নিজস্ব প্রতিবেদক : লঙ্কানরা তাণ্ডব চালালো ফায়দা লুটতে পারেনি। বাংলাদেশের অলরাউন্ড পারফরমেন্সের কাছে হার মানতে বাধ্য হয় তারা। এদিন দাসুন শানাকার তাণ্ডবে বড় সংগ্রহ গড়েছিল শ্রীলঙ্কা। লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালো না হলেও সাইফ হাসানের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে সেই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ।
ফিফটি হাঁকানো এই ওপেনারের বিদায়ের পর হাল ধরলেন তাওহিদ হৃদয়। ডানহাতি এই ব্যাটারের দুর্দান্ত অর্ধশতকে সহজ জয়ের পথেই ছিল দল। কিন্তু শেষ ওভারের নাটকীয়তার পর ৪ উইকেটের জয়ে সুপার ফোর পর্ব শুরু করেছে লিটন দাসের দল।
শনিবার দুবাইয়ে সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে শানাকার অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৬৮ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ১ বল আগে লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিতে সাইফ ফেরেন ৬১ রান করে। ডানহাতি এই ব্যাটার তার ৪৫ বলের ইনিংসটি সাজান ৪ ছক্কা ও ২ চারে। অন্যদিকে ৩৬ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৮ রানে ফেরেন হৃদয়।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বোলারদের ওপর আক্রমণ শুরু করেন পাতুম নিসাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। পঞ্চম ওভারে প্রথমবারের মতো বল হাতে নিয়ে নিসাঙ্কাকে (২২) ফিরিয়ে ৪৪ রানের এই জুটি থামান তাসকিন আহমেদ। এরপরই কমতে শুরু করে রানের গতিও।
সঙ্গীর বিদায়ের পর দ্রুত ফেরেন কুশলও। আগের ওভারে রানআউটের হাত থেকে বেঁচে এই ব্যাটারকে ব্যক্তিগত ৩৪ রানে সাজঘরের পথ দেখান শেখ মাহেদি হাসান। এক ওভার পর কামিল মিশারাকে (৫) বোল্ড করেন এই অফ স্পিনার।
শরিফুল ইসলামের করা ১৪তম ওভারে থার্ড ম্যান অঞ্চলে কুশল পেরেরার ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টাই করেননি মুস্তাফিজুর রহমান। অবশ্য পরের ওভারেই পেরেরাকে (১৬) তুলে নেন তিনি। এরপরই তাণ্ডবের শুরুটা করেন শানাকা। তাকে সঙ্গ দেন অধিনায়ক চারিত আসালাঙ্কাও।
৪০ রানে থাকা শানাকার কিছুটা কঠিন ক্যাচে হাত ছোঁয়ালেও তা তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। পরের ওভারে ১৭ রানে থাকা আসালাঙ্কাকে জীবন দেন তাওহিদ হৃদয়। শরিফুলের করা সেই ওভারে আসে ১৮ রান।
পরের ওভারে আবারও আসালাঙ্কার ক্যাচ ছাড়েন হৃদয়। তবে তার থ্রো ধরে লঙ্কান অধিনায়ককে রান আউট করেন লিটন। সেই ওভারে দুর্দান্ত বোলিংয়ে দুই উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ। তাসকিনের করা শেষ ওভারে একটি করে চার ও ছক্কায় ১০ রান নেন শানাকা।