শিরোনাম
◈ সকালে উঠেই এক লিটার পানি পান: কতটা উপকারী? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? ◈ তারেক-জুবাইদার দুর্নীতির মামলায় ‘ত্রুটিপূর্ণ বিচার’, পূর্ণাঙ্গ রায়ে খালাস হাইকোর্টে ◈ বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই তরুণীকে নিয়ে যা বললেন আহমাদুল্লাহ (ভিডিও) ◈ জুলাই স্মরণে ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে ফের প্রকম্পিত ঢাবি (ভিডিও) ◈ পর্যাপ্ত অর্থ ও হোটেল বুকিং না থাকায় কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে ৯৬ বাংলাদেশি আটক ◈ বাড়ির নিচতলায় গ্যারেজে বসে চোখের পানি ফেলছেন, ছেলের বিরুদ্ধে মাকে বাড়িতে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ ◈ ইংল‌্যা‌ন্ডের লর্ডসে ডুবলো ভার‌তের রণতরী, সিরিজে এ‌গি‌য়ে গে‌লো ইং‌রেজরা ◈ কানাডার টরন্টো শহরে ইসকনের রথযাত্রায় ডিম নিক্ষেপ, ঘটনায় ভারতের গভীর উদ্বেগ (ভিডিও) ◈ একটি দল লম্বা লম্বা কথা বলা ছাড়া সুকৌশলে চাঁদা ও হাদিয়া নেওয়া ছাড়া কোনো কাজ করে না: মির্জা আব্বাস ◈ শাপলা প্রতীক নিয়ে রাজনীতিতে নতুন বিতর্ক!

প্রকাশিত : ২৮ মার্চ, ২০২৩, ০১:৫০ রাত
আপডেট : ২৮ মার্চ, ২০২৩, ০১:৫০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমার ‘স্যার’ এবং ‘ম্যাডাম’ বৃত্তান্ত

আনিস আলমগীর

আনিস আলমগীর: কাউকে স্যার বলতে আমার কোনো সমস্যা হয়নি এবং হয় না। সরকারি কর্মকর্তাকে স্যার বলবো না, এটাও আমার কখনো মনে হয়নি। তিনি আমার বাপের চাকর নয় যে স্যার বললে আমার মানইজ্জত চলে যাবে। আবার সরকারি কর্মকর্তাকে স্যার বলিনি, এটাতেও কেউ আমার উপর কখনো জীবনে রাগ করেননি। স্যার বলেছি, বলি, আর অহরহ ভাই বলি। এখন পরিচয় বয়সের কারণে অনেককে তুমিও বলি। তবে শিক্ষকদের ছাড়া ঢালাওভাবে আমি স্যারও বলি না। মূলত আমার স্যার সম্বোধন মন থেকে আসে, ছোটবেলা থেকেই এই কালচারে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। শিক্ষকদের স্যার বলা আমাদের সনাতনী কালচার। আমি আমার সব শিক্ষককে স্যার-ম্যাডাম-আপা বলেছি। এমনকি আমার থেকে অনেক কম বয়সী একজন আইটি শিক্ষককেও আমি স্যার বলেছি। আমি আমার কর্মস্থলে মালিক শ্রেণির প্রতিনিধিদের স্যার বলেছি, বড় কর্মকর্তাকে স্যার বলেছি। কেউ আমার কাছে ডিমান্ড করেননি। আমার অস্বাভাবিক বা অস্বস্তিও লাগেনি। 

আবার আজকের কাগজের মালিক, সম্পাদক কাজী শাহেদ আহমেদকে পুরো অফিস স্যার ডাকলেও আমি ভাই ডাকতাম। ১৯৯২ সালে পত্রিকার ভেতরে পরিবর্তনের মধ্যে তিনি সম্পাদক হলেন, সিংহভাগ সাংবাদিক কর্মচারী বাহির থেকে আসলো, সবাই উনাকে স্যার ডাকতেন। একমাত্র সাংবাদিক আমি-উনাকে ভাই ডাকতাম, এখনো ডাকি। আবার বৈশাখীতে হেড অফ নিউজ থাকাকালে এমডি কেএম শহীদুল্লাহকে সবার সামনে আমি স্যার ডাকতাম। কিন্তু পার্সোনাল আলাপে ভাই ডাকতাম। কারণ তিনি আমার এলাকার বড় ভাই ছিলেন, বড় ভাইয়ের সঙ্গে একসঙ্গে পড়তেন। ছোট ভাই হিসেবেই তিনি আমাকে স্নেহ করেন। আবার কর্মসূত্রে পদবির কারণে আমার থেকে বড়রাও আমাকে স্যার ডেকেছে। ভাই ডাকে। আমার কখনো কানে লাগেনি। এগুলো আমার কাছে ইস্যু মনে হয়নি। তবে হেল্পিং স্টাফরা ভাই বললে হয়তো কানে লাগতো, যদিও কেউ আমাকে বলেনি বা বলে না। শিক্ষাঙ্গনে স্যার শব্দ শোনাটা অতি স্বাভাবিক ব্যাপার। আমার শিক্ষার্থীরা আমাকে স্যার ডাকে, ডাকতো। আমি কখনো বলিনি যে আমাকে স্যার ডাকবে না, যদিও দুই একজন শিক্ষক তাদের ভাই ডাকতে বলতেন বলে শিক্ষার্থীরা ভাই ডাকতো। আমার সহকর্মীরাও আমাকে স্যার ডাকতেন, নাম ধরে ডাকতেন।

পেশাগত কারণে আমাকে আমার প্রতিষ্ঠানের বাইরের শিক্ষার্থী কিংবা মিডিয়ার নন-জার্নালিস্টরাও স্যার ডাকেন। এক্ষেত্রে আমি অনেককে না করি। মাঝে মাঝে অনেকে প্রশ্ন করেন, আপনাকে কী নামে সম্বোধন করব, এক্ষেত্রেও বিপদে পড়ে যাই। নাম ধরে ডাকতে বললে তারা আপত্তি করে। যাহোক, স্যার বলা নিয়ে মানুষ যে কেন এতো ইগোতে ভোগে আমি জানি না। আর কতিপয় ব্যক্তি কতো ছোটলোক এবং ইতর ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড হলে, বিসিএস পাস করে চাকরি পেয়েছে বলে তাকে সবাই স্যার ডাকতে হবেÑ এই মেন্টালিটি ধারণ করে, সেটাও ভাবতে পারি না (অনেকে ভুল বুঝতে পারেন, সবাই এই মেন্টালিটির নয়)। লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়