শিরোনাম

প্রকাশিত : ৩০ মার্চ, ২০২৩, ১২:৪৪ রাত
আপডেট : ৩০ মার্চ, ২০২৩, ১২:৪৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু এবং ‘এক্সট্রাজুডিশিয়াল কিলিং’

মনজুরুল হক

মনজুরুল হক: প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছাবাণী, ‘লবিস্টের সুফল’ হিসাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ‘মডারেট ক্লিনচিটই’ হয়তো স্যাঙ্কশনের কারণে থেমে থাকা ‘এক্সট্রাজুডিশিয়াল এক্টিভিটিজ’ ফের শুরু। নওগাঁর ভূমি দপ্তরের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনকে মামলার আগেই গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব এবং জিজ্ঞাসাবাদের সময় তার মৃত্যু হয়েছে। র‌্যাবের ভাষ্য-তার মৃত্যু হয়েছে স্ট্রোকে। আগের কেসগুলোর মতো এই কেসেও উচ্চ আদালত র‌্যাব হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদকারীদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চেয়েছেন। দেশের সাধারণ মানুষ জানে, এর পরে কী কী ঘটতে পারে। এই যে ‘আগের কেসগুলোর মতো’ বলছি, তার কারণ এর আগে অনেকবারই উচ্চ আদালত এইভাবে প্রতিবেদন চেয়েছে। প্রায় প্রত্যেকবারই শেষ পর্যন্ত কী হয়, তা সাধারণ মানুষ জানতে পারেনি। শুধু দেখেছে, ‘ক্রসফায়ারের’/‘জিজ্ঞাসাবাদের সময় মারা যাবার’ ঘটনায় র‌্যাবের দোষ নেই।

পত্র-পত্রিকার খবরে জানা যাচ্ছে, একজন যুগ্ম সচিবের দায়েরকৃত অভিযোগে সুলতানাকে গ্রেপ্তার করেছিলো র‌্যাব। সেই যুগ্ম সচিব যখন বলছেন, ‘আমার উপস্থিতিতেই র‌্যাব তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে’ তখন এইসব তদন্ত, তলব, পুনঃতদন্ত শেষে কী দাঁড়াবে সেটা অনুমেয়। মানবাধিকার সংগঠনগুলোর ‘রুটিন ওয়ার্ক’ দুদিনেই স্তিমিত হবে হয়তো। যে কথাটা ২০০৪ সালে সত্য এবং এখন আরও বেশি করে সত্য, তাহলো ‘এক্সট্রাজুডিশিয়াল কিলিং’ বা ‘ক্রসফায়ার’ কিংবা ‘বন্দুকযুদ্ধ’তে মৃত্যু কখন ঘটাতে হয়? যখন সরকার এবং রাষ্ট্র ভিকটিমকে প্রচলিত আইনে সাজা দিতে পারে না বা নির্মূল করতে পারে না, তখন। এই ‘সিস্টেম’ আর স্বাধীন আদালতের বিচারিক সিস্টেম যখন কোনো দেশে একই সমান্তরালে চলে সেখানে ন্যায়বিচার আশা করা দুরাশা। সে কারণেই হয়তো সুলতানার আত্মীয়রা কারও বিরুদ্ধে মামলা করবে না জানিয়েছে। পুনশ্চ: ২০০৮ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইসতেহারের একটি অন্যতম অঙ্গীকার ছিলো, ‘আমরা ক্ষমতায় গেলে র‌্যাব বিলুপ্ত করা হবে’।
 লেখক ও ফ্রিল্যান্স জার্নালিস্ট

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়