মুসবা তিন্নি: [২] জিম্বাবুয়েতে ৩৫টি আফ্রিকান হাতি ২০২০ সালের আগস্টের শেষ থেকে নভেম্বরের মধ্যে মারা যায়। সে সময় ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে গৃহপালিত পশুদের একটি বিশাল পাল চড়তে গিয়ে এগারোটির মতো মারা যায়। সূত্র: সিএনএন
[৩] জিম্বাবুয়ের ভিক্টোরিয়া ফলস ওয়াইল্ডলাইফ ট্রাস্টের একজন পশুচিকিৎসক ডা: ক্রিস ফগিন যিনি পশুমৃত্যুর কারণ নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি জানান, বিষয়টা নিয়ে যখন গবেষণা শুরু করেছিলাম তখন আমার কাছে খুবই রহস্যজনক মনে হয়েছে যে অনেক প্রাণীই একসাথে খুবই কাছাকাছি সময়ের ব্যবধানে মারা যাচ্ছে। আমরা প্রাথমিক গবেষণায় এই মৃত্যুর হারকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করে নিই যেমন চোরাচালান, বিষক্রিয়া এবং খরা।
[৪] জিম্বাবুয়েতে মারা যাওয়া ১৫টি হাতির নমুনার উপর ভিত্তি করে করা গবেষণার মাধ্যেমে উঠে আসে একটি ব্যাকটেরিয়াা সংক্রমণে অনেক হাতির মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে ২৫ অক্টোবর এই বিশ্লেষণটি প্রকাশিত হয়, সেখানে উল্লেখ করা হয় বিসগার্ড ট্যাক্সন ৪৫ নামক একটি স্বল্প পরিচিত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে প্রাণীর রক্তে বিষক্রিয়া সৃষ্টি হয় যার ফলে প্রাণী ধীরে ধীরে দূর্বল হতে থাকে আর এভাবেই তারা মারা যায়। এছাড়াও গবেষণায় উঠে আসে শুষ্ক মৌসুমে খাদ্য ও পানি কমে যাওয়ায় এছাড়া সেসব অঞ্চলে তাপমাত্রা বৃদ্ধিসহ খরা এবং আবাসনের অভাবসহ দিন দিন জনসংখ্যার ঘনত্ব বেড়ে যাওয়াও এসব প্রাণী মৃত্যুর অন্যতম কারণ। সম্পাদনা: এম খান