শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের জন্য যে কারণে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হয়ে উঠছে চীনের কুনমিং শহর ◈ এবার জুয়া কাণ্ড নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস! ◈ জন্ম ভারতে, ক্রিকেট খেলেছেন পাকিস্তানের হয়ে, ক্রিকেট বিশ্বে এমন নজির বিরল ◈ সরকারি সফরে চীন গেলেন সেনাবাহিনী প্রধান ◈ রাজ‌নৈ‌তিক দলগু‌লোর মতপার্থক্যের ম‌ধ্যে জুলাই সনদ নিয়ে মীমাংসা কি সম্ভব? ◈ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে উল্টে গেল প্রাইভেটকার, নিহত ৩ ◈ যে কারণে পা‌কিস্তা‌নের কিংবদন্তী ক্রিকেটার ওয়া‌সিম আক্রামের জেল হ‌তে পা‌রে! ◈ এশিয়া কাপ থেকে নাম তুলে নিলো পাকিস্তান, টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই ধাক্কা ◈ বাংলা‌দেশ ক্রিকেট বো‌র্ডের আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন না মাহবুব আনাম ◈ ইইউ বাজারে ১৭.৯% রপ্তানি প্রবৃদ্ধি, বাংলাদেশের আয় ১০.২৯ বিলিয়ন ইউরো

প্রকাশিত : ২১ আগস্ট, ২০২৫, ০১:৪৮ রাত
আপডেট : ২১ আগস্ট, ২০২৫, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মৃত্যুর পরও বিষ ছড়ায় যে কয়েক প্রজাতির সাপ, গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় আসামে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু প্রাণঘাতী সাপ মৃত্যুর পরও বিষ ছড়িয়ে দিতে সক্ষম; বিশেষ করে, মনোকল কোবরা ও কালো ক্রেইট বা কালকেউটে সাপ মৃত্যুর পর ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষের শরীরে বিষ ছড়িয়ে দিতে পারে। সম্প্রতি ‘ফ্রন্টেইনার্স ইন ট্রপিক্যাল ডিজিজ’ সাময়িকীতে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

এর আগে ধারণা করা হতো, মৃত্যুর পর বিষ ছড়ানোর ক্ষমতা কেবল কিছু নির্দিষ্ট প্রজাতির সাপের মধ্যে সীমিত। যেমন আমেরিকান র‍্যাটলস্ন্যাক, কপারহেড, এশীয় ও সাবসাহারার স্পিটিং কোবরা এবং অস্ট্রেলিয়ার রেড-বেলিড ব্ল্যাক স্ন্যাক। কিন্তু নতুন গবেষণা জানাচ্ছে, ভারতের গ্রামীণ অঞ্চলে প্রচলিত কোবরা ও কালকেউটে একইভাবে বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে।

আজ বুধবার (২০ আগস্ট) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, এ গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন আসামের নামরূপ কলেজের বিজ্ঞানী সুস্মিতা ঠাকুর। তিনি ও তাঁর দল অন্তত তিনটি ঘটনার প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে দুটি ঘটনা মনোকল কোবরা ও একটি কালকেউটের সঙ্গে যুক্ত।

প্রথম ঘটনা, বাড়ির মুরগি বাঁচাতে এক ব্যক্তি একটি কোবরার শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। পরে যখন তিনি সাপটি ফেলে দিতে যান। তখন ওই কাটা মাথা তাঁর ডান হাতের বুড়ো আঙুলে ছোবল মারে। এর ফলে তাঁর হাতে প্রচণ্ড ব্যথা ও বমি শুরু হয়। কালো হয়ে যায় ক্ষতস্থানটি। চিকিৎসকেরা ছবি দেখে কোবরা হিসেবে সাপটি শনাক্ত করেন এবং দ্রুত অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করে তাঁকে বাঁচাতে সক্ষম হন। ২০ দিন চিকিৎসার পর রোগী সম্পূর্ণ সেরে ওঠেন।

দ্বিতীয় ঘটনা, এক কৃষক ধানখেতে ট্রাক্টরের চাপে একটি কোবরা মেরে ফেলেন। কাজ শেষে ট্রাক্টর থেকে নেমে আসার সময় সেই মৃত সাপের দাঁত তাঁর পায়ে বিঁধে যায়। এতে তাঁর শরীরে ফুলে যায় এবং প্রচণ্ড ব্যথার পাশাপাশি রং পরিবর্তনের মতো লক্ষণ দেখা দেয়। চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থ হলেও ক্ষতস্থানে আলসার তৈরি হয়েছে।

তৃতীয় ঘটনা, একটি কালকেউটে মেরে ফেলার পর বাড়ির আঙিনায় ফেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু এক প্রতিবেশী মৃত সাপটি হাতে নেওয়ার সময় আঙুলে এটির দাঁত বসে যায় এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাঁর চোখের পাতা ঝুলে পড়ে ও গিলতে অসুবিধা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর জানা যায়, সাপটি অন্তত তিন ঘণ্টা আগে মারা গিয়েছিল। আর ছোবল খাওয়া ব্যক্তিকে অ্যান্টিভেনমের ২০টি ডোজ দেওয়ার পরও তাঁর অবস্থা সংকটজনক থাকে। টানা ৪৩ ঘণ্টা কৃত্রিমভাবে শ্বাস-প্রশ্বাসের সহায়তা দেওয়ার পর ধীরে ধীরে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন।

গবেষকেরা ব্যাখ্যা করেছেন, সামনের দন্তযুক্ত সাপের বিষগ্রন্থি ও দাঁতের গঠন এমনভাবে তৈরি, মৃত্যুর পরও চাপ পড়লে এর বিষ বের হতে পারে; বিশেষ করে, কাটা মাথা কিংবা দেহে চাপ লাগলে দাঁত দিয়ে বিষ বের হয়ে আসতে পারে এবং জীবন্ত সাপের দংশনের মতোই বিপজ্জনক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।

এ কারণে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কোনো কারণে যদি সাপকে মেরেও ফেলা হয়, তবে এর দেহ বা মাথা খালি হাতে নাড়াচাড়া করা উচিত নয়। মৃত সাপও জীবন্ত সাপের মতোই প্রাণঘাতী হতে পারে। সূত্র: আজকের পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়