রিয়াদ হাসান: [২] বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুু আরো বলেছেন, ঘরে বসে থাকলে চলবে না। এখন বাহিরে বের হওয়ার সময় রাস্তায় নামার সময়। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে রাস্তায় নামলেই এই সরকারের পতন হবে। দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হবে। আর এই জন্যে ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদেরকে একটা জায়গায় দাঁড়াতে হবে। তাহলে দেশে গণতন্ত্র স্বাধীনতা ফিরে আসবে।
[৩] মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দ্রুত সুচিকিৎসা, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
[৪] দুদু বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে, দেশের মানুষের ভোটার অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে, দেশের মানুষের স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হলে প্রথমে কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। এছাড়া দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে না। এবং শান্তিপূর্ণ কোন কিছু হবে বলে আমার মনে হয় না।
[৫] কৃষকদলের সাবেক এই আহ্বায়ক বলেন, দেশনেত্রী জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে এটা প্রধানমন্ত্রী জানেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মণী তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী যিনি তার জীবনের কোন নির্বাচনে হারেনি। তার পরিবার থেকে তার সুচিকিৎসার জন্য আবেদন করা হয়েছে। এটাই প্রথম আবেদন না এর আগেও করা হয়েছিল। আমরা মনে করেছিলাম অসুস্থ নেত্রী, যিনি দেশনেত্রী তার সু চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণের কোন ব্যবস্থা করবে সরকার। কিন্তু আইন মন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কথা বলার আগে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়েস অফ আমেরিকার সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী এটা সরাসরি নাকোচ করে দিয়েছেন। তিনি দম্ভিকতার সাথে এটা নাকোচ করে দিয়েছেন।
[৬] বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান সভাপতিত্বে ও সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান শামীম এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন প্রমুখ। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
