নিয়ন মতিয়ুল: ফলাফল ঘোষণার ঘণ্টা কয়েক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক প্রার্থীকে কাল্পনিকভাবে জিতিয়ে দেওয়া হয়। এরপর অভিনন্দন জানানোর পোস্ট হু হু করে বেড়ে যায়। তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিপরীত চিত্র দেখা যায়। ব্যাপকভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠেন নেটিজেনরা। ছড়িয়ে পড়া পোস্টগুলোকে তারা ‘গুজব’ বলে ব্যাপকভাবে প্রচারণা শুরু করেন। সোশ্যাল মিডিয়ার এই ফাঁদে দুর্ভাগ্যজনকভাবে নিজেদের আটকে ফেলে অনবরত প্রশ্ন করার বদলে সিস্টেমের আফিমে বুঁদ হওয়া কিছু দৈনিক (দ্বিতীয় সংস্করণবিহীন)। সরকারি বা বেসরকারি ফলাফল হাতে পাওয়ার আগেই তারা সেই প্রার্থীকে জিতিয়ে দিয়ে লিডনিউজ করে বসে। খানিক পরেই যা ভাইরাল করে বসেন নেটিজেনরা।
এসব নানা নাটকীয়তা শেষে বলাই যায়, গাজীপুর সিটি নির্বাচন ছিলো সব পক্ষের জন্য কঠিন পরীক্ষা। যাতে শেষ অবধি বিলম্বে ফলাফল দেয়ার জন্য হেরেছে ইভিএম। একইসঙ্গে পরাজিত হয়েছে প্রচলিত ধারণার গতিজড়তায় আটকে থাকা কিছু গণমাধ্যম। আর স্মার্টলি জিতেছে মূলত সোশ্যাল মিডিয়া তথা প্রতিমুহূর্তের নির্বাচনী আপডেট ছড়িয়ে দেয়া, ওয়াচডগের ভূমিকায় থাকা নেটিজেনরা।
অবশ্য মূলধারার প্রথম সারির নিউজ মিডিয়াগুলোর ভূমিকা ছিলো অনেকটা ‘উত্তেজনা নয়, মাথা ঠাণ্ডা’। কারণ প্রধান/বড় প্রতিপক্ষের অনুপস্থিতিতে সিটির লড়াই ছিলো মূলত স্বগোত্রের মধ্যেই। গুজব ছড়ানো অভিনন্দনের পোস্ট নামিয়ে তাই লেখা হয়, ‘জিতলেও লাভ, না জিতলেও লাভ’। লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক