মো. সামসুল ইসলাম: যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা পলিসি পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় যে তাদের পাবলিক পলিসি বা ফরেন পলিসি কতটুকু গবেষণা বা চিন্তাভাবনার ফসল। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর থিংকট্যাংক এবং বুদ্ধিজীবীরা এসব পলিসি প্রণয়ন করেন, যা বাস্তবায়িত করেন সে দেশের রাজনীতিবিদ্গণ এবং সরকার। যতদূর জানি, ব্রুকিংস ইন্সটিটিউশনের গবেষণাতো ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানরা উভয়েই ব্যবহার করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাটো ইন্সটিটিউটের কথাও বলা যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের ইন্সটিটিউট ফর ফিসকাল স্টাডিজ বা ব্রাসেলসে সেন্টার ফর ইউরোপীয়ান পলিসি স্টাডিজ পলিসি মেকারদের ভালো ইনপুট দেয়ার জন্য তো সুপরিচিত।
বাংলাদেশের কথা আর কী বলবো। নির্বাচন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের বক্তব্য নিয়ে তো হাসাহাসি কম হলো না। র্যাবের স্যাংশনের পরেও কিছু শিক্ষকদের বক্তব্যে পুরো জাতি হতাশ হয়েছে। তাদের এ ধরনের বক্তব্যে সরকার, রাজনৈতিকদলগুলো বিভ্রান্ত হয়। আমি দেশের ডেমোক্রাটাইজেশন বা ডেমোক্রেটিক ডেফিসিট নিয়ে সাম্প্রতিক গবেষণা খুঁজতে গিয়ে পাইনি। রাজনীতিবিদরা কোথা থেকে ইনপুট পাবেন? আমি নিজে একটা সরকারি থিংক ট্যাংকে দীর্ঘদিন কাজ করেছি। কী ধরনের পলিসি প্রেসক্রিপশন দিতে হবে অনেকেই তা বুঝতো না। ফরেন কন্সাল্টেন্সি করতে গিয়ে সে সময় সেটা তার চরিত্রই হারিয়ে ফেলেছিলো।
সাম্প্রতিক নতুন ভিসা নিয়েও অনেক তথাকথিত বিশেষজ্ঞ (সবাইকে বলছি না) টকশোতে হড়বড় করে যা বলছে তা সরকার, রাজনৈতিক দল এবং জাতিকে বিভ্রান্ত করবে মাত্র। ভুল বার্তা দিচ্ছেন এসব হঠাৎ গজিয়ে উঠা আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশেষজ্ঞরা। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের কোনও বই না পড়ে, দুকলম না লিখে তারা বিশেষজ্ঞ বনে গিয়েছেন। এমনকি তারা অনেক প্রোপাগান্ডা বিচার-বিশ্লেষণ ছাড়াই গ্রহণ করছেন। তাদের এসব উল্টোপাল্টা কথাবার্তা জাতির জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। লেখক: চেয়ারম্যান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, স্টেট ইউনিভার্সিটি, ঢাকা