শিরোনাম
◈ ৭ আগস্ট প্রকাশ করা হ‌বে ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত নাম প্রকা‌শের তা‌লিকা ◈ অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিধ্বস্ত হয়ে ও‌য়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ড কিংবদন্তিদের শরণাপন্ন  ◈ ছাত্রদল কেন শিবিরকে গুপ্ত সংগঠন বলছে? ◈ বিশ্বকাপের আ‌গে  বাংলা‌দেশ দল কলম্বোতে দু‌টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ

প্রকাশিত : ০৮ জুলাই, ২০২৫, ০৬:০১ বিকাল
আপডেট : ১৫ জুলাই, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মুজিবুল হক চুন্নুই বৈধ মহাসচিব: সংবাদ সম্মেলনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ

মনিরুল ইসলাম: জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ দাবি করেছেন, মুজিবুল হক চুন্নুই এখনো পার্টির বৈধ মহাসচিব। তিনি বলেন, “আমরা এখনও স্বপদে বহাল আছি। ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ।”

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি তুলে ধরেন তিনি। একদিন আগেই (৭ জুলাই) জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মুজিবুল হক চুন্নু এবং আরও একজন সিনিয়র নেতাকে দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেন।

আনিসুল ইসলাম দাবি করেন, যে প্রেসিডিয়াম সভার ভিত্তিতে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা বৈধ নয়। কারণ, “ওই সভায় কোরাম হয়নি এবং গঠনতন্ত্র অনুযায়ী মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনা করে প্রেসিডিয়াম সভা আহ্বান করতে হয়। গঠনতন্ত্রের ২০(৩)(খ) ধারা অনুযায়ী চেয়ারম্যান এককভাবে সভা ডাকতে পারেন না।”

তিনি আরও বলেন, “সম্মেলনের ঘোষণা দেওয়ার পর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের কোনো পদে পরিবর্তন আনা যায় না। আমাদের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা ভিত্তিহীন।”

পার্টির প্রাথমিক সদস্যপদ কেড়ে নেওয়ায় আক্ষেপ চুন্নুর

মহাসচিব পদ থেকে অব্যাহতির পর প্রতিক্রিয়ায় মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, “আমি এমন কী অপরাধ করেছি যে প্রাথমিক সদস্যপদ পর্যন্ত কেড়ে নেওয়া হলো?” তিনি জানান, ১৯৮৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ১৯৮৭ সালে উপমন্ত্রী হন। “আমার রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই আমি পার্টির সঙ্গে জড়িত। আমি যখন মন্ত্রী, জিএম কাদের তখন একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ডেপুটি ম্যানেজার ছিলেন।”

তিনি বলেন, “জিএম কাদেরের একমাত্র যোগ্যতা হলো তিনি এরশাদের ভাই। তাকে নেতা মেনে কাজ করেছি। আজ আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছেন।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, পার্টির অভ্যন্তরীণ আর্থিক হিসাবের কোনো স্বচ্ছতা নেই।

‘গঠনতন্ত্রের ২০(১)(ক) ধারা অগণতান্ত্রিক’
চুন্নু বলেন, “এই ধারায় চেয়ারম্যানের হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এরশাদ নিজেও এই ধারার মাধ্যমে একাধিকবার জিএম কাদেরকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন।”

ঐক্যের ডাক
সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, “জাতীয় পার্টি ছোট হতে হতে আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। সবাইকে বের করে দিয়ে জিএম কাদের দলকে সংকটে ফেলেছেন। এখন সময় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার।”

উপস্থিত নেতারা:
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন—মুজিবুল হক চুন্নু, কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সাইদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, এটিইউ তাজ রহমান, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রতনা, জহিরুল ইসলাম জহিরসহ কেন্দ্রীয় ও সিনিয়র নেতারা।

দ্বন্দ্বের সূত্রপাত
জাতীয় পার্টির কাউন্সিল স্থগিত করাকে কেন্দ্র করেই দলের অভ্যন্তরীণ সংকটের সূচনা। ২৮ জুনের জন্য নির্ধারিত সম্মেলনের ভেন্যু বাতিল করে চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। এরপরই জিএম কাদের সম্মেলন স্থগিত করেন। এর প্রতিবাদে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও রুহুল আমিন হাওলাদার এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তকে “অগণতান্ত্রিক” বলেন এবং কাকরাইলে বিকল্প সম্মেলনের ঘোষণা দেন।

দাবি: সম্মেলনের মাধ্যমে সমাধান
সংবাদ সম্মেলনের শেষ পর্যায়ে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, “আমরা কাউন্সিলের মাধ্যমে জাতীয় পার্টির সব সমস্যার সমাধান চাই। দলকে রক্ষা করতে হলে অবিলম্বে সম্মেলনের আয়োজন জরুরি।”

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়