শিরোনাম
◈ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে সরকারের উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানালেন সারজিস ◈ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগ আবারও এক হলো ◈ 'মহেশখালী-কক্সবাজার এক হয়ে নতুন শহরের জন্ম নিবে': আশিক চৌধুরী (ভিডিও) ◈ বৃষ্টির কারণে বাংলা‌দেশ-‌নেদারল‌্যান্ডসের মধ‌্যকার তৃতীয় টি-টোয়েন্টি পরিত্যক্ত ◈ চবিতে শনিবার রাতে কী হয়েছিল? মুখ খুললেন সেই ছাত্রী ও দারোয়ান (ভিডিও) ◈ সংঘর্ষের ঘটনা লাইভ করায় চবি ছাত্রীদের ‘ধর্ষণের হুমকি’ ◈ খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ ◈ রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সম্মেলন আয়োজনের প্রস্তাব এপিএইচআরের ◈ একাদশে ভর্তি: শেষ ধাপের ফল প্রকাশ, কলেজ পাননি ৫২৪০ শিক্ষার্থী ◈ চিকিৎসার জন্য নুরকে বিদেশ নেওয়া হবে কি না, জানালেন ঢামেক পরিচালক

প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:৪০ দুপুর
আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : মনজুর এ আজিজ

নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা, কিছু পণ্যে বেড়েছে ৫০ শতাংশ দাম

মনজুর এ আজিজ: নিত্যপণ্যের বাজারে চলছে অস্থিরতা। ঈদের পরে সবধরনের পণ্যের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি কয়েকগুণ বেড়ে গেছে ভোগ্যপণ্যের দাম। বিশেষ করে গত দুই মাসের ব্যবধানে চিকন চাল (মিনিকেট), মোটা চাল, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ, ফার্মের মুরগি ও ডিমের দাম সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে। আয়ের সঙ্গে সংগতি না থাকায় খাদ্যপণ্যের চড়া দামে চাপে পড়েছেন ভোক্তারা। বিশেষ করে দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কঠোর নজরদারি না থাকায় পণ্যের বাজারে প্রত্যাশিত সুবিধা পাচ্ছেন না ভোক্তারা। পাশাপাশি সরকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি করছেন ব্যবসায়ীরা। এখনই লাগাম টেনে ধরতে না পারলে বাজারে অস্থিরতা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি এবং রাজধানীর খুচরা বাজারের ২৮ এপ্রিল ও গত ২৮ ফেব্রুয়ারির বাজারদর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, গত দুই মাসের ব্যবধানে খুচরায় প্রতি কেজি চিকন চাল (মিনিকেট) ১২ থেকে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে মানভেদে কেজি ৮৫ থেকে ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চালের বাজারে সবচেয়ে বেশি চাহিদাসম্পন্ন মোটা চাল ব্রি-২৮ বা পাইজাম এই সময়ের ব্যবধানে ৭ শতাংশ দাম বেড়ে মানভেদে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারে ৮ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়ে এক লিটার ১৮৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভরা মৌসুমেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। দুই মাসের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ দাম বেড়ে মানভেদে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরে বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম সহনীয় রয়েছে। গত দুই মাসের ব্যবধানে ৪ শতাংশ দাম বেড়ে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই সময়ের মধ্যে ব্রয়লার মুরগির দাম ১৭ থেকে ১৮ শতাংশ কমেছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি এখন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সবজির দাম এখন বেশ চড়া। গতকাল রাজধানীর মহাখালী কাঁচাবাজার, রামপুরা, বনশ্রী-মেরাদিয়া ও বাড্ডাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বেশির ভাগ সবজি ৮০ টাকা কেজি। কিছু সবজির দাম শতক ছাড়িয়েছে। বেগুন মানভেদে ৮০ থেকে ১০০, ঝিঙা ১০০ থেকে ১২০, করলা ৮০ থেকে ১০০, পটোল ৮০, চিচিঙ্গা ৮০ থেকে ৯০, শজনে মানভেদে ১২০ থেকে ১৫০, ঢেঁড়স ৮০, টমেটো ৪০ থেকে ৫০, বরবটি ৮০ থেকে ১০০, গাজর ৫০ থেকে ৭০, কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৪০, পেঁপে ৫০ থেকে ৬০ এবং দেশি শসা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস লম্বা লাউ ৭০ থেকে ৮০ এবং চালকুমড়া ৬০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আগের তুলনায় সার্বিক মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও বাজারে চাল, তেল ও সবজির চড়া দামে দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। যেভাবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে, মূল্যস্ফীতি আবার বেড়ে যেতে পারে। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার বেশি হলে গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষ সংসার চালাতে ভোগান্তিতে পড়ে। কয়েক অর্থবছর ধরে চলা এই উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। 

এ প্রসঙ্গে ভলান্টারি কনজিউমারস ট্রেনিং অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস সোসাইটির (ভোক্তা) নির্বাহী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সজল গণমাধ্যমকে বলেন, রমজান শেষ হওয়ার পর থেকে পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এখন গ্রীষ্মকালের সবজি ঝিঙা, করলা, পটোল ও চিচিঙ্গার দাম আকাশচুম্বী। গত বছর এই সময় এসব সবজির দাম প্রায় অর্ধেক ছিল। ভোক্তার আরো কষ্টের কারণ সম্প্রতি হঠাৎ করে তেলের দাম লিটারে ১৫ টাকা বেড়ে যাওয়া। একবারে লিটারে ১৫ টাকা বেড়ে যাওয়ার ইতিহাস নেই বললেই চলে। তাই সরকারকে দ্রুত বাজার তদারকিতে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়