শিরোনাম
◈ মানবিক করিডর আসলে কী, বিশ্বের কোথায় কতটা কার্যকর? ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ কি আসন্ন, হুঙ্কার-পাল্টা হুঙ্কার ◈ ব্রাজিলের কোচ হওয়ার স্বপ্ন সফল হ‌লো না আনচেলত্তির, রিয়াল মা‌দ্রিদেই থাক‌তে হ‌চ্ছে ◈ বাংলাদেশে বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আগ্রহী চীন ◈ উপদেষ্টা আসিফের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ, ব্যানার কেড়ে নেয়ায় ওসির গায়ে হাত তুলতে তেড়ে আসেন বিক্ষোভকারীরা (ভিডিও) ◈ আজ মহান মে দিবস ◈  নতুন আইন হচ্ছে  র‍্যাবকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার ঠেকাতে ◈ চলতি মাসে ২৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৬০ কোটি ৭৬ লাখ ডলার ◈ মন্ত্রিপরিষদকে নির্বাচন কমিশনের ১২ প্রস্তাব ◈ বগুড়ায় সারজিসের উপস্থিতিতে এনসিপি-বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দফায় দফায় সংঘর্ষ

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৫০ সকাল
আপডেট : ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৬:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাজার দুই হাত হারানো শিশুর ছবি তুলে বিশ্বকে চমকে দিলেন ফিলিস্তিনি আলোকচিত্রী

পার্সটুডে- ফিলিস্তিনি আলোকচিত্রী সামার আবু এলোফ ২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। গাজার এক পঙ্গু ফিলিস্তিনি শিশুর হৃদয়বিদারক ছবি তুলে তিনি এই সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার বাস্তবতা ও মানবিক সংকটকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে এই ছবি।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ছবিটিকে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার’ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আর ঐ ছবিতে দেখা যায়, দুই হাত হারানো মাহমুদ আজজুর নামের এক নয় বছরের ফিলিস্তিনি শিশুকে। ঐ ফিলিস্তিনি শিশুর দুই হাতই গাজা সিটিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বোমার আঘাতে ছিন্ন ও বিকৃত হয়ে গেছে। এই ছবি বিশ্ববাসীকে আলোড়িত করেছে, যা আরও একবার গাজার মানবিক সংকট এবং ফিলিস্তিনিদের দুঃসহ বাস্তবতা আন্তর্জাতিক মঞ্চের সামনে নিয়ে এসেছে।

ফটোসাংবাদিক আবু এলোফ বলেন, মাহমুদ আজজুরের মা আমাকে যেসব কষ্টের কথা বলেছিলেন, তার মধ্যে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ছিল- যখন মাহমুদ বুঝতে পারে তার হাত নেই, তখন সে তার মাকে প্রথম বলেছিল; ‘আমি তোমাকে কীভাবে জড়িয়ে ধরবো মা?’

আলোকচিত্রী সামার আবু এলোফ নিজেও গাজার বাসিন্দা ছিলেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ার পর তিনিও গাজা থেকে সরে যান। বর্তমানে তিনি কাতারের দোহায় অবস্থান করছেন। সেখানে আশ্রিত গুরুতর আহত ফিলিস্তিনিদের জীবন সংগ্রামের চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করছেন।

ফিলিস্তিনি আলোকচিত্রী সামার আবু এলোফ আমস্টারডামে তার ছবির প্রদর্শনীতে হাসি-খুশি হননি। সামার আবু এলোফ বলেন, ছবিটি তোলার সময় তিনি তার চার সন্তানের কথা ভাবছিলেন, বিশেষ করে সবচেয়ে ছোট সন্তানের কথা। ঐ সন্তানের বয়স ১২ বছর।

ফিলিস্তিনের গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরাইলের নারকীয় হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে ২০ হাজারের বেশি শিশু শহীদ হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও হাজার হাজার শিশু।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়