শিরোনাম
◈ বৃটেনে বাংলাদেশি প্রভাবশালীদের সম্পত্তি লেনদেন নিয়ে গার্ডিয়ানের বিস্ফোরক প্রতিবেদন ◈ জামায়াতের সমাবেশে বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের বার্তা ◈ এনসিপির নিবন্ধনে ঘাটতি: ৩ আগস্টের মধ্যে সংশোধনের সময় দিয়েছে ইসি ◈ ট্রাম্পের ক্ষোভে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, মামলা ১০ বিলিয়ন ডলারের ◈ নারী সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে শ্রীলঙ্কাকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শিরোপার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র শুল্ক আলোচনা: ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষণ ও ভূ-রাজনৈতিক উদ্বেগ ◈ রাজধানীর পল্লবীতে বাসে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা ◈ ব্রহ্মপুত্রে চীনের দৈত্যাকার বাঁধ: ভারত ও বাংলাদেশের উদ্বেগ উপেক্ষা করেই প্রকল্পের উদ্বোধন ◈ জাতীয় মানবাধিকারের নামে সমকামিতার অফিস করতে দিবো না: মামুনুল হক ◈ মির্জা ফখরুলের ভাইয়ের ওপর হামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত : ২০ জুলাই, ২০২৫, ০২:৪৬ রাত
আপডেট : ২০ জুলাই, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জামায়াতের সমাবেশে বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের বার্তা

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন।। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথমবারের মতো সমাবেশ করলো জামায়াতে ইসলামী। সমাবেশটি কি নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণের বার্তা নিয়ে এলো?

সমমনা নানা দলের নেতাদেরও আমন্ত্রিত ছিলেন সমাবেশে, তাদের কেউ কেউ বক্তৃতাও দিয়েছেন সেখানে। তবে জামায়াতের একসময়কার জোটসঙ্গী বিএনপির কোনো নেতা এই সমাবেশে ছিলেন না।

সাত দফা দাবিতে লড়াইয়ের ঘোষণা

সমাবেশের সভাপতি হিসাবে বক্তৃতা দেয়ার সময় দুইবার অসুস্থ হয়ে পড়েন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান। তবে অসুস্থ অবস্থাতেই মঞ্চে বসেই বক্তৃতা শেষ করেন তিনি।

মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচনে ফিরে যাওয়াকে তিনি পুরনো ব্যবস্থা বলে উল্লেখ করে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন।

জামায়াতের আমীর বলেন, "পুরনো যা কিছু আছে তা সংস্কার করতে হবে। সংস্কার না করে কিছু করতে গেলে আগে যা ছিলো তাই হবে। সংবিধান নতুন করে লিখতে হবে। জুলাই গণহত্যার বিচার অবশ্যই করতে হবে।”

অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সমান সুযোগ নিশ্চিত করাসহ সাত দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামী এই জাতীয় সমাবেশ করলো।

দাবিগুলো হচ্ছে- ১. ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ও অন্যান্য সময় সংঘটিত সকল গণহত্যার বিচার  ২. রাষ্ট্রের সবস্তরে প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার ৩. ঐতিহাসিক জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্রের পূর্ণ বাস্তবায়ন ৪. জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন ৫. জনগণের প্রকৃত মতামতের প্রতিফলন ঘটাতে পিআর (প্রোপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন ৬. প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ৭. রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীদের জন্য সমান সুযোগ ও ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড' নিশ্চিতকরণ।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে জামায়াতের আমীর বলেন, "একটা লড়াই হয়েছে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, আরেকটা লড়াই হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে। জামায়াত যে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়বে, তার প্রথম প্রমাণ হচ্ছে...।" এ কথা শেষ করার আগেই তিনি অসুস্থ হয়ে মঞ্চে পড়ে যান। তবে পরে উঠে তিনি তার বক্তৃতা শেষ করেন।

নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ

এই সমাবেশে বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমন্ত্রণ পায়নি এবি পার্টি ও বাম রাজনৈতিক দলগুলোও।

তবে জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, গণঅধিকার পরিষদসহ আরো কিছু দলের নেতা আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে সমাবেশে উপস্থিত থেকেছেন। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিসহ জামায়াতের অন্য নানা দাবির সঙ্গে যেসব দল মোটামুটি একমত, তাদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

সমাবেশে আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে অংশ নেয়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউর রহমান গাজী ডয়চে ভেলেকে বলেন, "আমরা যারা বিভিন্ন দলের ওখানে ছিলাম তারা সবাই সাত দফা দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছি। আমরাও মনে করি মৌলিক সংস্কার না করে নির্বাচন করলে কোনো পরিবর্তন আসবে না।”

