স্পোর্টস ডেস্ক : দুর্দান্ত, অবিশ্বাস্য পারফরমেন্স দেখালো পিএসজি। যে দলটি দুই গোলে পিছিয়েছিলো, তারা যে এভাবে কামব্যাক করবে তা নি:সন্দেহে অবিশ্বাস্য। কিন্ত সেটাই করে দেখালো প্যারিসের দলটি।
এক কথায় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর দুরন্ত এক গল্প লিখে উয়েফা সুপার কাপ নিজেদের করে নিয়েছে পিএসজি।
ইতালির ব্লু এনার্জি স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে টটেনহ্যাম হটস্পারের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র। এরপর পেনাল্টিতে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে আরও একটি ইউরোপিয়ান ট্রফি তাদের শোকেসে যোগ করলো লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ইতালির উদিনের ব্লু এনার্জি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ম্যাচটি। এতে ফেভারিটের তকমা নিয়েই সুপার কাপের ফাইনালে নামে পিএসজি। ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলেও আধিপত্য ছিল প্যারিসের ক্লাবটির। ছাড় দেয়নি টটেনহ্যামও। পিএসজি’র চোখে চোখ রাঙিয়ে খেলতে থাকে স্পার্সরা। তবে বল দখলে প্যারিসের ক্লাবটি এগিয়ে থাকলেও প্রথম জালের দেখা পায় ইউরোপা লিগ জেতা দলটি। ৩৯ মিনিট পর্যন্ত পিএসজি তাদের আটকে রাখলেও হয়নি শেষ রক্ষা। দুর্দান্ত হেডে স্কোর শিটে নাম লেখান মিকি ফন দে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পিএসজি সমর্থকদের আবারো চুপ করিয়ে দেয় টটেনহ্যাম। তৃতীয় মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন অধিনায়ক রোমেরো। পেদ্রো পারোর ফ্রি-কিকে হেডে গোলটি করেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ ও দুটি কোপা আমেরিকা জয়ী ডিফেন্ডার। দুই গোলে পিছিয়ে পড়ার পর আক্রমণে ধার বাড়ায় পিএসজি। ৬৫তম মিনিটে টটেনহ্যামের জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয় গোলটি।
ম্যাচের সময় তখন ৮৫ মিনিট। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হতে বাকি মাত্র ৫ মিনিট। এই ৫ মিনিটেই বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। কাং ইন লি’র কল্যাণে এক গোল শোধ দেয় প্যারিসিয়ানরা। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্ত। দ্বিতীয় ইউরোপিয়ান শিরোপার সঙ্গে টটেনহ্যামের ব্যবধান ছিল মাত্র কয়েক সেকেন্ডের। কিন্তু ৯৪ মিনিটে রামোস পিএসজিকে সমতায় ফিরিয়ে লিখেন দারুণ এক প্রত্যাবর্তনের গল্প। সেই গোলে ২-২ এ নির্ধারিত সময় শেষ হলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।