ইমরুল শাহেদ: [২] ভারতের আকাশ গসেষণা সংস্থা ইসরো জানিয়েছে, মরিশাস, বেঙ্গালুরু এবং পোর্ট ব্লেয়ারে ইসরোর ‘গ্রাউন্ড স্টেশন’ রয়েছে। আর সেখান থেকেই সৌরযান আদিত্য এল-১ কে পর্যবেক্ষণ করছেন বিজ্ঞানীরা। কক্ষপথ পরিবর্তনের পর পৃথিবী থেকে আদিত্য এল-১ এর দূরত্ব হয়েছে ১ লাখ ২১ হাজার ৯৭৩ কিলোমিটার। সূত্র: দি ওয়াল
[৩] সৌরযানের কক্ষপথ এর আগেও পরিবর্তন করা হয়েছে। ৩, ৫ ও ১০ সেপ্টেম্বর একের পর এক মহাকাশযানের কক্ষপথ পরিবর্তন করা হয়। এই নিয়ে তা চারবার হল। কক্ষপথ পরিবর্তনের পরবর্তী প্রক্রিয়াটি হবে ১৯ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টা নাগাদ।
[৪] আদিত্য এল-১ মিশনের এই ‘এল-১’ পয়েন্ট হল ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট। পৃথিবী ও সূর্যের মাঝামাঝি এই পয়েন্টে গিয়ে পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যাকর্ষণ শক্তি ব্যালান্স হয়ে যায়। এখানে গেলে স্পেসক্রাফট খুব কম জ্বালানিতে দীর্ঘসময় স্থির হয়ে থাকতে পারে। আর ওই পয়েন্ট থেকে সূর্যকে কাছ থেকে দেখা সম্ভব। এই ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট এমন এক মধ্যবর্তী জায়গা যেখানে সূর্য ও পৃথিবীর আকর্ষণ সরাসরি পড়বে না স্পেসক্রাফটে। ফলে সেটি সূর্যের দিকে এগিয়ে যাবে না আবার পৃথিবীর দিকে পিছিয়েও আসবে না। সূর্যের গনগন আগুনে তেজ কোনও ক্ষতি করতে পারবে না স্পেসক্রাফটের। সে দিব্যি স্থির হয়ে বসে সূর্যের ছবি তুলবে, সূর্যের কোরোনার খবর পাঠাবে পৃথিবীর গ্রাউন্ড স্টেশনে।
[৫] আদিত্য এল-১ যানটিতে মোট সাতটি পেলোড আছে। এগুলি সূর্যের বিভিন্ন স্তর খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণের জন্য তৈরি করা হয়েছে। ফটোস্ফিয়ার থেকে ক্রোমোস্ফিয়ার কিংবা সূর্যের একেবারে বাইরের দিকের স্তর কোরোনা, পর্যবেক্ষণ করবে এই পেলোডগুলি। ভিসিবল এমিশন লাইন কোরোনাগ্রাফি (ভিইএলসি) এবং সোলার আল্ট্রাভায়োলেট ইমেজিং টেলিস্কোপ (এসএউআইটি) নামে দু’টি মূল পেলোড রয়েছে। ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট পৌঁছানোর পরে এই ভিইএলসি পেলোড প্রতিদিন ১,৪৪০টি ছবি তুলে পাঠাবে। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আইএস/আইকে/এনএইচ