শিরোনাম
◈ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর টি-টোয়েন্টি খেলবেন না ◈ শাহজালালে প্রবাসীদের জন্য লাউঞ্জ হচ্ছে, স্বল্পমূল্যে মিলবে খাবার  ◈ পদত্যাগ করলেন চেয়ারম্যানসহ পিএসসির অন্য সদস্যরা ◈ ৪ মামলায় জামিন পেলেন সাবেক মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ◈ মোহাম্মদ আশরাফুল বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের কোচ ! ◈ পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন জন হোপফিল্ড ও জিওফ্রে হিন্টন ◈ জাতীয় পার্টিকে সংলাপে চায় না সমন্বয়ক হাসনাত ও সারজিস ◈ হিন্দু সম্প্রদায়ের  নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ  বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে : মাহফুজ আলম ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সুখবর দিলেন ইতালি ভিসাপ্রত্যাশীদের  ◈ দলের দায়িত্ব কাকে দেবেন? কোথায় যাবেন শেখ হাসিনা?

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০৮:১৭ রাত
আপডেট : ০৮ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পড়ে ছিল অযত্নে, সেই পাথরের দাম উঠলো ১ মিলিয়ন ডলার !

রোমানিয়ার একটি ছোট গ্রামে একাই থাকতেন এক বৃদ্ধা। ডোরস্টপ হিসাবে একটা পাথর ব্যবহার করতেন তিনি। অনেকটা বাদামি রঙের। সেটির মূল্য সম্পর্কে তার কোনো ধারণা ছিল না। পাথরটির  ওজন ৩.৫ কিলোগ্রাম (৭.৭ পাউন্ড)। সেটা আসলে অ্যাম্বার নাগেট। আনুমানিক মূল্য ১ মিলিয়ন ডলার। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এল পাইস-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুজাউ- এর আঞ্চলিক যাদুঘরের ডিরেক্টর ড্যানিয়েল কস্তাচে প্রথম পরীক্ষা করে দেখেন অ্যাম্বার নাগেটটি। এটাই এখনও পর্যন্ত আবিষ্কার হওয়া সবচেয়ে বৃহত্তম নাগেট। এটি পাঠানো হয় পোল্যান্ডের ক্রকোতে। সেখানে বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে জানিয়েছেন, নাগেটটি ৭০ মিলিয়ন বছরের পুরনো।

নদীর ধার থেকে অ্যাম্বার নাগেটটি কুড়িয়ে পেয়েছিলেন বৃদ্ধা। তারপর থেকে ডোরস্টপ হিসাবে ব্যবহার করতেন। ১৯৯১ সালে মৃত্যু হয় তার। পাথরটি অন্যরকমের দেখতে হওয়ায় বৃদ্ধার আত্মীয়দের সন্দেহ হয়েছিল। তারা যত্ন করে রেখে দেন । সম্প্রতি রোমানিয়ান সরকারের কাছে নাগেটটি বিক্রি করার কথা ভেবেছিলেন বৃদ্ধার আত্মীয়। তখনই আসল ঘটনা সামনে আসে।

ড্যানিয়েল কস্তাচে বলেন, “বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে তো বটেই, নৃতাত্ত্বিক দিক থেকেও এই আবিষ্কারেরে বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।’’

ওই নারীর আত্মীয়রা জানিয়েছেন, বাড়িতে একবার চোর ঢুকেছিল। তারাও পাথরটাকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়নি। কয়েক গাছা সোনার গয়না নিয়েই চম্পট দেয়। গোটা বিশ্বের মধ্যে রোমানিয়াতেই সবচেয়ে বেশি অ্যাম্বার পাওয়া যায়। বিশেষ করে বুজাউ কাউন্টিতে। ভূতাত্ত্বিক অস্কার হেলম এর নাম দিয়েছেন,  ‘বুজাউ অ্যাম্বার’। এই অঞ্চল থেকে এর আগেও বহু মূল্যবান অ্যাম্বার পাওয়া গিয়েছে। একসময় এখানে স্ট্র্যাম্বা অ্যাম্বারের খনি ছিল। বিপুল দামে বিক্রি হত। পরবর্তীকালে দাম পড়ে যায়। রোমানিয়ার সরকারও খনি বন্ধ করে দেয়।

সূত্র : সায়েন্স এলার্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়