স্পোর্টস ডেস্ক : এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে সাত উইকেটে হারানোর পর ভারতীয় ক্রিকেটারদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক না করার সিদ্ধান্ত ঘিরে ক্রিকেটবিশ্বে বড় বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ম্যাচ শেষে দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে কোনো রকম সৌজন্য বিনিময় না হওয়ায় পাকিস্তান ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে এবং বিষয়টি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের দৃষ্টিতে নিয়ে গেছে। এসিসি ও আইসিসির কাছে সরকারিভাবে অভিযোগও করেছে পিসিবি। -- নিউজ১৮
পাকিস্তান দলের ম্যানেজার নবীদ আকরাম চিমা ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছেন। চিমার অভিযোগ, ভারতের আচরণ ‘খেলার চেতনার পরিপন্থী’। পাশাপাশি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) আইসিসির কাছে দাবি জানিয়েছে পাইক্রফটকে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ দেওয়ার, কারণ তারা মনে করছে তিনি আচরণবিধি যথাযথভাবে প্রয়োগ করেননি।
ভারতের পক্ষ থেকে হ্যান্ডশেক এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে অনেকেই রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেখছেন। গত এপ্রিল মাসে কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে পাকিস্তানি জঙ্গিদের হামলায় ২৬ জন ভারতীয় নিহত হন। সেই প্রেক্ষিতেই ভারতীয় খেলোয়াড়রা পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো ধরনের সৌজন্যমূলক আচরণ না করার সিদ্ধান্ত নেয়। ম্যাচ শেষে সূর্যকুমার যাদব জয়টিকে শহীদদের ও ‘অপারেশন সিন্দুর’-এ অংশ নেওয়া ভারতীয় সেনাদের প্রতি উৎসর্গ করেন।
আইসিসির আচরণবিধির ২.১.১ ধারা অনুযায়ী, খেলার চেতনা ও সৌজন্যতার বিরুদ্ধে যেকোনো আচরণকে ‘লেভেল ১ অপরাধ’ হিসেবে গণ্য করা হয়।
এই ধারা অনুযায়ী আম্পায়ার, প্রতিপক্ষ ও খেলার প্রতি সম্মান দেখানো বাধ্যতামূলক। যদিও এই ধারা কিছুটা ব্যাখ্যামূলক ও রেফারির নিজস্ব বিচারবোধের ওপর নির্ভরশীল, তবুও আইসিসির পক্ষ থেকে তদন্ত হতে পারে।
এই ধরণের অপরাধের শাস্তির মধ্যে থাকতে পারে আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা, ম্যাচ ফি-এর সর্বোচ্চ ৫০% জরিমানা এবং এক বা দুই ডিমেরিট পয়েন্ট। তবে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সম্ভাবনা কম, কারণ এটিকে ছোটখাটো অপরাধ হিসেবে দেখা হয়।