স্পোর্টস ডেস্ক: ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের হ্যান্ডশেক বিতর্কের জন্য ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে নিশানা করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। এ বার সূর্যকুমার যাদবকে নিশানা করলেন পাক কর্তারা। যদিও সরাসরি তাঁর নাম করা হয়নি।
বুধবার সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে দল নামানো নিয়ে দীর্ঘ বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। পাইক্রফ্টকে নিয়ে অবস্থান ঠিক করতে এবং এশিয়া কাপ বয়কটের হুঁশিয়ারি থেকে সরে আসার রাস্তা খুঁজতে নকভি ডেকে নিয়েছিলেন পিসিবির দুই প্রাক্তন প্রধান রামিজ় রাজা এবং নাজম শেঠিকে। -- আনন্দবাজার
বৈঠক শেষ হওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তাঁরা। তখনই ভারতীয় দলের অধিনায়কের বিরুদ্ধে সুর চড়ান রামিজ়। তিনি বলেছেন, পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে গিয়েছিল।
বিষয়টার সঙ্গে আবেগ জড়িয়েছিল। তবু আমরা এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি, যা ক্রিকেটের ক্ষতি করতে পারে। এ জন্য আমি খুশি। ক্রিকেটের ক্ষতি আটকানোর ব্যাপারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
আমার মনে হয় যতই আবেগ থাকুক, সেটা মাঠে খেলার সময় দেখানো উচিত। ক্রিকেটের দেশ হিসাবে কতটা ভাল, সেটা মাঠে দেখানোই ঠিক। ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সময় যে কথাগুলো বলা হয়েছে (পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং অপারেশন সিঁদুর নিয়ে সূর্যকুমারের বক্তব্য), সেগুলো নিয়েই আমার সবচেয়ে বেশি আপত্তি ছিল।
পক্ষপাতিত্বেরও অভিযোগ তুলেছেন রামিজ়। তিনি বলেছেন, ‘‘ম্যাচ রেফারি ক্ষমা চেয়েছেন। এটা ক্রিকেটের ভাল দিক। ক্রিকেটের মধ্যেই ক্রিকেট থাকা উচিত। মহসিন বিষয়টা দেখছেন। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হওয়াই ভাল। তবে যেটা সবচেয়ে আকর্ষণীয়, সেটা হল পাইক্রফ্ট ভারতের প্রিয় ম্যাচ রেফারি। ধারাভাষ্য দিতে গিয়ে সব জায়গাতেই দেখি ভারতের ম্যাচগুলোয় পাইক্রফ্টই দায়িত্বে থাকেন।
ভারতের খেলা অন্তত ৯০টি ম্যাচে পাইক্রফ্ট দায়িত্ব সামলেছেন। এই ব্যাপারটাও আমার পক্ষপাতিত্ব মনে হয়েছে। এটাও ঠিক নয়। নিরপেক্ষতা থাকা দরকার। আশা করব, আগামী দিনে ভাল কিছু হবে।
পিসিবির আর এক প্রাক্তন চেয়ারম্যান শেঠি বলেন, ‘‘খেলাধুলাকে সব সময় রাজনীতির বাইরে রাখতে চেয়েছে পিসিবি। আমি চেয়ারম্যান থাকার সময়ও এই বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতাম। অথচ ওরা (ভারত) রাজনীতি করছে। আমরা কিন্তু কিছু করিনি। আমরা ক্ষমা চাইতে বলেছিলাম। উনি (পাইক্রফ্ট) ক্ষমা চেয়েছেন। আসলে ক্রিকেটই জিতেছে। সকলে আমাদের অবস্থানকে সমর্থন করেছে। অন্য দিকে, ভারতের ভূমিকা নিয়ে সকলের প্রতিক্রিয়াও আপনারা জানেন।
নকভি জানিয়েছেন, তাঁদের এশিয়া কাপ বয়কটের অবস্থানে সমর্থন ছিল পাক সরকারের। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা যদি প্রতিযোগিতা বয়কটের পথে হাঁটতাম, তা হলে সেটা খুব বড় একটা সিদ্ধান্ত হত। প্রধানমন্ত্রী, সরকারি আধিকারিকেরা এবং আরও অনেকে জড়িত ছিলেন পুরো বিষয়টার সঙ্গে। সকলেই আমাদের পাশে ছিলেন। আমরা যা করার পরিস্থিতি বুঝেই করেছি।