খোন্দকার মেহেদী আকরাম: বিশ্বরাজনীতিতে আমেরিকা এখন বিতর্কিত এবং তাদের আর আগের মতো বেল নেই। আমেরিকার শাসানি বা হুমকি ধামকিতে বাংলাদেশের কিছুই হবে না। বাইডেনের চেয়ে হাসিনা বড় খিলাড়ী। সুতরাং খেলা হবে। দিস ইজ অ্যা সেইম দ্যাটÑ এই যুগে এসেও আমেরিকা অন্য স্বাধীন এবং সার্বভৌম একটি দেশের উপর খবরদারি করে। আমেরিকা তো নিজের মানুষদেরই সুরক্ষা দিতে পারে না। পৃথিবীর ধনী দেশ হয়েও নিজ দেশের সুবিধা বঞ্চিত মানুষেদের বাসস্থান ও স্বাস্থসেবা নিশ্চিত করতে পারে না। আগ্নেয়াস্ত্র এবং ড্রাগস রাস্তার প্রতিটি কোনায় কোনায়। স্কুল বা শপিংমলে গুলি শুরু হয়ে যায় যেকোন সময়।
সরকারের ঋণ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। দেখলাম সিনেট বাড়তি লোনের জন্য নতুন বিল পাস করছে, কারণ বাড়তি ঋণ ছাড়া এবার সরকার নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। ঋণ করে বাইদেন প্রশাসন বিলিয়ন বিলিয় ডলার দিচ্ছে ইউক্রেনে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য। আমেরিকানরা রাজনীতি সচেতন না। তা না হলে তারা কখনোই সরকারের এসব কর্মকাণ্ড মেনে নিতো না। বাইডেন শারীরিক এবং মানসিক ভাবে এখন সম্পূর্ণ আনফিট। তাহলে দেশটি চলছে কার পরামর্শে? পররাষ্ট্রনীতিগুলোই বা নেওয়া হচ্ছে কার ইচ্ছার ভিত্তিতে? আমেরিকা এখন চলছে এক অদৃশ্য শক্তির ইশারায়। একটা কু-প্রভাব দেশটিকে আচ্ছন্ন করে রেখেছে। নতুন জেনারেশনের ২০ শতাংশ মানুষকে এলজিবিটি+ দলের অন্তর্ভুক্ত করে ফেলেছে সরকারের পলিসিগত পৃষ্ঠপোষকতা।
সম্প্রতি ডেলোয়ার স্টেটের এক পলেটিশিয়ান কাউন্সেলর রাইয়ান ওয়েব দেখলাম হঠাৎ নিজেকে ট্রান্সজেন্ডার দাবি করে বসেছে। শুধু তাই নয়, সাদা পুরুষ হয়েও সে নিজেরে একজন কালো মহিলা (ওম্যান অফ কালার) হিসেবে দাবি করছে। আরেক স্টেটের স্কুলে দেখলাম বাইবেল ব্যান করা হয়েছে কারণ বাইবেলে নাকি ভালগার পর্নোগ্রাফিক কন্টেনট রয়েছে। এভাবেই চলছে দেশটির নৈতিক মূল্যবোধ। সামাজিক অবকাঠামতে ক্ষয় ধরেছে। বাংলাদেশে কোনো কুপ্রভাব নেই। বিরোধীদলের ব্যর্থতাই বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রধান কারণ। দুর্নীতি বাংলাদেশে নতুন কিছু না। দেশ থেকে দুর্নীতি এতো সহজে যাবে না।
আমেরিকার উচিত বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক না গলিয়ে নিজের দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের দিকে মনোযোগী হওয়া। বাংলাদেশের মানুষ এবং বর্তমান সরকার আমেরিকার দুরভিসন্ধিকে রুখে দেবে এবারও যেভাবে তাদের রুখে দেওয়া হয়েছিলো ১৯৭১ সালে। লেখক: জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