রিয়াদ হাসান: [২] বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, চলমান সংঘাতময় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। প্রহসনের একতরফা নির্বাচনের তফসিল বাতিল করুন।
[৩] বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হরতাল কর্মসুচীর সমর্থনে ঢাকা মহানগর লেবার পার্টির বিক্ষোভ মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
[৪] ডা. ইরান বলেন, বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার নজির নাই। শেখ হাসিনা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের একতরফা নির্বাচন করে গনতন্ত্রের কবর রচনা করেছেন। তাই বাংলাদেশের কোন দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তি হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, তা কেউ বিশ্বাস করে না।
[৫] তিনি বলেন, দেশের প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল সমূহকে বাইরে রেখে শেখ হাসিনার আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন আরেক দফা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য সিঁড়ি হিসাবে কাজ করছে। অন্যদিকে গনতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যই দেশের লাখ লাখ মুক্তিকামী জনতা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করছে। তাই অবিলম্বে তামাসার নির্বাচনের তফসিল স্থগিত করে সকল দলের অংশ গ্রহনের মাধ্যমে জবাবদিহির সরকার ও জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য পদক্ষেপ নিতে আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সহযোগী ও সুশিল সমাজকে উদ্যোগী হতে হবে।
[৬] নগর সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে কর্মসূচীতে আরো বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, অ্যাডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব আবদুর রহমান খোকন, মোহাম্মদ রুম্মান সিকদার, মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন খান, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, নারীনেত্রী পারভিন আক্তার, কেন্দ্রীয় সদস্য মো. রাসেল হোসেন, নগর সদস্য ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মো. মিলন প্রমুখ।
[৭] বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপল্টন মসজিদ গলি, বিএনপি কার্যালয়, নাইটিঙ্গেল মোড়, বিজয়নগর, পল্টন, তোপখানা রোড, সচিবালয়, প্রেসক্লাব, বায়তুল মোকাররমের উত্তর পাশে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
আরএইচ/টিএবি/একে