গত এক বছরে বাংলাদেশের রাজনীতিতে এসেছে পট পরিবর্তন। পতিত স্বৈরাচার হাসিনা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে দেশজুড়ে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ভারতে পালিয়ে গেলে তার দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয় গণহত্যার দ্বায়ে। হাসিনা ভারতে অবস্থান করার সুবাদে তার পরম মিত্র কট্টর ইসলাম বিদ্বেষী সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে মিলে ছক কষতে থাকেন বাংলাদেশে প্রবেশের। হাসিনা আর আওয়ামী লীগের বাংলাদেশের রাজনীতিতে আবারও প্রবেশের যে বাসনা তারই অংশ হিসেবে এবার দিল্লিতে বসেই করা গোপন মিটিংয়ে আওয়ামী লীগের পরবর্তী সভাপতি পদের জন্য হাসিনা তার সাড়ে হাজার খ্যাত সন্ত্রাসী পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়কে মনোনয়ন দিয়েছেন। এমনটিই বলছে, একাধিক নির্ভরযোগ্য রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সূত্র।
এদিকে সেই সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ফ্যাসিস্ট মন্ত্রী হাসান মাহমুদ লন্ডন থেকে এসে দিল্লিতে ২২ দিন অবস্থান করলেও দেখা মেলেনি তার কাক্সিক্ষত খুনি দেশদ্রোহী নেত্রী হাসিনার। এমনকি শেখ পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন হাসিনার ভাতিজা সাবেক ফ্যাসিস্ট এমপি নিক্সন চৌধুরীও এক মাসের ওপর দিল্লিতে ছিলেন হাসিনার দেখা পাবার আশায়, কিন্তু, ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় কোনভাবেই ফ্যাসিস্ট হাসিনার দেখা পানানি তিনিও।
এখন প্রশ্ন উঠছে তাহলে কোন মিটিংয়ে কার সাথে আলোচনা করে হাসিনা জয়কে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি বানাতে চাচ্ছেন? মূলত সূত্রটি বলছে, শেখ পরিবারের সদস্যরা হাসিনার এই মিটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন। এতে দুর্নীতিবাজ শেখ রেহানা, তার পুত্র ববি, হাসিনা কন্যা পুতুলসহ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা পুত্র সন্ত্রাসী জয়, শেখ রেহানার দুর্নীতিবাজ মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক। আর গুরুত্বপূর্ণ সব আওয়ামী লীগ নেতারা। সেখানেই সর্বসম্মতিক্রমে নিজের পুত্রকে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের আগামীর সভাপতি মনোনীত করেন গণহত্যাকারী হাসিনা। তবে, দলটির সাধারণ সম্পাদক কে হবে তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। সূত্রগুলো বলছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা-রেহানা দুই বোন চাচ্ছে শেখ পরিবারের কাউকে এই দায়িত্ব দিতে। যাতে এগিয়ে রয়েছেন রেহানা পুত্র ববি।
দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হওয়া গোপন সেই বৈঠকের বিষয়ে কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক সূত্রগুলো বলছে সেখানে মূলত ৪টি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রথমত, আন্তর্জাতিক মহলে নিজেদের ‘ভিক্টিম’ হিসেবে তুলে ধরা। দ্বিতীয়ত, আগামী ২ বছরের মধ্যে কঠোর কৌশলে রাজনীতিতে পুনরায় প্রবেশের রোডম্যাপ। তৃতীয়ত, গণতন্ত্রের ব্যর্থতার দোহাই দিয়ে বর্তমান সরকার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করা। চতুর্থত, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের একটি শক্ত ভিত্তি গড়ে তোলা।
এসব কৌশল বাস্তবায়নের জন্যই মূলত নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এর বর্তমান ফ্যাসিস্ট সভানেত্রী হাসিনা তার সন্ত্রাসী পুত্র জয়ের হাতেই তুলে দিতে চান দলের ভার। যে কিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় উগ্র পাগলের প্রলাপে অস্ত্র আর গুলির ভয় দেখায় বর্তমান সরকারকে। এদিকে নিষিদ্ধ হলেও আওয়ামী লীগ যে এখনও সক্রিয় এবং সংঘবদ্ধ হয়ে দিল্লির গোপন বৈঠকে ষড়যন্ত্রের পসরা সাজিয়েছে সেটাই যেনো প্রমাণ করে চুরি করে করা হাসিনার এই বৈঠক। উৎস: ইনকিলাব।