ডেস্ক রিপোর্ট : আবার সামনে ভারত, গত বৃহস্পতিবার এই দলটিকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। আজ আবার একই প্রতিপক্ষকে পাচ্ছে কিশোরীরা। তবে মঞ্চটা অনেক বড়। দুপুর ২টায় কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ লড়বে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতার জন্য।
সব মিলিয়ে ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের শিরোপা দুটি। দুটিই এসেছে এএফসি আঞ্চলিক পর্ব থেকে। ২০১৫ সালে নেপালে ও ২০১৬ সালে তাজিকিস্তানে অনূর্ধ্ব-১৪ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মেয়েরা। এবার তৃতীয় শিরোপার হাতছানি, ফেভারিট কিন্তু তারাই। স্বাগতিকরা আধিপত্য দেখিয়ে এসেছে এতদূর। এর আগে সাফে রানার্সআপ হয়েছিল গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।
আর মাত্র একটি বাধা পেরোতে হবে বাংলাদেশকে। তবে প্রতিপক্ষও ফেভারিট। সাফের মূল আসরে যেই দলের কাছে হেরে গত বছর শিলিগুড়িতে শিরোপা জেতা হয়নি, তারা আবারও সামনে। এবার বাংলাদেশ আশাবাদী অনেক বেশি। অনুপ্রেরণা হিসেবে ২০০৩ সালের ঢাকায় ছেলেদের সাফ ফুটবলের শিরোপাসহ মেয়েদের অন্য দুটি বয়সভিত্তিক আসরের ট্রফি ঘুরে-ফিরে আসছে।
সাফের এই আসরে বাংলাদেশ অপরাজিত হয়ে ফাইনালে উঠে এসেছে। লিগে নেপালকে ৬-০, ভুটান ও ভারতকে ৩-০ গোলে হারানোর স্মৃতি এখনও তরতাজা। আর প্রতিপক্ষ ভারত ৩-০ গোলে ভুটানকে, নেপালকে ১০-০ গোলে হারালেও স্বাগতিকদের কাছে হেরে আত্মবিশ্বাসে খানিকটা পিছিয়ে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের কোচ গোলাম রব্বানী ও অধিনায়কতবে সর্বশেষ ওই জয়কে কেবল অতীত স্মৃতি হিসেবে দেখছেন গোলাম রব্বানী। বাংলাদেশের কোচ তার শিষ্যদের মাটিতে পা রাখতে বলছেন, ‘লক্ষ্য ছিল- প্রত্যেকটা ম্যাচ জয়ের জন্য নামবো। মেয়েরা সেটা করে দেখিয়েছে। তিনটা ম্যাচ তারা ভালো খেলেই জিতেছে। তবে ফাইনাল অন্যরকম একটা ম্যাচ। তারা যেন অতি উৎসাহী না হয়, সেটাই মনে করাতে চাই। আশা করি, ফাইনালেও মেয়েরা সেরাটা দিয়ে দেশবাসীকে খুশি করবে।’
ফরোয়ার্ড তহুরা খাতুন সুস্থ হয়ে একাদশে ফিরছেন। তবে আরেক ফরোয়ার্ড সাজেদা খাতুন হাঁটুর সমস্যার কারণে ফাইনালে শঙ্কায়। কোচ অবশ্য এ নিয়ে তেমন চিন্তিত নই। রিজার্ভ বেঞ্চেও যারা আছেন, তাদের নিয়েই একাদশ গড়তে চাইছেন গোলাম রব্বানী, ‘আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। মার্জিয়া কর্নার কিক করেছে। গত খেলায় মনিকা করেছে। শামসুন্নাহার পেনাল্টি নেয়। আমাদের সব কিছুই পরিকল্পনা অনুযায়ী করা আছে। কোনও সমস্যা দেখছি না। শিরোপার জন্যই মাঠে নামবো, যেন দর্শকরা খেলা দেখে আনন্দ পায়। প্রতিপক্ষ রক্ষণ শক্ত রেখে খেললেও আমরা ঠিকই সুযোগ পেয়ে যাবো। সেখান থেকে গোল পাবো আশা করছি।’
ভারতীয় কোচ ফাইনালের আগে কোনোমতেই হারতে চাইছেন না। মায়মল রকি নিজেদের ফেভারিট দাবি করলেন। ট্রফি ঘরে নেওয়ার তীব্র বাসনা স্পষ্ট করেই বললেন তিনি, ‘ফাইনালের অংশ হতে পেরে আমরা অনেক খুশী। ২০১২ সালে ফেডারেশনে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম কোনও টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলছি। স্বাভাবিকভাবে ট্রফি জিতে রেকর্ড গড়তে চাইবো আমি। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ শক্তিশালী দল। লিগে আমরা হেরেছি। তবে সেটা এখন অতীত। ফাইনালে জিতেই দেশে ফিরতে চাই।’ বাংলাট্রিবিউন