শিরোনাম
◈ যমুনার সামনে বিক্ষোভকারীদের জুমার নামাজ আদায়, নিরাপত্তা জোরদার, বাড়তি সতর্কতা ◈ নিয়ন্ত্রণরেখায় ফের ভারত-পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি ◈ পাকিস্তান যদি পাল্টা আঘাত হানে, তখন তা ঘোষণার কোনও দরকার হবে না: জেনারেল আহমেদ শরিফ ◈ অনিশ্চয়তার মাঝেও পি‌সি‌বি চায় বাংলাদেশ দল পাকিস্তান সফরে আসুক ◈ এই প্রথম হ‌কি বিশ্বকাপে আম্পায়া‌রিং করবেন  বাংলা‌দে‌শের সে‌লিম ও শাহবাজ  ◈ পারভেজ হত্যায় গ্রেফতার অভিযুক্ত টিনা ◈ রাফালের ধ্বংসাবশেষ সরানোর প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি ভেরিফাই! ◈ যুদ্ধক্ষেত্রের ‘সাইলেন্ট কিলার’ হারোপ ড্রোনের বিশেষত্ব কী? (ভিডিও) ◈ এখানে আরেকটা বেয়াদব আছে, সে শহীদ ফ্যামিলিকে ননসেন্স বলেছে: সংবাদ সম্মেলনেই শহীদ ইয়ামিনের বাবা(ভিডিও) ◈ দুপুরের মধ্যে সব রাজনৈতিক দলকে ডেকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি, জানিয়েছেন জামায়াতের ঢাকা দক্ষিণের সেক্রেটারি

প্রকাশিত : ১১ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৫:০০ বিকাল
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০১:৩৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে কাজ করবে জাতীয় পার্টি

মনিরুল ইসলাম: [২] বিশেষ করে রংপুরে ভোটার উপস্থিত বাড়াতে জোর দেওয়া হয়েছে। কারণ রংপুরে লাঙ্গলের ভোটব্যাংক রয়েছে। এই ভোটারদের যেকোনো মূল্যে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত করতে হবে। 

[৩] সূত্র মতে, বিএনপিসহ কিছু দল অংশ না নেওয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নির্বাচন যাতে গ্রহণযোগ্য হয় তার জন্য জাতীয় পার্টিকে বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বৈঠকে এ নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানা যায়।

[৪] জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুও এই কথাই বলেছেন। তিনি বলেন, আমরা সরকারি দলের সাথে অর্থবহ নির্বাচন, নির্বাচনী পরিবেশ এবং ভোটকেন্দ্রে যাতে ভোটাররা আসতে পারে তা নিয়ে কথা বলেছি। ভোটাররা ভোটকেন্দ্র না আসলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব হয়। 

[৫] জাপার কো- চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, বিদেশিরা মনে হয় না এই নির্বাচনের জন্য হুমকিস্বরূপ। তারা ইতিমধ্যে চুপ মেরে গেছেন। দৌড়ঝাঁপ কমে গেছে। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠক প্রয়োজনে আরও হবে। বৈঠক নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা দুই পক্ষ থেকেই বারণ আছে। দলের মহাসচিব যা বললেন তাই দলের কথা। ভোটের পরিবেশ ভালো না হলে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে না। ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর দায়িত্ব সকল প্রার্থীর বলে আমি মনে করি।

[৬] এদিকে, নির্বাচন কমিশনের হিসাব মতে, ১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে ৭৫টি দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনে ভোট পড়ে ৫৫.৫৪ শতাংশ। ১৯৯৬ সালে সপ্তম সংসদ নির্বাচনে ৮১টি দল অংশ নেয়। ভোট পড়ে ৭৫.৬০ শতাংশ। ২০০১ সালে অষ্টম সংসদ নির্বাচনে ৫৫টি দল নির্বাচনে অংশ নেয়। ভোট পড়ে ৭৪.৬০ শতাংশ। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে ৩৮টি দল অংশ নেয়। ওই নির্বাচনে ভোট পড়ে ৮৭.১৩ শতাংশ। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১২টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয়। ভোট পড়েছিল ৪০.০৪ শতাংশ। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৮০.৪১ শতাংশ। 

[৭] আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ চাচ্ছে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে। তাই দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি অনেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। রয়েছে ১৪ দলের প্রার্থী ও জাতীয় পার্টি। স্বতন্ত্র প্রার্থীদেরও উৎসাহিত করা হচ্ছে। কারণ একটায় ভোটার উপস্থিতি দেখানো। যাতে বিদেশিরা ভোটার উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করতে না পারেন ।

[৮] ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি সমঝোতা করে নির্বাচন করে আসছে। এর মধ্যে নবম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে দল দুটি ছিল মহাজোটের অংশ। বিএনপির বর্জনে দশম সংসদ নির্বাচনে জোট না হলেও আসন সমঝোতা হয়েছিল আওয়ামী লীগ আর জাতীয় পার্টির মধ্যে। এবারও ব্যতিত্রুম হবে না। জাপার হেভিওয়েট প্রার্থীদের ছাড় দেওয়া হতে পারে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

এমআই/এসসি/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়