শিরোনাম
◈ যেতে বসেছে ঐতিহ্যবাহী গরুর গাড়ি ◈ আই‌সি‌সির টি-‌টো‌য়ে‌ন্টি বো‌লিং র‍্যাঙ্কিংয়ে সেরা দশে মোস্তাফিজ ◈ ঢাকায় পি‌সি‌বির সভাপ‌তি, ভারত ও শ্রীলঙ্কা ছাড়াই বৃহস্প‌তিবার  শুরু হ‌চ্ছে এসিসির সভা ◈ মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ২২ মরদেহ হস্তান্তর ◈ সচিবালয়ে হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ১২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা ◈ ধেয়ে আসছে মহামারি, সতর্কতা জারি করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ◈ ক্ষে‌পে গে‌লেন রমিজ রাজা, বাংলাদেশের কাছ থেকে পাকিস্তানকে শিখতে বললেন  ◈ বেনাপোল ইমিগ্রেশনে মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি গ্রেফতার ◈ আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রধান উপদেষ্টাকে আরো কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান ১৩ রাজনৈতিক দল-জোটের নেতারা ◈ মাইলস্টোন স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় হতাহতের তালিকা প্রস্তুত করতে স্কুল কর্তৃপক্ষের কমিটি গঠন

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:৫০ সকাল
আপডেট : ১৭ জুলাই, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গাজার দুই হাত হারানো শিশুর ছবি তুলে বিশ্বকে চমকে দিলেন ফিলিস্তিনি আলোকচিত্রী

পার্সটুডে- ফিলিস্তিনি আলোকচিত্রী সামার আবু এলোফ ২০২৫ সালের ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। গাজার এক পঙ্গু ফিলিস্তিনি শিশুর হৃদয়বিদারক ছবি তুলে তিনি এই সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার বাস্তবতা ও মানবিক সংকটকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে এই ছবি।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) ছবিটিকে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অব দ্য ইয়ার’ স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আর ঐ ছবিতে দেখা যায়, দুই হাত হারানো মাহমুদ আজজুর নামের এক নয় বছরের ফিলিস্তিনি শিশুকে। ঐ ফিলিস্তিনি শিশুর দুই হাতই গাজা সিটিতে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর বোমার আঘাতে ছিন্ন ও বিকৃত হয়ে গেছে। এই ছবি বিশ্ববাসীকে আলোড়িত করেছে, যা আরও একবার গাজার মানবিক সংকট এবং ফিলিস্তিনিদের দুঃসহ বাস্তবতা আন্তর্জাতিক মঞ্চের সামনে নিয়ে এসেছে।

ফটোসাংবাদিক আবু এলোফ বলেন, মাহমুদ আজজুরের মা আমাকে যেসব কষ্টের কথা বলেছিলেন, তার মধ্যে সবচেয়ে হৃদয়বিদারক ছিল- যখন মাহমুদ বুঝতে পারে তার হাত নেই, তখন সে তার মাকে প্রথম বলেছিল; ‘আমি তোমাকে কীভাবে জড়িয়ে ধরবো মা?’

আলোকচিত্রী সামার আবু এলোফ নিজেও গাজার বাসিন্দা ছিলেন। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে যুদ্ধের তীব্রতা বাড়ার পর তিনিও গাজা থেকে সরে যান। বর্তমানে তিনি কাতারের দোহায় অবস্থান করছেন। সেখানে আশ্রিত গুরুতর আহত ফিলিস্তিনিদের জীবন সংগ্রামের চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করছেন।

ফিলিস্তিনি আলোকচিত্রী সামার আবু এলোফ আমস্টারডামে তার ছবির প্রদর্শনীতে হাসি-খুশি হননি। সামার আবু এলোফ বলেন, ছবিটি তোলার সময় তিনি তার চার সন্তানের কথা ভাবছিলেন, বিশেষ করে সবচেয়ে ছোট সন্তানের কথা। ঐ সন্তানের বয়স ১২ বছর।

ফিলিস্তিনের গাজায় ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরাইলের নারকীয় হামলা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত সেখানে ২০ হাজারের বেশি শিশু শহীদ হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরও হাজার হাজার শিশু।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়