শিরোনাম
◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ◈ এবার অঝোরে কাঁদলেন মিসাইল ম্যান কিম জং উন (ভিডিও) ◈ জুলাই নিয়ে ‘আপত্তিকর’ ফেসবুক পোস্ট: পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অবরোধ-বিক্ষোভ ◈ নতুন উচ্চতায় রেমিট্যান্স: ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ের সর্বোচ্চ প্রবাহ ◈ ডলারের দরপতনে রেকর্ড, ১৯৭৩ সালের পর সবচেয়ে বড় পতনে বিশ্ববাজারে আস্থার সংকট ◈ “৭১-এর মুক্তিযোদ্ধাদের মতোই চব্বিশের যোদ্ধাদেরও জাতি ভুলবে না” — তারেক রহমান ◈ গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান খালেদা জিয়ার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে বুধবার  সি‌রি‌জের প্রথম ওয়ানডে ম‌্যা‌চে  মু‌খোমু‌খি  বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৩:২৯ রাত
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৭, ০৩:২৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ফলের রানি ম্যাংগোস্টিন বাংলাদেশে

মতিনুজ্জামান মিটু : ফলের রানি হিসেবে সমাদৃত ম্যাংগোস্টিন চাষের অপার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশে। তাই দেশের মাটিতে অন্যান্য বিদেশী ফলের পাশাপাশি ম্যাংগোস্টিন চাষের ওপরও গুরুত্ব দেয়ার কথা বলেছেন কৃষিবিদরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক কৃষিবিদ মো. নুরুল ইসলাম বলেন, আমদানী কমাতে এবং অমৌসুমে ফলের যোগান বাড়াতে দেশের মাটিতেই বিদেশী ফল চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশে ড্রাগন, রাম্বুটান, পারর্সিমন, থাই-কুল, থাই পেয়ারা ও মাল্টা চাষ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের পাহাড়ী এলাকায় চাষাবাদের পরিবেশ থাকায় ম্যাংগোস্টিন চাষের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে এখানে।

ম্যাংগোস্টিন গুটিফেরি পরিবারের উষ্ণ মন্ডলীয় ফল। এটি অত্যন্ত সুস্বাধু। যা ইউরোপিয়ান মার্কেট ও পশ্চিম বিশ্বে খুবই সমাদৃত। সুন্দা দ্বীপপুঞ্জ এবং মালাক্কাস এর আদিনিবাস। বর্তমানে দক্ষিণপূর্ব এশিয়া, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং শ্রীলংকায় এ ফল বানিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে।

ম্যাংগোস্টিন খুবই ধীরে বর্ধনশীল গাছ। গাছগুলো ৩০-৪০ফুট লম্বা হয়। তবে ৮২ফুট লম্বা গাছও দেখা যায়। পাকা ফল খাওয়া যায়। এছাড়া সিরাপ, ক্যান্ডি, জ্যাম, হিমায়িত ইত্যাদিভাবে প্রক্রিয়াজাত করেও খাওয়া যায়। এ ফলকে কখনো কখনো ফলের রানিও বলা হয়। কেননা এতে জ্যানথোনস বিদ্যমান। যা মুটিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। এর এলার্জি বিরোধি ক্ষমতা আছে। শরীরের তাপমাত্রা কমাতে ফিলিপিনোরা এর পাতা ও ছাল ব্যবহার করে থাকে। এছাড়া ডায়রিয়া, আমাশয় এবং মুত্রনালির সমস্যা সমাধানে উপকারি ভূমিকা পালন করে। এর ছালে রয়েছে ৭-১৫ % ট্যানিন যা চামড়া এবং সুতা রং করতে, সাবান, শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারে ব্যবহৃত হয়।

বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয়ে বছরে প্রায় ৫.৫ লাখ মেট্রিক টন বিদেশী ফল আমদানী করতে হয়। বছরব্যাপী ফল সরবরাহের মাধ্যমে জনসাধারণের টেকসই পুষ্টি নিরাপত্তায় আমদানী নির্ভরতা কমাতে দেশের মাটিতে বিদেশী ফলের আবাদ করার কোনো বিকল্প নেই। দেশের পার্বত্য এলাকা, দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে ফল চাষের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে পার্বত্য এলাকার পতিত জমিতে বিদেশী ফল চাষের উপযোগীতা বিদ্যমান। ২০২১ সালে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত করতে এবং মেধাভিত্তিক জাতি গঠনে আমদানী না করে দেশের মাটিতেই বিদেশী ফলের আবাদ বাড়াতে হবে। দেশের মাটিতে ম্যাংগোস্টিন, ড্রাগন, রাম্বুটান, পারর্সিমন, থাই পেয়ারা, জাবাটিকাবা, এ্যাভোকাডো ইত্যাদি বিদেশী ফল চাষের ওপর গুরুত্ব দেওয়া জরুরী। বিশেষ করে অমৌসুমে ফলের যোগান বাড়াতে অর্থকরি ও উচ্চমূল্যের ম্যাংগোস্টিন ফল চাষের দিকে নজর দিতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়