বিবিসি বাংলা: ভূমিকম্প হলে সবাই একইভাবে ঝাঁকুনি টের পায় না। কেউ খুব স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে, কেউ আবার একদমই অনুভব করে না। এই পার্থক্যের কারণ ব্যাখ্যা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শাখাওয়াত হোসেন।
তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, ‘আপনি কত তলায় আছেন, তার ওপর এটি নির্ভর করছে। আপনি যত উপরের দিকে থাকবেন, আপনার ঝাঁকুনিটা অনুভব করার সম্ভাবনা তত বেশি। যত নিচে থাকবেন, এটি অনুভব করার সম্ভাবনা তত কম।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিছু কিছু মানুষ গতি খুব ভালো অনুভব করতে পারে।’ তাই একেকজনের সংবেদনশীলতার ওপরও বিষয়টি নির্ভর করে। অনেকে খুব দ্রুত নড়াচড়া বোঝে না। অনেকে আবার সামান্য কাঁপুনিও বুঝে ফেলেন।
শাখাওয়াত হোসেন আরও জানান, কেউ ভূমিকম্প টের পাবে কি না, সেটি তার অবস্থার ওপরও নির্ভর করে। তিনি বলেন, ‘আজ যিনি বিশ্রাম নিচ্ছিলেন তার ভূমিকম্প টের পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কেউ যদি চলাচলের মাঝে থাকে, তার টের পাওয়ার সম্ভাবনা কম। যিনি রান্না করছেন বা দৌঁড়াচ্ছেন তিনি টের না পেলেও যিনি চুপচাপ টেবিলে বসে কাজ করছেন, তার টের পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।’
এমন দৃশ্য অতীতে দেখা গেছে। তবে আজকের ৫.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ঢাকার অদূরেই হওয়ার কারণে এই কম্পন নাড়িয়ে দিয়ে গেছে প্রায় সবাইকেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতি স্ক্রলেই এর সপক্ষে সাক্ষ্য মিলছে এখন।