তিনি বলেন, "এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে সামনের রাজনীতিতে মেরুকরণ আরো স্পষ্ট হয়েছে। এটা ৫ আগস্টের পরই শুরু হয়েছে, এখন ধীরে ধীরে তা আরো বাড়ছে। আসলে আমরা যারা আগে মৌলিক সংস্কার চাই, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চাই, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চাই, তারা এক হয়েছি। এখানে ইসলামী দল ছাড়াও এনসিপির মত তরুণদের দল আছে।  কিছু রাজনৈতিক দল আছে যারা মৌলিক সংস্কার ছাড়াই যেনতেন একটা নির্বাচন করে ক্ষমতায় যেতে চায়। তারা আমাদের সঙ্গে নাই। তাদের সমাবেশে দেখাও যায়নি।”

"আসলে যত দিন যাবে, রাজনীতিতে এই মেরুকরণ আরো বাড়বে,” বলেন তিনি। এর আগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশে পিআর পদ্ধতির নির্বাচনকে সামনে নিয়ে আসা হয়। সেখানেও জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। সেখানেও বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. জাহেদ উর রহমান মনে করেন, "জামায়াত আগে থেকেই চাইছে একটি সম্মিলিত বিরোধী দল গড়ে তুলতে, যার প্রধান ফোর্স হবে ইসলামী দলগুলো। ফলে যেসব কওমী মাদ্রাসাভিত্তিক দলের সাথে তাদের বিরোধিতা ছিলো তাদের কাছে টানছে। এর বাইরে এনসিপির মতো আরো কিছু দলকে তারা সঙ্গে নিতে চায়। আর সমাবেশের মধ্য দিয়ে  জামায়াত তার অবস্থানের জানান দিলো।”

এনসিপি জামায়াতের দিকে ঝুঁকছে বলেও মনে করেন জাহেদ। তিনি ডিডাব্লিউকে বলেন, "সংস্কার তো সব দলই চায়। কিন্তু লেভেল প্লেইং ফিল্ড, আইনশৃঙ্খলা, নির্বাচনের পরিবেশ নাই, পিআর পদ্ধতির নির্বাচন এগুলো নিয়ে জামায়াত ও এনসিপি একসুরে কথা বলছে। জামায়াত পাটগ্রাম থানায় হামলার বিরুদ্ধে কথা বলেছে। ওটা বিএনপির লোকজন করেছ। কিন্তু দুই দিন আগে পটিয়া থানায় যে বৈষম্যবিরোধীরা হামলা করেছে সেটা নিয়ে কিন্তু জামায়াত কথা বলেনি।”

জামায়াতের এই সমাবেশে কয়েক লাখ লোকের সমাগম হয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়িয়ে আশপাশের সড়কে সমাবেশ বিস্তৃত হয়। আর পুরো ঢাকা শহরে তৈরি হয় তীব্র যানজট। একদিন আগে থেকেই সারাদেশ থেকে জামায়াত ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেন। জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, "বিভিন্ন জেলা থেকে ১১ হাজার বাস, আট হাজার গাড়ি, চারটি ট্রেনে নেতাকর্মী সমর্থকরা ঢাকায় আসেন। লঞ্চেও এসেছেন অনেকে।”

এই প্রসঙ্গটি উল্লেখ করে জাহেদ উর রহমান বলেন, "সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে জামায়াত তার শক্তি দেখাতে চাইছে। আবার বিএনপিকে ওই সমাবেশে আমন্ত্রণ জানায়নি বা বিএনপি যায়নি। বিষয়গুলো নতুন মেরুকরণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।”

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ ইস্যু আবারো আলোচনায়

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এ সমাবেশে সারা দেশ থেকে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দলটির কয়েক লাখ কর্মী-সমর্থক। জামায়াতে ইসলামী এবারই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করলো।

আওয়ামী লীগ শাসনামলে ১১ বছর ঢাকায় এককভাবে সমাবেশ করার সুযোগ পায়নি জামায়াত। ২০০৯ সালের আগে দলটি সমাবেশ করত পল্টন ময়দানে। ২০১২ সালে ময়দানটিতে রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধ করে সরকার। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাজনৈতিক সমাবেশ আয়োজন শুরু হয় একই বছর থেকে। বিএনপির জোটের সঙ্গে জামায়াত সমাবেশ করলেও এককভাবে কখনও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কর্মসূচি করতে পারেনি।

এবারের সমাবেশের বিভিন্ন স্থানে ৩৩টি এলইডি স্ক্রিন সেট বসানো হয় যাতে নেতাকর্মীরা সরাসরি বক্তব্য শুনতে পারেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তার আশপাশে তিন শতাধিক মাইক লাগানো হয়। সমাবেশস্থলে প্রায় ছয় হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করেন বলে জানিয়েছেন জামায়াতের নেতারা। আর ছিলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক নিরাপত্তা।

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা এবং বাংলাদেশিদের ওপর চালানো পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যায় সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার আগে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে দলটির তৎকালীন আমীর গোলাম আযমসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে। কয়েকজনের ফাঁসিও কার্যকর করা হয়।

তবে আওয়ামী শাসনামলে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের রায়ে খালাস পান। এটিএম আজহারুল ইসলামও ১৯ জুলাই জামায়াতের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

