শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৪:২৬ দুপুর
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ০৬:১০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কন্যা দিবসে গার্মেন্টস কন্যাদের জীবন কথা

আলামিন শিবলী: আজ ‘বিশ্ব কন্যা দিবস’ কথাটি শুনেই শব্দহীন অঝোরে কান্না শুরু করে দিলেন রাজধানী মোহাম্মদপুর বসিলার ‘নোফস গার্মেন্টস লিমিটেড’-এর নারীকর্মী রহিমা খাতুন। কান্নার মূল কারণ জানতে চাইলে কান্না থামিয়ে ক্ষীণস্বরে বলতে শুরু করলেন তার জীবনের বিষাদ কাহিনী। বছর ছয় আগে দুই বছরের শিশুকন্যা ফাহিমাকে কোল থেকে কেড়ে নিয়ে তার স্বামী তাকে তালাক দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন। বহু বিচার সালিশ করে ফাহিমাকে কাছে পেলেও এক বছর আগে আবারও তার বাবার নিকট তাকে ফেরত দিতে হয়েছে। গত এক বছর ধরে ফাহিমাকে দেখছে না গর্ভধারণকারী মা রহিমা খাতুন। কর্মক্ষেত্রে এলেও সারাক্ষণ একমাত্র আদরের কন্যার জন্য অশ্রু ভেজা থাকে রহিমার।

শারমিন বেগম। বয়স ১২। রহিমা খাতুনের সঙ্গে একই গার্মেন্টসে কাজ করে সে। শারমিনের বাড়ি কুড়িগ্রামের রাজাহাটে। শিশু বয়সেই সে এখন গার্মেন্টস কন্যা। বেঁচে থাকার তাগিদে কর্ম খুঁজে নেওয়া শারমিন জানান, দুই বছর আগে মাকে হারিয়ে এখন সে প্রায়ই এতিম। বাবা থাকলেও নেই। শারমিনের মায়ের মৃত্যুর পর তার বাবা আরেকটি বিয়ে করেছে। প্রতিদিন সৎমায়ের অত্যাচার আর কানকথা শোনা বাবার গালিগালাজ ছেড়ে সে এখন ঢাকায় থাকে দূর সম্পর্কের এক খালার কাছে। বেঁচে থাকার তাগিদে গার্মেন্টস কন্যা হয়ে সে এখন শিশুশ্রম দিচ্ছে।

রাজধানী মোহাম্মদপুরে অন্য আরেকটি গার্মেন্টস ‘ওয়ান পীস ফ্যাশন লিমিটেড’-এ কাজ করে লিমা আক্তার। তিনি বলেন, আমার জন্মের পর বিষপান করতে গিয়েছিলেন আমার মা। পরপর আমরা চার বোন জন্ম নেওয়াতে মাকে রাখবেন না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন বাবা। মা আমাকে ‘মেয়ে-সন্তান’ দেখে বাবার ভয়ে বিষপানের চেষ্টা করলে আমার চাচীরা দেখে ফেলে এবং বোতল কেড়ে নেন।

মাসুদা। চিড়ল দাঁতে খুব মিষ্টি হাসে মেয়েটি। হরিণী চোখ ও শ্যামবর্ণের এই মেয়েটি কাজ করেন ঢাকা উদ্যান ফোর ব্রাদার্স গার্মেন্টসে। ভাইবিহীন, বাবা হারা ১৫ বছর বয়সী মাসুদা কন্যা দিবস উপলক্ষে তার মায়ের কাছে একটি গোলাপ উপহার চেয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়