ইমরুল শাহেদ: ই-কমার্সের ইতিহাসে এটাই হলো সবচেয়ে বড় ঘটনা। সংস্থাটি এই মাসের শুরুতে এ ব্যাপারে ঘোষণা দিয়েছিল। মাইক্রোসফট, টুইটার ও মেটার সঙ্গে সঙ্গত রেখেই আমাজন এই উদ্যোগ নিয়েছে। খরচ কমাতে রেকর্ড ১৮ হাজার কর্মীকে চাকুরিচ্যুত করার প্রাথমিক প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের বিভিন্ন সহায়তা দেয়ার কথাও জানিয়েছে আমাজন। ইয়ন
অর্থনৈতিক মন্দার কথা বিবেচনায় রেখে এই ছাঁটাই কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এই টেক জায়ান্ট মনে করে মন্দার কারণে জনগণ ক্রয় ক্ষমতা অনেকটা হারিয়ে ফেলবে। তাতে অনলাইনে বিক্রির পরিমাণ ধীরগতির হয়ে পড়বে।
বিবিসির প্রতিবেদনে আমাজন কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতির উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, বুধবার থেকে বিক্রয় ও মানবসম্পদ বিভাগের কর্মীদের ছাঁটাইয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চাকরিচ্যুতদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কর্মী কাজ করছেন প্রতিষ্ঠানটির অ্যালেক্সা ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং ইকো স্মার্ট স্পিকার সংশ্লিষ্ট বিভাগে। এরপর ধারাবাহিকভাবে স্টোর অপারেশন এবং পিপলস, এক্সপেরিয়েন্স ও টেকনোলজি বিভাগ থেকে কর্মী ছাঁটাই করা হবে।
ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমাজনে বর্তমানে বিশ্বজুড়ে কর্মরত আছে ৩ লাখ ৫০ হাজার কর্মী। ছাঁটাই করা হচ্ছে মাত্র ৬ শতাংশ। কর্মীদের কাছে পাঠানো এক মেমোতে আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এন্ডি জেসি বলেছেন, অ্যামাজন অতীতে অনিশ্চিত এবং কঠিন অর্থনীতির সম্মুখীন হয়েছে এবং আমাদের এই সংকট চলতেই থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিবর্তনগুলো আমাদের ব্যয় সংকোচনে সহায়তা করবে।’
সংস্থাটি বলছে, করোনা মহামারি শুরুর পর থেকে নানা অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে তারা। সামনে আরও কঠিন সময় অপেক্ষা করছে বলেও আশঙ্কা করছেন এর শীর্ষ কর্মকর্তারা। বিপুল কর্মী ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে খরচ কমানো সম্ভব বলেও মনে করছে আমাজন কর্তৃপক্ষ।
এর আগে গত বছরের নভেম্বরেই কর্মী ছাঁটাইয়ের ইঙ্গিত দেয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে চাকরি হারানো ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, স্বাস্থ্য বীমার সুযোগসহ বিভিন্ন প্যাকেজ দেয়ার কথা জানায় আমাজন।
এদিকে টুইটার, ফেসবুক, গুগল ও অ্যাপলসহ বেশ কয়েকটি টেক কোম্পানির পর কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে মাইক্রোসফটও। বুধবার প্রতিষ্ঠানটি জানায়, চলতি বছরের মধ্যেই তাদের ১০ হাজার কর্মী ছাঁটাই করা হবে।
আইএস/এইচএ
আপনার মতামত লিখুন :