স্পোর্টস ডেস্ক : লিওনেল মেসির ভারত সফর শেষ হয়েছে । তবে ফুটবলের মহাতারকার সফর ঘিরে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। বিশেষ করে কলকাতায় মেসির আগমন উপলক্ষে বিক্ষুব্ধ জনতার সল্ট লেক স্টেডিয়াম ভাঙচুর।
আর্জেন্টাইন মহতারকাকে দেখতে না পেরে স্টেডিয়াম ভাঙচুর ও লুটপাট চালান সমর্থকরা। তবে হায়দরাবাদ ও মুম্বাইয়ে এমন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরী হয়নি। বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন লিওনেল মেসি, ডি পল ও লুইস সুয়ারেজরা। তারপরও আলোচনায় কলকাতার ঘটনা।
এই ঘটনায় মেসিকে এক প্রকার দায়ী করেছেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার সুনীল গাভাস্কার। স্পোর্টস্টারে প্রকাশিত কলামে গাভাস্কার লিখেছেন, ‘কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়ামে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার সময় আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি ঘোষিত সময়ের তুলনায় অনেক কম সময় উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় দোষারোপ করা হয়েছে সবাইকে, কেবল সেই ব্যক্তির ওপর নয়, যিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন।
তাঁর চুক্তির বিস্তারিত অবশ্য প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু তাঁর যদি এক ঘণ্টার জন্য স্টেডিয়ামে থাকার কথা থাকে এবং তিনি যদি সময়ের আগে চলে যান, তবে যে ভক্তরা যথেষ্ট অর্থ দিয়ে টিকিট কিনেছিলেন, তাঁদের জন্য এটা হতাশার। তাহলে মূল দোষী তিনি এবং তাঁর সহযোগীরাই।
গাভাস্কার আরও লেখেন, ‘হ্যাঁ, তিনি রাজনীতিবিদ ও তথাকথিত ভিআইপিদের দ্বারা ঘিরে ছিলেন, তবে তাঁর বা তাঁর সহযোগীদের কোনো নিরাপত্তা হুমকি ছিল না। তাঁর কি শুধু স্টেডিয়ামে ঘুরে বেড়ানোর কথা ছিল, নাকি কার্যকর কিছু যেমন পেনাল্টি কিকও নিতে পারতেন? যদি তা হতো, তবে তাঁর চারপাশের সবাইকে সরতে হতো এবং জনতাও তাঁদের নায়ককে সেই কাজ করতে দেখতেন, যা দেখার জন্য তাঁরা এসেছিলেন।
অব্যবস্থাপনা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেফতার হন মেসিকে ভারতে আনার মূল কারিগর শতদ্রু দত্ত। তবে আয়োজকদের দোষারোপ করার আগে প্রতিটি দিকই তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন গাভাস্কার।
তিনি লেখেন, ‘অন্য সফরগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে; কারণ, সেখানে সব প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়েছে। তাই কলকাতাকে দোষারোপ করার আগে এটি যাচাই করা প্রয়োজন যে উভয় পক্ষের প্রতিশ্রুতিকে ঠিকভাবে পূরণ হয়েছে কি না।
কলকাতা সফরের সূচি অনুযায়ী মেসির পুরো স্টেডিয়াম চক্কর দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেসি, সুয়ারেজ ও দি পল মাঠে প্রবেশের পর সেলিব্রেটি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরা তাদের ঘিরে ধরেন।
যার কারণে প্রিয় তারকাকে ঠিক মতো দেখতে পারেননি ভক্তরা। আর তাতেই বাধে বিপত্তি। শুরু হয় হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট।