শিরোনাম
◈ আইপিএল আয়োজনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে আরব আমিরাত ◈ ভারত আসবে না বাংলাদেশ সফরে, হবে না এশিয়া কাপও ◈ এপ্রিলে  ১০১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে বিজিবি ◈ ঐক্যবদ্ধ শাহবাগ বিএনপির অপেক্ষায়: সারজিস আলম ◈ জনআকাঙ্খা ও রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে আওয়ামী লীগের বিষয়ে সুচিন্তিত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জনতা পার্টি বাংলাদেশের ◈ ভারত-পাকিস্তান তৃতীয় দিনের মতো সংঘর্ষে জড়ালো, যুদ্ধাবস্থা সীমান্তজুড়ে ◈ 'আপ বাংলাদেশ' নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মের আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ ◈ দেশে অনলাইন জুয়া সর্বগ্রাসী হয়ে উঠেছে: অনলাইনে জুয়া বন্ধে কঠোর হচ্ছে সরকার ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ (ভিডিও) ◈ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধের ডাক হাসনাতের (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৯ মে, ২০২৩, ০৪:০৭ সকাল
আপডেট : ২৯ মে, ২০২৩, ০৪:০৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি কি মাঠে মারা গেলো!

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী: ২৫ মে মধ্যরাত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন একটি টুইট বার্তা প্রকাশ করেন। তাতে তিনি লেখেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নিতে আমি আজ নতুন একটি ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির অধীনে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা ব্যক্তি এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবো’। তার এই ঘোষণায় যেটি স্পষ্ট করা হয়েছে, তা হচ্ছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বাধা প্রদান করবে তাকে বা তাদের পরিবারকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার ভিসা প্রদান নাও করতে পারে। এক্ষেত্রে  ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ধারা ২১২(এ) (৩)(সি)  প্রয়োগ করা হবে। অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের টুইটটি প্রচারিত হওয়ার পরই বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবেই আলোড়ন সৃষ্টি করে দেয়। সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন পত্র-পত্রিকা এবং পরবর্তী সময়ে প্রিন্ট মিডিয়ায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খবর হিসাবে ছাপা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যে যার মতো করে কল্পিত ব্যাখ্যা দেওয়া শুরু করে দেয়। সরকারকে স্যাংশন দেওয়ার খবরও অনেকেই প্রচার করতে থাকেন কারণ অল্পকদিন আগেই একটি জাতীয় পত্রিকায় মার্কিন স্যাংশন আসছে বলে আগাম প্রতিবেদন ছাপা হয়। সেই প্রতিবেদন নিয়ে এমনিতেই গণমাধ্যমগুলো কয়েকদিন ধরে শোরগোল পাকিয়ে যাচ্ছিলো। বিশেষ করে টিভি টকশোতে সরকার বিরোধীরা এমনটিই হবে বলে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিলেন, অপরদিকে সরকার সমর্থক আলোচকদের বরাবরই এর বিরোধিতা করতে দেখা গেছে। অবশেষে, যখন টুইটারের মাধ্যমে বার্তাটি প্রচারিত হলো তখনই বিরোধী শিবিরে উল্লাসের ভাব কিছুটা বেশিই লক্ষ করা গেছে। সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী টুইটারের বক্তব্যকে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে সরকারের অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি বিপক্ষে নয় এমনটিই মতপ্রকাশ করেছেন। সাংবাদিকরা জানতে চাওয়ায় এটি ছিলো তার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া। 

২৫ তারিখে মার্কিন দূতাবাসে ঢাকাস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূত আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির দু’জন করে প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানান। রাষ্ট্রদূত ৩ দলের ৬ জন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধিদের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর টুইট বার্তার বিষয়বস্তু ব্যাখ্যা করেন এবং প্রতিনিধিদের ব্যখ্যা শোনেন। গণমাধ্যম থেকে আমরা নেতৃবৃন্দের দেওয়া বক্তব্যগুলো জেনেছি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী দাবি করেছেন যে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা এতোদিন যে আন্দোলন করে আসছিলেন সেটি এই কথার মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে। জাতীয় পার্টির মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, নতুন ঘোষিত মার্কিন ভিসানীতিতে যা বলা হয়েছে তাতে তাদের কোনো আপত্তি নেই। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনাকালে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি কোনো একক দলের জন্য প্রযোজ্য নয়, কাউকে টার্গেট করে এটি করা হয়নি’। রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠকে নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ও ব্যখ্যা জানার পরেও দলীয়ভাবে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার সময় বিএনপির বক্তব্যে তাদের আন্দোলনের দাবিদাওয়ার বাইরে তেমন কোনো বিশেষত্ব এই আলোচনায় উঠে আসেনি। তবে রাজনীতি সচেতন যেকোনো মানুষই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর টুইট বার্তার বিষয়বস্তু ও এর পরিধি সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়ার কথা। বিশ্লেষকগণ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে এর প্রকৃত বার্তাটি বুঝে নিতে খুব বেশি অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে যেহেতু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এমন একটি বার্তা এসেছে যেখানে ভিসা পাওয়া না পাওয়ার সম্ভাবনা জড়িয়ে রয়েছে, তাই বিষয়টি নিয়ে স্বার্থসংশ্লিষ্টদের নানারকম হিসাবনিকাশ থাকতে পারে। কিন্তু সোজাভাবে দেখলে এই বার্তায় বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করতে যে বা যারাই বাধা প্রদান করবে তাদের বা তাদের পরিবারের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রাপ্তির বিষয়টি সেই দেশের কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে। তারা ভিসা দিতেও পারেন, নাও দিতে পারেন; ভদ্রভাষায় এমনটিই বলা হয়েছে। 

