শিরোনাম
◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

প্রকাশিত : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১১:৪২ দুপুর
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১১:৪২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সন্তান জন্মের পর ইসলামে করণীয়

ওমর শাহ : সন্তান জন্ম নেয়ার পর বাবা মার ওপর প্রথম কর্তব্য হলো, তাকে প্রথমেই ভাল করে গোসল দিবে। প্রথমে লবন পানি দিয়ে তারপর সাধারণ পানি দিয়ে, তাহলে ফোড়া, গোটা ইত্যাদি অনেক রোগ থেকে শিশু মুক্ত থাকবে ইনশাআল্লাহ। শরীরে বেশি ময়লা থাকলে কয়েকদিন পর্যন্ত লবন পানি দিয়ে গোসল করাবে, ময়লা বেশি না হলে শুধু সাধারণ পানি দিয়ে গোসল করাবে।
ভেজা কাপড় দিয়ে শিশুর নাক, কান, গলা, মাথা ভালভাবে পরিস্কার করবে। অপরিচ্ছন্নতা থেকে শিশুর বহু রোগ জন্ম নেয় বলে বিশেষজ্ঞরা বলেন।

সম্ভব হলে শিশুকে প্রথম দুধ পান করানোর আগে কোনো বুযুর্গ ব্যক্তির কাছে নিয়ে সামান্য খেজুর চিবিয়ে শিশুর মুখে দিবে। এটাকেই তাহনীক বলে। এটা করা মুস্তাহাব।
সন্তান জন্ম নেবার পর শিশুর ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দিবে মৃদু আওয়াজে।
শিশু জন্ম নেবার সাত দিনের মাথায় মাথার চুল ফেলে চুল পরিমাপ করে সে ওজন পরিমাণ স্বর্ণ বা রোপা বা তার মূল্য দান করা মুস্তাহাব।

সন্তান জন্ম নেবার পর সপ্তম দিন ছেলে হলে দু’টি বকরী বা গরু-মহিষের ৭ ভাগের দুই ভাগ, আর মেয়ে হলে একটি বকরী বা গরু-মহীষের ৭ ভাগের একভাগ আক্বিকা হিসেবে জবাই করা এ মুস্তাহাব। আক্বিকার পশুর হাড্ডি ভাঙ্গবে না। আত্বীয় স্বজনকে খাওয়াবে গোস্ত, এবং গরীব দুঃখীদের খাওয়াবে। নিজেরাও খাবে। সেই সাথে ছেলেটির সুন্দর নামও রাখাও মুস্তাহাব এদিন।
৭দিনের মাথায় আক্বিকা দিতে না পারলে ১৪ দিনের মাথায়, না হলে ২১ দিনের মাথায় আক্বিকা দিবে। অথবা বালেগ হওয়ার আগে যেকোনো সময় জন্মের সাত দিন হিসেব করে সাত দিনের মাথায় আক্বিকা দেয়া উত্তম। জরুরী নয়। কুরবানীর সাথেও আক্বিকা দেয়া যায়।

বাচ্চা প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে গেলে আক্বিকার প্রয়োজনীয়তা আর বাকি থাকে না। তাই নাবালেগ থাকা অবস্থায় আক্বিকা দেয়াই উচিত। আক্বিকা দেয়া জরুরি কোনো বিষয় নয়, বরং মুস্তাহাব।
বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকলে তাকে গোসল দেয়া আবশ্যক নয়। তবে যৌক্তিক কোনো কারণ না থাকলে ময়লাসহ রাখা উচিত নয়। কারণ ময়লা ও নাপাক ব্যক্তির কাছে ফেরেস্তা আসে না। সূত্র : আহলে হক মিডিয়া সার্ভিস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়