শিরোনাম
◈ ভারতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরে আপত্তি মোদি সরকারের! ◈ উনি ক্লাসে বাজে ঈঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার পাশাপাশি বডি শেমিং করেন ◈ এবার নিউ ইয়র্ক মেয়রপ্রার্থী মামদানিকে গ্রেপ্তারের হুমকি ট্রাম্পের!, তীব্র প্রতিক্রিয়া ◈ বউ পেটানোয় শীর্ষে খুলনা ও বরিশালের মানুষ: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (ভিডিও) ◈ ক‌ষ্টের জ‌য়ে ক্লাব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনা‌লে রিয়াল মা‌দ্রিদ ◈ দুপু‌রে এ‌শিয়ান কাপ বাছাই‌য়ে স্বাগ‌তিক মিয়ানমা‌রের বিরু‌দ্ধে লড়‌বে বাংলাদেশ নারী দল ◈ প্রথম ওয়ান‌ডে ম‌্যা‌চে মুশফিক-রিয়াদের জায়গায় খেলবেন লিটন দাস ও মিরাজ ◈ জুলাই অভ্যুত্থানের সেই ঐক্য কোথায়? ◈ ব্রিটিশদের ‘নাকানিচুবানি’ দিতে ইরানের এক দশকের ‘ছায়া যুদ্ধ’: যেভাবে চলছে যুক্তরাজ্যের ভেতরে গোপন তৎপরতা ◈ চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনার জাকির হোসেন বরখাস্ত, আরও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা

প্রকাশিত : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০১:১৪ রাত
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০১:১৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পুঁজিবাদ এবং সমাজতন্ত্রে কী পার্থক্য 

আহসান হাবিব

আহসান হাবিব: [১] একটা পণ্য তৈরি করতে পুঁজিবাদ যা ব্যবহার করে, সমাজতন্ত্রেও ঠিক একই জিনিস ব্যবহৃত হয়। তাহলে এই দুই ব্যবস্থার পার্থক্য কোথায়? ভোগে। [২] একটি পণ্যের মূল্যে উদ্বৃত্তমূল্য ধারিত থাকে। কারণ একটা পণ্য বানাতে শ্রমশক্তির যে মূল্য অর্থাৎ মজুরি দেয়া হয়, তা উসুল হয়ে যায় সময় শেষ হওয়ার আগেই। ধরা যাক একজন পুঁজিপতি ৮ ঘণ্টার জন্য মজুর ভাড়া করলো। দেখা গেলো ৪ ঘণ্টায় তার জন্য প্রদেয় মূল্য উসুল হয়ে গেলো বানানো পণ্যে। বাকি ৪ ঘণ্টা পুঁজিপতি ফাও পেয়ে যায় কিন্তু সেই ৪ ঘণ্টায় সে যে পণ্য বানিয়ে নেয় মজুর কর্তৃক, তার জন্য কোনো মূল্য দেয় না, এই মূল্যটাই পণ্যের মধ্যে থেকে যায়। বাজারে পুঁজিপতি এটা বিক্রি করে দামে। মূল্য কিন্তু একই থাকে। এখন সে যদি তার মূল্যেই পণ্য বিক্রি করে, উদ্বৃত্তমূল্য সে ঠিকই পাবে। এটাই তার মুনাফা। এই মুনাফাটা সে মজুরকে দেয় না, সে নিজে আত্মসাত করে। তবে সবটা সে আত্মসাৎ করতে পারে না। কারণ এর পেছনে সে উৎপাদন শক্তির পেছনে যে পুঁজি বিনিয়োগ করেছে, তাদের জন্য উদ্বৃত্তমূল্য থেকে তা উসুল করতে হয়। ধরুন পুঁজিপতি কারখানা বানিয়েছে, বিবিধ যন্ত্র কিনেছে, আরও অনেক কিছু ব্যয় করেছে, তাদের জন্য উদ্বৃত্তমূল্যের কাছে একটা পাওনা আছে। পুঁজিপতি এখানে থেকেই সেটা উসুল করতে থাকে।

(আমাদের দেশের বামপন্থীরা এই উৎপাদনক্ষম পুঁজির জন্য কোনো বরাদ্দ রাখতে চায় না। তারা সবটাই মুজরকে দিয়ে দিতে চায়, ফলে গোটা উৎপাদন ব্যবস্থাটাকেই খেয়ে ফেলে ফতুর হয়ে বাঁচার জন্য কলকব্জা খেতে শুরু করতে চায়। বঙ্গীয় এসব বামপন্থিদের দারিদ্র্যের দার্শনিকতার জন্যই আজ তারা বিলোপের দিকে যাত্রা করেছে। রক্ষণশীলতা এবং সাম্প্রদায়িকতার উত্থানের পেছনে এরা নিজেদের দায়ী না করে পুঁজিবাদ তথা একবার আওয়ামী লীগ একবার বিএনপিজামাতকে দুষতে থাকে)। পুঁজিপতি যে উদ্বৃত্তমূল্য আত্মসাৎ করে তার একটা অংশ তার ভোগে ব্যয় করে আর মজুর ব্যয় করে যা সে মজুরি হিসেবে পায়। এই মজুরিটা হচ্ছে এমন পরিমাণ যা দিয়ে সে শুধু জীবনটাকে রক্ষা করে আর পুঁজিপতি ভোগ করে দেহের জন্য নয়, মনের আনন্দের জন্য যার পরিমাণ অনেক বেশি। অর্থাৎ ভোগ হয়ে পড়ে ব্যক্তিগত। পুঁজিবাদের দ্বন্দ্বটা এখানেই যা সমাজতন্ত্র ভেঙে দিতে চায়।
[৩] সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা তাহলে উদ্বৃত্তমূল্য দিয়ে কী করে? একটা জিনিসই করে আর তা হলো ভোগের সামাজিকীকরণ। অর্থাৎ সব মানুষ ভোগ করবে একই, কেউ বেশি বা কম নয়। তার মানে এই নয় যে প্রতিটি মানুষ শ্রম দেবে একই। দক্ষতা এবং শ্রমবিভাজন এখানেও ক্রিয়াশীল কিন্তু ভোগ সমান। কেন? কারণ এখানে ব্যক্তিগত মুনাফা লাভের সুযোগ নেই। সমাজতন্ত্র এই জিনিসটাই করে- ব্যক্তিগত সম্পত্তির বিলোপ। অনেকে মনে করে সমাজতন্ত্র মানেই গরিবী, ভুল। সমাজতন্ত্র মানে উন্নত জীবন তবে সকলের জন্য একই মাত্রার। পুঁজিবাদ এবং সমাজতন্ত্রে পার্থক্যটা এখানেই। লেখক: ঔপন্যাসিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়