শিরোনাম
◈ নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, এটি জাতির জন্য ঐতিহাসিক মুহূর্ত হবে:: প্রধান উপদেষ্টা ◈ গণভোটসহ পাঁচ দফা দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা আন্দোলনরত ৮ দলের ◈ রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার, মোড়ে মোড়ে গাড়ি তল্লাশি ◈ মিরপুরে শতাব্দী পরিবহনের বাসে আগুন ◈ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গ্রামীণ ব্যাংক কার্যালয়ে আগুন (ভিডিও) ◈ নতুন পে স্কেল বাস্তবায়ন নিয়ে যে বার্তা দিলেন অর্থ উপদেষ্টা ◈ গাজীপুর-৬ আসন পূর্ণ বহালের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ ◈ উত্তরার জসিমউদ্দিনে মাইক্রোবাসে আগুন ◈ বাংলাদেশে নতুন উগ্রবাদী ঘাঁটি তৈরি করছে জামায়াত, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের টার্গেট করছে সংগঠন: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ অর্ধ বি‌লিয় ডলার ব‌্যয়ে গাজায় বিশাল সেনা-ঘাঁটি তৈ‌রির প‌রিকল্পনা  আ‌মে‌রিকার, হাজার হাজার সেনা পাঠানোর উদ্যোগ

প্রকাশিত : ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ০১:১৩ দুপুর
আপডেট : ১২ নভেম্বর, ২০২৫, ০৩:০৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশে নতুন উগ্রবাদী ঘাঁটি তৈরি করছে জামায়াত, মেডিকেল শিক্ষার্থীদের টার্গেট করছে সংগঠন: সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের মধ্যে উগ্রপন্থা ছড়িয়ে পড়া ভারতের জন্য উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। নিউজ১৮-এর সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তার দাবি, জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ইতিমধ্যেই প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তাদেরকে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন খুব দ্রুত উগ্রবাদের একটি নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠছে।

আমাদের সময়ে আমরা কখনো ভারত বা নেপাল থেকে আসা কোনো শিক্ষার্থীকে উগ্রপন্থায় জড়াতে দিইনি। কিন্তু এখন সবকিছুই ঘটছে। কামাল আরও বলেন, আমাদের সময়ে অনেক বিদেশি ছাত্র বাংলাদেশে পড়তে আসতেন। আমরা তাদের বিদেশি শিক্ষার্থী হিসেবে সহযোগিতা করতাম। কিন্তু আমার কাছে যেসব তথ্য আছে সে অনুযায়ী এখন জামায়াত ও বর্তমান সরকার মিলে ভারতীয় ছাত্রদের উগ্রবাদী করে তুলছে।

তিনি অভিযোগ করেন, জামায়াত এখন ছাত্রদের দিয়ে একটি ‘মিলিশিয়া বাহিনী’ তৈরি করছে। তারা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে সহায়তা করবে। প্রায় ৮০০০ ছাত্রকে ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং একটি বিদেশি রাষ্ট্র থেকে অস্ত্র সরবরাহ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের শাসনামলে জামায়াতে ইসলামী, তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির এবং হিজবুত তাহরির নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন তারা আবারও শক্তিশালী হয়ে উঠছে এই নতুন মিলিশিয়া বাহিনীর সহায়তায়।

কীভাবে শিক্ষার্থীরা উগ্রপন্থায় জড়াচ্ছে

নিউজ১৮-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, বাংলাদেশের তরুণদের মধ্যে বাড়তে থাকা উগ্রপন্থার প্রবণতা এখন ভারতের নিরাপত্তা সংস্থার জন্য নতুন উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালের রাজনৈতিক সংকটের সময়, যখন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন, তখন বাংলাদেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে প্রায় ৮৫০০ ভারতীয় শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছিলেন।

সূত্র জানান- ঢাকা, সিলেট, রাজশাহী এবং চট্টগ্রামের মেডিকেল কলেজগুলিতে অধ্যয়নরত ভারতীয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি বড় অংশকে লক্ষ্য করে মতাদর্শগতভাবে প্রভাবিত করার কাজ শুরু হয়। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও তাদের ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবির আবারও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেছে। ছাত্রশিবির এখন ছাত্রাবাস, নামাজ আদায়ের গ্রুপ এবং সাপ্তাহিক ধর্মীয় শিবির বা প্রশিক্ষণ ক্যাম্পগুলোর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে। বিশেষ করে ফরিদপুর, মিরপুর ও উত্তরা মেডিকেল জোনে। এই মেডিকেল কলেজগুলো এখন ভারত ও নেপালের শিক্ষার্থীদের জন্য মতাদর্শগত প্রভাব বিস্তারের ‘আইডিওলজিক্যাল পাইপলাইন’-এ পরিণত হয়েছে।’

সূত্রগুলো আরও বলেছেন, প্রতিবছর ছাত্রভিত্তিক বা ছোট আকারের ইজতেমাসদৃশ ধর্মীয় সমাবেশে প্রায় ২ থেকে ৩ লাখ তরুণ অংশ নেন। এই সমাবেশে ভারতীয় ও বিদেশি শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন। তাদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা এসব সংগঠনই করে দেয় এবং স্থানীয়ভাবে বিশেষ ছাড়ও দেয়া হয়।

অনুবাদ: মানবজমিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়