রিয়াদ হাসান: জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।
রোববার (২৮ মে) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। সূত্র: বাংলানিউজ২৪.কম
এদিন কোনো সাক্ষীকে আদালতে হাজির হতে দেখা যায়নি। তাই আদালত সোমবার (২৯ মে) সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
গত ২৫ মে দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। সেদিন সাক্ষ্য দেন এমরান আলী শিকদার এবং সৈয়দ আজাদ ইকবাল। তারা ঘটনার সময় বিএনপির মুখপাত্র হিসেবে পরিচিত দৈনিক দিনকালে চাকরি করতেন।
মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত তিন জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বিষয়টি জানিয়েছেন। সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন.কম
এর আগে, গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
উল্লেখ্য, গত বছর ১ নভেম্বর একই আদালত তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ১৯ জানুয়ারি তাদের হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির নির্দেশ দেন আদালত।
প্রসঙ্গত, চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরে এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। পরবর্তীতে আবারো মামলাটি বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়। সম্পাদনা: তারিক আল বান্না
আরএইচ/টিএবি/এসবি২