একাত্তরের ভূমিকার জন্য জামায়াতের ক্ষমা চাওয়া উচিত, এমন অবস্থানের কারণে ২০১৯ সালে জামায়াত থেকে বহিষ্কার করা হয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মজিবুর রহমান মঞ্জুকে। পরের বছর তিনি গঠন করেন- আমার বাংলাদেশ পার্টি বা এবি পার্টি। জামায়াতে ইসলামী এবং দলটির ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের বেশ কিছু নেতাকর্মী যোগ দিয়েছিলেন এবি পার্টিতে।

এবি পার্টি এখন পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের পক্ষে থাকলেও দলটিকে জামায়াতের এই সমাবেশে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। দলটির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান ভুঁইয়া মঞ্জু বলেন, "আমরাও তো পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চাই। কিন্তু কোনো কারণে হয়তো আমাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।”

তিনি বলেন, "এই সমাবেশ আসলে সামনের নির্বাচনকে সামনে রেখে করা হয়েছে। তারা যে সাত দফা দাবি দিয়েছে, সে দাবি তারা করতেই পারেন। তারা তাদের গণতান্ত্রিক দাবি করেছেন। সামনের নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা তাদের অবস্থান প্রকাশ করেছেন এই সমাবেশের মাধ্যমে।”

বিএনপিই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী

১৯৯৯ সাল থেকে পরের দুই যুগ বিএনপি ও জামায়াত জোটসঙ্গী ছিল। ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত একসঙ্গে সরকারও পরিচালনা করে দল দুটি।

২০২২ সালের ডিসেম্বরে সমঝোতার ভিত্তিতে দুই দল আলাদা হয়ে যায়। ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর বিএনপির যুগপৎ আন্দোলন থেকেও সরে যায় জামায়াত।

জুলাই অভ্যুত্থানে দল দুটি অংশ নিলেও ৫ আগস্টের পর বিএনপির প্রধান নির্বাচনী প্রতিযোগী হওয়ার চেষ্টা করছে জামায়াত।

বিএনপির যুগ্ম মহাসসিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, "আসলে তারা আমাদের দাওয়াত দেয়নি এটা তাদের দলীয় ব্যাপার। এটা নিয়ে আমাদের কোনো মন্তব্য নাই। তবে এই ধরনের শোডাউন করে রাজনীতি হয় না। তারা আসলে সমাবেশের মাধ্যমে শোডাউন করেছে। জামায়াত একটি ক্যাডার ভিত্তিক সংগঠন। তারা সারাদেশ থেকে তাদের সদস্যদের বাস-ট্রাক, ট্রেন, লঞ্চ ভাড়া করে ঢাকায় এনেছে। তারা তাদের দাবি তুলে ধরেছে। জনগণের কাছে তাদের এই দাবির কোনো সমর্থন আছে কী না সেটাই দেখার বিষয়। ক্যাডার কর্মীদের নিয়ে সমাবেশ করলে দাবীর গ্রহণযোগ্যতা নিরূপণ করা যায় না।”

এমরান সালেহ মনে করেন, দেশের মানুষ পিআর পদ্ধতির নির্বাচন চায় না। তিনি বলেন, "এতে দলের স্বৈরাচারী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে এটাকে সামনে নিয়ে আসছে। আমরাও সংস্কার চাই। দেশে এখন দ্রুত নির্বাচন দরকার।”

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, "বিচার, মৌলিক, সংস্কার এবং নির্বাচন-এই তিনটি প্রধান দাবি। এখন বিচার ও মৌলিক সংস্কার ছাড়া নির্বাচন অর্থহীন। জামায়াতের সমাবেশে সেই কথাই বলা হয়েছে। আমরাও একমত। কিন্তু বিএনপি কেন যেন এই দাবি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আমরা চাই না রাজনীতিতে কোনো মেরুকরণ হোক। আমরা ঐক্য চাই। বিএনপি সেই ঐক্যের নেতৃত্ব নিতে পারতো। তিন্তু তারা দূরে সরে যাচ্ছে।”

জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব বাড়ছে বলেও মনে করেন মনিরা। তিনি বলেন, "বিএনপির দিক থেকে তাদের নানা ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। এটা ঐক্যের পথে অন্তরায়। আমরা চাই সবাই মিলে জুলাইয়ের চেতনায় দেশ গড়তে।”

বাম গণতান্ত্রিক জোটের কোনো দলও জামায়াতের সমাবেশে আমন্ত্রণ পায়নি জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, "জামায়াত নির্বাচনকেই গুরুত্ব দিচ্ছে। তবে এই সমাবেশের মাধ্যমে তাদের দিকের একটি রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলারই চেষ্টা করেছে। তারা এবার সমাবেশের মাধ্যমে শক্তি প্রদর্শন করে সেই বার্তাই দিয়েছে।”

তার কথা, "তাদের নতুন রাজনৈতিক বলয় গড়ে তোলার প্রধান টার্গেট ইসলামী দলগুলো। এর বাইরেও আরো দল আছে যাদের তারা সঙ্গে নিতে চায়। নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা একটি মোর্চা গঠন করে শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হতে চায়।”

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়