আমিনুল ইসলাম: [২] সাবেক এমপি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী স্মরণে মঙ্গলবার ঢাকা জজকোর্ট প্রাঙ্গণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা জজকোর্ট আইনজীবী শাখা। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
[৩] জজকোর্ট শাখার সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন ও সাঈদীর পুত্র মাসুদ বিন সাঈদী। জজকোর্ট আইনজীবী শাখার সেক্রেটারি এডভোকেট আবু বক্কর সিদ্দিকের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন এডভোকেট লুৎফর রহমান, এডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম, এডভোকেট রেজাউল হক রিয়াজ, এড. জাহাঙ্গির হোসেন, এড. সাইফুল্লাহ ইসলামাবাদী, এড. আব্দুল মালেক ইমন, অ্যাডভোকেট আল মামুন রাসেল। উপস্থিত ছিলেন এড. মহিউদ্দিন, এড. ইউনুছ সুমন, এড. হাসানুল বান্না, এড. ফোরকানুজ্জামান, এড. আবু হানিফ প্রমুখ।
[৪] সভায় ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, আল্লামা সাঈদী ছিলেন বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ’র প্রেরণার উৎস। মাওলানা সাঈদী বাংলাদেশে কিচ্ছা কাহিনির প্রচলিত ওয়াজ মাহফিলের পরিবর্তে তাফসিরুল কুরআনের নতুন ধারার প্রবর্তন করেন। তিনি সরাসরি কুরআনের তাফসীর মানুষের সামনে তুলে ধরতেন। পুরো পৃথিবীতে আজ সাঈদীর দেখানো সেই ধারায় কুরআনের তাফসির শুরু হয়ে গেছে। ইসলাম শুধুমাত্র একটি ধর্ম নয় বরং ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা তা এদেশের মানুষের সামনে তিনি তুলে ধরেছেন।
[৫] তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তিনি যুব সমাজকে সচেতন করতেন। বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি দেশের বরেণ্য ওলামায়ে কেরামগণ কারাগারে বন্দি। মাওলানা মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি আমীর হামজা সহ সকল ওলামায়ে কেরামগণকে দেশের তৌহিদী জনতা মুক্ত করতে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়ে কারাবন্দি আলেমদেরকে মুক্ত করতে হবে। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
