রিয়াদ হাসান: [২] বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, গোটা বিশ্ব যখন বাংলাদেশের ভোটাধিকার বঞ্চিত, গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে সরব তখন গত ১৫ বছর ধরে বিনা ভোটে বন্দুকের নলের মুখে ক্ষমতা দখল করে থাকা নাৎসিবাদী মাফিয়া শাসক শেখ হাসিনার পক্ষে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে রাশিয়া, চীন ও ভারত।
[৩] তিনি বলেন, রাশিয়া-চীনে তো গনতন্ত্র নেই। আমাদের কাছের প্রতিবেশী ভারত, যে রাষ্ট্রটি গনতান্ত্রিক। যেখানে গনতন্ত্রের ঐতিহ্য আছে। সেই ভারত সরকার সরাসরি কিভাবে একটি অগনতান্ত্রিক মনস্টার স্বৈরাচারের পক্ষে অবস্থান নেয়? মুখে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে আছে বললেও তারা ১৮ কোটি জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যা অতীব দুঃখজনক।
[৪] শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।
[৫] অগণতান্ত্রিক কার্যকারিতা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি ভারতীয় সমর্থন বিস্ময়কর উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারতের পূর্বের প্রতিবেশী বাংলাদেশে মোদি সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদী শাসনকে সমর্থন করছে। ভারত বাংলাদেশে নিজের ফেবারিট নিয়ে খেলেছে এবং কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে তার ফেবারিট হলো আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি ভারতের দৃঢ় সমর্থন দলটিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে এবং মানবাধিকার কর্মীদের (দায়মুক্তি সহ কঠোর) আইনের অধীনে জেলে নিতে উৎসাহিত করেছে। যে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তরের নিশ্চয়তা দিয়ে থাকে সেগুলোকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করে দিয়েছে।
[৬] তিনি বলেন, ভারতের সরকার বাংলাদেশের জনগণকে তার প্রতিপক্ষ করেছে, কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ ভারতের জনগণকে বন্ধুসুলভ বলে মনে করে। কর্তৃত্ববাদী দেশ রাশিয়া শেখ হাসিনাকে সমর্থন করতে পারে। কারণ রাশিয়াতে কোন গণতন্ত্রের ছিটেফুটোও নেই। কিন্তু ভারতের সরকার বাংলাদেশের শেখ হাসিনা সমর্থন করাটা গভীর রহস্যজনক এবং সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
[৭] রিজভী বলেন, ভারতের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আপনি বাংলাদেশে জনগণের বন্ধু হতে পারবেন না।
[৮] গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের গ্রেপ্তার, মামলা, আসামি, আহত এবং মৃত্যুর সংখ্যা তুলে ধরেন রিজভী জানান, এ সময়ে ৩১৫ জনকে গ্রেপ্তার হয়েছে, আহত হয়েছে ২০ জন, মারা গেছেন ২ জন এবং মামলা দায়ের করা হয়েছে ১২টি। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৩১৫ জনকে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
আরএইচ/টিএবি/এনএইচ