মনিরুল ইসলাম: ফিলিস্তিন ও ইরানে চলমান ইসরায়েলি ও মার্কিন হামলার প্রতিবাদে বাংলাদেশে একদিন সংহতি দিবস পালনের আহ্বান জানিয়েছে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এই আহ্বান জানান। তিনি অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা ও ইরানে সামরিক হামলা বন্ধের দাবি জানান এবং এই আক্রমণকে আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন ও বর্বর সন্ত্রাসী তৎপরতা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
সাইফুল হক বলেন, “গাজায় চালানো গণহত্যা চলমান থাকা অবস্থায় ইরানে মার্কিন-ইসরায়েলি যৌথ সামরিক হামলা মধ্যপ্রাচ্যকে চরম অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ হামলার পেছনে রয়েছে পুরো আরব অঞ্চলে তাদের একচ্ছত্র রাজনৈতিক, সামরিক ও অর্থনৈতিক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা।”
তিনি বলেন, “মার্কিন সামরিক ও রাজনৈতিক মদতেই ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যে একটি আগ্রাসী সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। আরব বিশ্বের বিভাজনের সুযোগ নিয়ে তারা নিজেদের অপ্রতিরোধ্য শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চায়।”
বক্তব্যে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান, ইসরায়েলের আগ্রাসন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং যুদ্ধাপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া তিনি ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করার দাবি জানান।
সাইফুল হক বলেন, “আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি—ফিলিস্তিন ও ইরানের জনগণের সাথে সংহতি প্রকাশে একদিন ‘সংহতি দিবস’ ঘোষণা করুন।”
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর কমিটির আয়োজনে এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক। বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, কেন্দ্রীয় সদস্য সাইফুল ইসলাম, আবুল কালাম, মীর রেজাউল আলম, জামাল সিকদার ও বাবর চৌধুরী।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ঢাকা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
বক্তারা আরও বলেন, ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন বন্ধ করা না গেলে ফিলিস্তিনসহ পুরো আরব বিশ্বে শান্তি ফিরবে না। অবিলম্বে এই আগ্রাসন বন্ধে বিশ্ববাসী ও শান্তিকামী দেশগুলোর দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।