শিরোনাম
◈ ভালোবাসার শহর প্যারিসে বৃষ্টিভেজা রাতে শুরু হলো অলিম্পিকস ২০২৪ ◈ সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী আজ ◈ কারফিউ আরো শিথিলের সিদ্ধান্ত হবে আজ, জানালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ একদফা দাবিতে জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির ◈ শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা  ◈ ডিবি হেফাজতে কোটা আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ◈ কোটা আন্দোলন: ঢামেকে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু ◈ হেলিকপ্টার দিয়ে মানুষ হত্যার জবাব জনগণ একদিন আদায় করে নেবে: মির্জা ফখরুল ◈ প্রতিটি হামলার ঘটনার বিচার হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ সাম্প্রতিক সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৫ নভেম্বর, ২০২২, ০৪:৫৭ দুপুর
আপডেট : ২৫ নভেম্বর, ২০২২, ০৪:৫৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

১০ মাসে ৮৩০ ধর্ষণ, নারী নির্যাতন বন্ধে ৯ দাবি

সংবাদ সম্মেলন

শাহীন খন্দকার: এ বছরের জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশে ৮৩০টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে নারী অধিকারবিষয়ক দুটি সংগঠন ‘নারী নিরাপত্তা জোট’ ও ‘আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোট’।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নিঃশঙ্ক জীবন চাই : নারী নির্যাতনমুক্ত সমাজের অঙ্গীকার চাই’ শীর্ষক ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংগঠনগুলোর নেত্রীরা।

তারা জানান, এই ১০ মাসে নারীদের ওপর ৪১১টি পারিবারিক নির্যাতন, ২৫৩টি হত্যা, নির্যাতনের কারণে ৭৯টি আত্মহত্যা ও ১৪৮টি যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। দেশের প্রথম সারির ৯টি পত্রিকার প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে নারীর প্রতি সহিংসতার এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলেও জানান তারা।

আমরাই পারি পারিবারিক নির্যাতন প্রতিরোধ জোটের প্রধান নির্বাহী জিনাত আরা হক বলেন, নারীরা ঘরে-বাইরে, সব সম্পর্কে, সব বয়স-শ্রেণি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। সরকার নারী নির্যাতন প্রতিরোধে বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও পরিস্থিতি বিশ্লেষণে নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতার দৃশ্যমান কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। বরং ভয়াবহতা ও নৃশংসতা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে।

তিনি আরও বলেন, দেশে সংঘটিত নারী নির্যাতন মামলাগুলো তদন্তেই বিনষ্ট হয়ে যায়। অধিকাংশ মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা প্রভাবশালীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়। এতে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা সম্ভব হয় না। এ ছাড়া অনেক অপরাধী জামিনে বের হয়ে কৌশলে বিচার এড়িয়ে যায়।নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সংবাদ সম্মেলনে ৯টি দাবি তুলে ধরা হয়।

দাবিগুলো হলো ১) নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা ১৮০ দিনের মধ্যেই নিষ্পত্তি করতে হবে। ২) উচ্চ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।৩) বিচার চলাকালে নির্যাতনের শিকার নারী, শিশু ও পরিবারের নিরাপত্তা, চিকিৎসা ও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ৪) নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলায় সাক্ষী প্রদান প্রক্রিয়া যুগোপযোগী করতে হবে। ৫) হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী যৌন হয়রানি প্রতিরোধে নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে। ৬) পারিবারিক নির্যাতন (প্রতিরোধ ও সুরক্ষা) আইন-২০১০ সফল করতে হবে। ৭) ধর্ষণ, যৌন সহিংসতা, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতে হবে। ৮) নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান ঘোষণা ও বাস্তবায়ন করতে হবে। ৯) সব প্রকার বৈষম্যমূলক আইন ও নারী নির্যাতনবিরোধী আইন সংশোধন করতে হবে। সম্পাদনা: খালিদ আহমেদ

এসএইচ/জেএ

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়