল্লি সরকারের উদ্বেগ দূর করার চেষ্টা শুরু করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। শিগগিরই দেশটিতে ভারতের একটি উচ্চপর্যায়ের সফর অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনা চলছে, যা দুই পক্ষের মধ্যে টানাপড়েন দূর করতে সহায়ক হবে।- খবর সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের মডালিটি ঠিক করার কাজ চলছে এখন এবং আগামী মাসের শুরুতে ওই সফর অনুষ্ঠিত হতে পারে।
সম্প্রতি মালদ্বীপের একটি সরকারপন্থী সংবাদপত্রে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে মুসলিম বিদ্বেষী এবং ভারতকে একটি শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন ওই পত্রিকার সম্পাদকীয় প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এটা কোনভাবেই সরকারের অবস্থান প্রকাশ করে না। তিনি ভারতকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও মিত্র হিসেবে উল্লেখ করেন।
সম্প্রতি চীনের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই করে মালদ্বীপ। মালে সরকার এখন বলছে, ভারতের সঙ্গেও একই রকম চুক্তি সই করা হবে। ভারতীয় কর্মকর্তারাও মনে করছেন যে যতটা দেখানো হচ্ছে পরিস্থিতি ততটা খারাপ নয়।
চীনের সঙ্গে এফটিএ সই ও তড়িঘড়ি তা পার্লামেন্ট অনুমোদন ছাড়াও আরো দুটি বিষয় ভারতের জন্য মনোকষ্টের কারণ। প্রথমত, মালেতে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত অখিলেশ মিত্রের সঙ্গে বৈঠক করার জন্য তিনজন স্থানীয় কাউন্সিলরকে বরখাস্ত করে মালদ্বীপ সরকার। দ্বিতীয়টি, ইয়ামিন-পন্থী সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়। এতে বলা হয় যে চীনকে নতুন ভালো বন্ধু হিসেবে খুঁজে পেয়েছে মালদ্বীপ।
তবে মালের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে ইয়ামিন সরকার কখনো ভারতের প্রতি নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে না। বরং ভারতের সহায়তা এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির জন্য অপরিহার্য।
বর্তমানে সরকার মালদ্বীপ ও ভারতের মধ্যেও একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কাজ করছে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :