রিয়াদ হাসান: জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ-সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২৫টির বেশি আসন পাবে না। সে কারণে ক্ষমতাসীনরা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে চায় না।
যত চেষ্টাই করুক, ক্ষমতাসীনরা এবার পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। কারণ, দেশের জনগণ আর কোনো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেবে না। নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের আন্দোলন চলবে এবং সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
শনিবার (১৮ মার্চ) সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে রাজধানীর বিজয়নগরে আল রাজি কমপ্লেক্সের সামনে এসব কথা বলেন ড. ফরহাদ। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায় এবং নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবিতে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
তিনি বলেন, মিথ্যা মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। তিনি সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। ক্ষমতাসীনরা এখন বলছেন, বেগম জিয়া রাজনীতি করতে পারবেন। আমরা বলব, খালেদা জিয়া শুধু রাজনীতি কেন, নির্বাচনও করবেন এবং তিনি আগামীতে এদেশের প্রধানমন্ত্রীও হবেন।
জোটের সমন্বয়ক আরো বলেন, সরকার আবারো ২০১৮ সালের মতো একটি প্রহসনের নির্বাচন করার দিবাস্বপ্ন দেখছে। সরকারকে বলব, ওই ধরনের নির্বাচন করার স্বপ্ন ভুলে যান। দলীয় সরকারের অধীনে এদেশে কোনো নির্বাচন হবে না, জনগণ এ ধরনের কোনো নির্বাচন হতে দেবে না। তাই সময় থাকতে জনদাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করুন। অন্যথায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
জাগপার সাধারণ সম্পাদক এস এম শাহাদাতের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরো বক্তব্য দেন, জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, গণদলের চেয়ারম্যান এটিএম গোলাম মাওলা চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান এম এন শাওন সাদেকী, মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল বারিক, যুগ্ম মহাসচিব আবু মেহেদী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
আরএইচ/এএ