শিরোনাম
◈ শোকাহত ভারতের ক্রীড়াঙ্গন ◈ একক দলকেই প্রাধান্য, জাতীয় ঐকমত্য উপেক্ষিত—মুহাম্মদ ইউনূস-তারেক রহমান বৈঠকের সমালোচনায় এনসিপি ◈ গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও শিক্ষা-অর্থনীতির চ্যালেঞ্জে একমত ড. ইউনূস ও গর্ডন ব্রাউন ◈ টেস্ট চ‌্যা‌ম্পিয়ন‌শিপ ফাইনাল জিত‌তে আফ্রিকাকে ২৮২ রানের লক্ষ্য দিলো অস্ট্রেলিয়া ◈ অ‌ধিনায়ক মেহে‌দী মিরাজ বললেন, আমা‌দের দলে প্রতিভার অভাব নেই ◈ ‌ডি ব্রুইনা আর ম‍্যানসিটিতে খেল‌বেন না, যোগ দি‌লেন নাপোলিতে  ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা বাংলাদেশের ◈ ইসরাইলের ২০০ যুদ্ধবিমানের একযোগে হামলা: ইরানে নিহত ৭০ ছাড়িয়েছে, আহত তিন শতাধিক ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক একটি টার্নিং পয়েন্ট: মির্জা ফখরুল (ভিডিও) ◈ গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে প্রাণ গেল ৫ জনের

প্রকাশিত : ১১ জুন, ২০২৫, ১০:১৫ দুপুর
আপডেট : ১৩ জুন, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

আইসিসির হল অব ফেইমে স্থান পে‌লেন ৭ ক্রিকেটার

স্পোর্টস ডেস্ক : আইসিসি হল অব ফেইমে জায়গা পেয়েছেন ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি, দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা ও গ্রায়েম স্মিথ, অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথিউ হেইডেন, নিউ জিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেটোরি, ইংল্যান্ডের সারাহ টেইলর ও পাকিস্তানের সানা মীর।

হল অব ফেইমে জায়গা পাওয়া আগের তারকা ক্রিকেটার, জ্যেষ্ঠ নির্বাহী ও সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা এই সাত ক্রিকেটারকে নির্বাচিত করেন। সোমবার লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়। সব মিলিয়ে এই সম্মান পাওয়া ক্রিকেটারের সংখ্যা এখন ১২২। -- অলআউট স্পোর্টস

সীমিত ওভারের ক্রিকেটের তিনটি আইসিসি টুর্নামেন্ট জেতা একমাত্র অধিনায়ক হলেন ধোনি। ২০০৭ সালে তার নেতৃত্বে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের শিরোপা ঘরে তোলে ভারত। এরপর ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে তার হাত ধরে ২৮ বছর পর এই টুর্নামেন্টে শিরোপার স্বাদ পায় দেশটি। এরপর ২০১৩ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়েও দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। এই উইকেটকিপার-ব্যাটারের অধিনায়কত্বেই প্রথমবারের মতো আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিল ভারত।

দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্টে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকানো আমলা ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা সময়জুড়ে ব্যাট হাতে ধারাবাহিক ছিলেন। ১২৪ টেস্ট খেলে ৪৬ দশমিক ৬৪ গড়ে তার রান ৯ হাজার ২৮২, সেঞ্চুরি ২৮টি। ১৮১ ওয়ানডেতে প্রায় পঞ্চাশ গড়ে করেছেন ৮ হাজার ১১৩ রান, শতক ২৭টি। অন্যদিকে ৪৪ টি-টুয়েন্টি খেলে ১ হাজার ২৭৭ রান করেছেন।

টেস্ট ও ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে থাকার পাশাপাশি টি-টুয়েন্টেও সেরা দশে ছিলেন আমলা।

অন্যদিকে আমলার দীর্ঘদিনের সতীর্থ স্মিথ দক্ষিণ আফ্রিকা দলের অধিনায়ক হয়েছিলেন ২২ বছর বয়সে। তার নেতৃত্বে ১০৯ টেস্ট খেলা প্রোটিয়ারা জয় পেয়েছে ৫৩টিতে। বাঁহাতি এই ব্যাটার ছাড়া টেস্ট ইতিহাসে কোনো অধিনায়ক এত ম্যাচে কোনো দলকে নেতৃত্ব দেননি। অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি টেস্ট জয়ের রেকর্ডটিও তার। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একাধিক টেস্ট সিরিজ জয়ে দলকে নেতৃত্ব দেন তিনি। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকাকে তুলেছিলেন টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে।

হেইডেন আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে নিজেকে অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসের অন্যতম সেরা ওপেনার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। অস্ট্রেলিয়ার ২০০৩ ও ২০০৭ বিশ্বকাপ জয়ে এবং টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার লম্বা সময় রাজত্ব করায় বড় অবদান ছিল বাঁহাতি এই ব্যাটারের।

১০৩ টেস্ট খেলে ৩০ সেঞ্চুরি ও ৫০ দশমিক ৭৩ গড়ে ৮ হাজার ৬২৫ রান করেছেন হেইডেন। অন্যদিকে ১৬১ ওয়ানডেতে ১০ সেঞ্চুরি ও প্রায় ৪৪ গড়ে তার রান ৬ হাজার ১৩৩।

অন্যদিকে ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারদের একজন ভেটোরি নিউ জিল্যান্ডের ইতিহাসের সেরা স্পিনার। টেস্টে ৪ হাজার রান ও ৩০০ উইকেটের ‘ডাবল’ অর্জন করা তিন ক্রিকেটারের একজন হলেন এই বাঁহাতি।

১১৩ টেস্টে বাঁহাতি স্পিনে উইকেট ৩৬২টি, রান সাড়ে চার হাজারের বেশি। ২৯৫ ওয়ানডে খেলে ৩০৫টি উইকেট শিকারের পাশাপাশি রান করেছেন ২ হাজার ২৫৩। এছাড়াও লম্বা সময় নিউ জিল্যান্ড দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন ভেটোরি।
মেয়েদের ক্রিকেটে অন্যতম সেরা উইকেটকিপারদের একজন হলেন টেইলর। মাত্র ১৭ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ২০০৯ সালে ইংল্যান্ডকে মেয়েদের ওয়ানডে ও টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূকিরা রাখেন তিনি। এরপর দলকে ২০১৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতাতেও তার অবদান ছিল। ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে উইকেটের পেছনে ২৩২টি ডিসমিসালে অবদান রাখেন টেইলর, যা সেই সময়ে মেয়েদের ক্রিকেটে ছিল সর্বোচ্চ।

পাকিস্তানের হয়ে ১২০ ওয়ানডে খেলা সানা দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৭২টিতে। অন্যদিকে ১০৬ টি-টুয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব করেছেন ৬৫টিতেই। তার নেতৃত্বে ২০১০ ও ২০১৪ এশিয়ান গেমসে সোনা জয় করে পাকিস্তান। ডানহাতি অফস্পিনে ওয়ানডেতে তার শিকার ১৫১ উইকেট, যা এখনও দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। অন্যদিকে টি-টুয়েন্টিতে তিনি নিয়েছেন ৮৯ উইকেট। এছাড়া দুই ফরম্যাট মিলিয়ে তিনি প্রায় আড়াই হাজার রান করেছেন। পাকিস্তানের প্রথম কোনো নারী ক্রিকেটার হিসেবে এই সম্মাননা পেলেন সানা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়