এই টুইট বার্তাটি নিয়ে একটি রাজনৈতিক বিশ্লেষণে আমার ধারণা, রাজনৈতিক দলগুলো প্রকাশ্যে যাই বলুক টুইটের অন্তর্নিহিত বার্তাটি তাদের বুঝার বাইরে নয়। তারপরেও এটিকে নিয়ে কেউ কেউ দলীয় রাজনীতি করতেই পারেন। সে প্রবণতা দেখাও যাচ্ছে। দলীয় অবস্থানকে ধরে রাখার জন্য নানা রকম কথাবার্তা বলার সংস্কৃতি আমাদের এখানের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিরাজ করছে। অনেক সময় সত্যকে অস্বীকার করা, মেনে না নেওয়া, বাস্তবতাকে নিজেদের মতো করে প্রচার করার মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করার  প্রাণান্তকর চেষ্টা অনেকে করেই থাকেন। মানুষকে বিভ্রান্ত করে অনেকে লাভবানও হন। অতীতে নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা গেছে, জয়লাভও করা সম্ভব হয়েছে। নির্বাচনে অপপ্রচারের শিকার আমাদের দেখা মতে আওয়ামী লীগের চাইতে বেশি কোনো দল হয়নি। এমনকি বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রাক্কালে দেশে ভারত বিরোধিতার ঢেউ তুলে দেওয়ার চেষ্টা কম হয়নি। অনেক বড় বড় রাজনীতিবিদরাও তথ্যপ্রমাণ ছাড়া বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে ন্যূনতম বিবেক খরচ করেননি। বেশকিছু পত্রিকাও এর সঙ্গে সুর মিলিয়েছিলো। সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রাক্কালে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের চরিত্র হনন, কল্পিত লুটপাটের অর্থ সম্বলিত প্রচারণা, ধর্মবিরোধী রাজনীতি, ভারত বিরোধিতা ইত্যাদি গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো। অথচ একাত্তরের অনেক ঘাতক, লুটপাটকারী, রাজাকার বাহিনীর কমান্ডার, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বড় ধরনের বিরোধিতাকারী ব্যক্তিদের বিশাল বহর বিভিন্ন নির্বাচনে অনায়াসেই বিজয়ী হয়ে গেছেন। 

রাজনীতিতে এরকম অনেকেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, মন্ত্রী, এমপি, মেয়র, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বার হয়েছেন, অন্যদিকে মুক্তিযোদ্ধাদের কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছিলো অপপ্রচারের মাধ্যমে। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের প্রাক্কালে ধর্মীয় ইস্যু, ভারতের সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তিকে গোলামীর চুক্তি ইত্যাদি শহর, গ্রাম, বন্দরে এমনভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিলো যে সাধারণ ভোটারদের অনেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে ঢুকে যাওয়ার খোয়াবই যেন দেখতে পাচ্ছিলো। ্অনেকে বিসমিল্লাহ্ চলে যাওয়ার আওয়াজও শুনতে পাচ্ছিলো। পরের নির্বাচনগুলোতেই মসজিদে উলুধ্বনি শোনার কথাও বলা হয়। এ ধরনের অপপ্রচার বাংলাদেশে যেন একটি নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন অপপ্রচারে ছেয়ে  যাওয়া তথাকথিত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেন সমাজ বিরোধী যোগাযোগ মাধ্যমে পরিণত হচ্ছে। অসংখ্য তরুণ, যুবক এবং সাধারণ মানুষও এইসব অপপ্রচারে গা ভাসিয়ে দিচ্ছে। এর ফলে দেশে রাজনৈতিক সচেতনতা, দেশপ্রেম, আদর্শবোধ, যুক্তিবাদ, নীতি-নৈতিকতা এবংআধুনিক মননশীলতার ভয়াবহ অভাব সমাজে সর্বত্র বিস্তৃত হতে দেখা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি গণতন্ত্রের জন্য মোটেও সহায়ক নয়। 

বাংলাদেশে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা এবং না করা নিয়ে অনেককিছুই বাহ্যিকভাবে বুঝা যাবে না। দেশে নামসর্বস্ব অনেক দল ও ব্যক্তিকে নির্বচনের প্রাক্কালে ঘুরাঘুরি করতে দেখা যায়। সুস্থ রাজনৈতিক বিকাশের পথে এটি এখন একটি মস্তবড় অন্তরায়। এসব ব্যক্তি রাজনীতির কোকিল সেজে কাঁকের বাসায় ডিম পারার অপেক্ষায় থাকে। এরাই বড় কোনো দলের পেছনে এসে জোট বাঁধে। নির্বাচনে তারা আসন ও নানা ধরনের সুবিধা লাভের উদ্দেশ্যেই এসব করে থাকে। এসব নানা সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশের রাজনীতি ও দল নির্বাচনের প্রাক্কালে নানা হিসাব নিকাশ ভেতরে ভেতরে কষতে থাকে। একসময় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার ফর্মুলা উদ্ভাবন করা হয়েছিলো। ১০ জন অনির্বাচিত ব্যক্তিকে ১০ জায়গা থেকে ১ জায়গায় করে ৩ মাসের জন্য একটি সরকার বানিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো গুরুদায়িত্ব তাদের উপর অর্পণ করা হয়েছিলো। এটি একটি অবাস্তব, অগণতান্ত্রিক এবং ইউটোপিও ধারণা ছিলো তা প্রথম থেকেই ধীরে ধীরে প্রমাণিত হতে থাকে। ২০০৬-০৭ সালে দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে পরেছিলো। পরে দেশের সর্বোচ্চ আদালত, সুপ্রিম কোর্ট এই ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রায় প্রদান করলে সংবিধান সংশোধন করে পূর্ব ব্যবস্থায় ফিরে যাওয়া হয়। নির্বাচন কালীন সরকার ব্যাবস্থাটি সংসদে নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে ২০১৩ সালে ঠিক করার একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু বিরোধীরা তাও মেনে নেয়নি। নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার একটি তান্ডবচিত্র তখন দেখা গিয়েছিলো। ফলে নির্বাচনটি সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। 

২০১৮ সালের নির্বাচনে বিরোধীদল জোট গঠন এবং নির্বাচনে প্রার্থীর মনোনয়ন নিয়ে একটি লেজেগোবরে অবস্থায় ছিলো। সরকারি দলের অভ্যন্তরে বিরোধীদের অবস্থান নিয়ে নিজেদের অবস্থান পাকাপাকি করার প্রবণতা ছিলো। ফলে সেই নির্বাচন নিয়ে কিছু প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এখন অনেকগুলো নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহত করার প্রেক্ষিতেই দেশে ও বিদেশে নির্বাচন সুষ্ঠু করার আলোচনা উঠছে। নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা ২০১৪ সালকে স্মরণ করিয়ে দেয়। সে কারণে আগামী নির্বাচনে যেন ২০১৪ সালের পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেই ভাবনাই সবাইকে তাড়িত করছিলো। অথচ, বিএনপির মতো বড় রাজনৈতিক দল স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে নির্বাচন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়াটাই স্বাভাবিক। ২০১৪ সালেও তা-ই ঘটতো। কিন্তু প্রতিহত করার চেষ্টার ফলেই নির্বাচনটি প্রত্যাশিত মানে হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন যে বার্তাটি দিয়েছে তাতে নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা, বাধা না দেওয়া এবং বিতর্কিত না করারই একটি স্বতঃসিদ্ধ উপায় হিসাবে তারা বিবেচনা করেছে বলে মনেহয়। সেদিক থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়ে আন্দলন করা, মাঠ গরম করা কিংবা নির্বাচন প্রতিহত করার দাবির যৌক্তিকতা অন্তত তারা দেখেন না। 

এখন বাহ্যিকভাবে যে যাই বলুক আগামী নির্বাচনে নির্বচন কমিশনের আইন, বিধি অনুযায়ী অংশগ্রহণ করা হলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতে বাধা থাকার কোনো কারণ নেই। কেউ যদি ব্যত্যয় ঘটান নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারীরা নিশ্চয়ই বসে থাকবেননা। বিদেশেও সেই তথ্যপ্রমাণ চলে যেতে পারে তখন শুধু মার্কিনিরাই নয়, অন্যরাও যে শর্ত আরোপ করতে ছাড়বেনা সেটি তো অনুমান করাই যাচ্ছে। এখন নিজেদেরই উচিত নিজেদের সামাল দেওয়া, পথে আনা। পরিচিতি : শিক্ষক ও কলামিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়