শিরোনাম
◈ সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ    ◈ শপথ নিলেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ◈ ভিসানীতি কার্যকরের উদ্দেশ্য সুষ্ঠু নির্বাচন, আবারও জানালো যুক্তরাষ্ট্র ◈ মধ্যরাতে পাপনের বাসায় জরুরি বৈঠকে সাকিব-হাথুরু ◈ আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফাইনাল খেলা: ওবায়দুল কাদের ◈ গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে সরকারের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে: রিজভী ◈ আমিন বাজারে মঞ্চ ভাংচুর, বিএনপির সমাবেশ স্থগিত ◈ বিশ্বে সহিংসতাপ্রবণ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ২২ ও যুক্তরাষ্ট্র ৫০তম ◈ এশিয়ান গেমসে পাকিস্তানকে হারিয়ে ব্রোঞ্জ জিতলো বাংলাদেশ নারী দল ◈ ডেঙ্গু সংকটে নতুন শঙ্কা জলাবদ্ধতা, নিয়ন্ত্রণে সজাগ ডিএনসিসি: সেলিম রেজা

প্রকাশিত : ০১ এপ্রিল, ২০২৩, ১২:৪১ রাত
আপডেট : ০১ এপ্রিল, ২০২৩, ১২:৪১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নূরে আলম সিদ্দিকী এবং তাঁর বাসায় আতিথ্য গ্রহণ

মিরাজুল ইসলাম

মিরাজুল ইসলাম: মেডিকেল কলেজ জীবনে আমরা সমসাময়িক কয়েকজন ছাত্রনেতা পরিচয়ে যথেষ্ট পরিমাণে ‘বেয়াদব’ এবং ‘দুষ্ট’ ছিলাম। অন্য কারও নাম উল্লেখ করবো না। নিজেরটা বলি। সেই সময় ১৯৯৩ সালে ছাত্রাবস্থায় ছাত্র আন্দোলনের নামে অনেকের মনে কষ্ট দিয়েছি। তার মধ্যে একজন ছিলেন বর্ষীয়ান নেতা চার খলিফার এক খলিফা নূরে আলম সিদ্দিকী। তিনি ছিলেন চট্টগ্রামে ইউএসটিসির (বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়) সিন্ডিকেট মেম্বার। তখন মেডিকেল শিক্ষার বিভিন্ন দাবিতে ইউএসটিসির প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় অধ্যাপক ডা. নূরুল ইসলামের বিপক্ষে আন্দোলন করছিলাম। একপর্যায়ে মীমাংসার জন্য নূরে আলম সিদ্দিকী আমাদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসেন। তাঁকে আমরা এক নামে চিনতাম, সমীহ করতাম। কিন্তু এটাও বলেছিলাম, আমাদের দাবি পূরণ না হলে তাঁকেও ছাড় দেব না। তাই করেছিলাম। আমাদের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মাঝে দাবি পূরণ না হওয়ায় মূল একাডেমিক ভবনে নূরে আলম সিদ্দিকীসহ অন্যান্য সিন্ডিকেট সদস্যদের কয়েক ঘণ্টা আটকে রেখেছিলাম। কিন্তু আমাদের সাহসিকতায় নূরে আলম সিদ্দিকী অত্যন্ত প্রীত হয়েছিলেন। মাইন্ড করেননি। লোহার কলাপসিবল গেটের ভেতর থেকে আপোস করার ভঙ্গিতে বলেছিলেন, বাবারা, তোমাদের সাহস দেখে আমার নিজের যৌবনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। আমিও তোমাদের মতো সাহসী অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। আমি তোমাদের কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ। এখন দয়া করে গেটটা খুলে দাও, প্লেন ধরে ঢাকায় যেতে হবে, লেট হয়ে যাচ্ছে। 

যতদূর মনে পড়ে, নূরে আলম সিদ্দিকীকে সম্মান দেখিয়ে সেদিনের মতো আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম। এর পুরস্কার হিসেবে সেই আন্দোলনের সকল ছাত্রনেতাদের তিনি ঢাকায় নিজ বাসায় দাওয়াত দিয়েছিলেন। আমরা দল বেঁধে তাঁর আতিথ্য গ্রহণ করেছিলাম। সেটা আরেক মজার অভিজ্ঞতা। আমার অল্প দিনের চেনা সেই নূরে আলম সিদ্দিকী নিভৃতে মৃত্যুবরণ করলেন। আমি তাঁর অতীতকেই চিনতাম, বর্তমান-ভবিষ্যৎ কিছুই জানতাম না। তাই বহুদিন পর আবার এই নামটা মনে পড়লো। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে চার খলিফার একজন ছিলেন তিনি। 
 লেখক ও চিকিৎসক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়