সাজিয়া আক্তার: চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার বরেন্দ্র অঞ্চলের যুবক হৃদয়। পেশায় মৌয়াল এই যুবক বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছেন মৌমাছির সঙ্গে। প্রতিদিন তার খোলা হাতে এসে বসে হাজারো মৌমাছি। দূর থেকে দেখলে মনে হয়, তার হাতেই বাসা বেঁধেছে মৌমাছিরা। প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে হৃদয় ও তার হাতে বাসা করা মৌমাছিদের দেখতে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ। এলাকাবাসী জানান, হৃদয় আধ্যাত্মিক ক্ষমতা দিয়ে মৌমাছির বন্ধু হয়ে উঠেছেন। রাইজিং বিডি
হৃদয় বলেন, আমি আমার গুরুর কাছ থেকে কৌশল রপ্ত করে মৌমাছির সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছি। মৌমাছি সমাজবদ্ধ জীব তাই ওদের ভালো লাগে। মৌমাছিদের সমাজ (মৌচাক) চলে রানির শাসনে। মৌচাকে তিন শ্রেণির মৌমাছি বাস করে। রাণী, শ্রমিক এবং পুরুষ মৌমাছি। মৌচাক রক্ষায় মৌমাছিরা সেনাবাহিনীর মতো ভূমিকা রাখে।
তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমি পেশায় মৌয়াল, সেজন্য মৌমাছির সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের।এখন আমার হাতে বসে হাজারো মৌমাছি। এই মাছিগুলো কখনোই আমাকে কামড় দেয় না বরং ভালোবাসে। কাজের তাগিদে হাতে বসা মৌচাকটি অন্য জায়গায় সরিয়ে রাখি। যখন কাজ থাকে না মনের ভালো লাগা থেকেই মৌমাছিগুলোকে হাতে করে ঘুরে বেড়াই। যখন একা থাকি তখন এই মৌমাছিরাই আমার সঙ্গী।
হৃদয়ের প্রতিবেশী আজিম আহমেদ বলেন, বিষয়টি সত্যি অবাক করার মতোই। হৃদয়ের হাতে বসে থাকে হাজার হাজার মৌমাছি। রানি মৌমাছিকে বশ মানিয়েই নাকি এটি সম্ভব হয়েছে। তার হাতে থাকা মৌচাকটিকে এক নজর দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ ভিড় করেন হৃদয়ের বাড়িতে।
কসবা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আব্দুল জাব্বার বলেন, মৌয়াল হৃদয়ের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য দেওয়া হবে আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ সরকারি প্রশিক্ষণ। বিষয়টি নিয়ে আমি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। চেয়ারম্যানও এই কথায় সায় দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :