শিরোনাম

প্রকাশিত : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০২:৫৪ রাত
আপডেট : ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩, ০২:৫৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আমি কী জানতে চাই বাংলা একাডেমির কাছে?

কাজী এম মোরশেদ

কাজী এম মোরশেদ: বইমেলায় বা পুস্তকমেলা যেইটাই বলেন, আদর্শ প্রকাশনীকে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। কারণ হিসাবে একটা বইয়ের কথা বলা হয়েছে, ‘বাঙালির মিডিওক্রিটির সন্ধানে’। বইটা কি নিষিদ্ধ? বই নিষিদ্ধ করার অধিকার আছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। বাংলা একাডেমি একটা নামে স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, যে বিশাল জায়গা দখল করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসে আছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন। অতএব উত্তর না, বাংলা একাডেমি বই নিষিদ্ধ করার অধিকার রাখে না। বই নিষিদ্ধের যে আইন তাতে কি নিষিদ্ধ করতে পারে? 

মেলা সংক্রান্ত আইনে বলা আছে, স্টলে কোনো ‘নিষিদ্ধ’ বই বিক্রয় করলে তার স্টল বাতিল হবে। যখন স্টলই দিতে দেয়নি, তখন স্টলে বিক্রি কীভাবে হয়? আমি কেন বলছি? আদর্শ প্রকাশনী লেখকের ও পাঠকের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেন। স্টল বরাদ্দ না দেওয়াও ৩০০ লেখকের ৬০০ বই বিক্রি বন্ধ। এটা ৩০০ লেখককে নিষিদ্ধ করা। আমি তার একজন। আসলে কি নিষিদ্ধ করেছে? নামেই দেখেন। বাংলা একাডেমি একটা প্রকাশনী নিষিদ্ধ করেছে যার নাম আদর্শ প্রকাশনী। মূলত যা নিষিদ্ধ করেছে তাহলো আদর্শ। এর মধ্যে পরিষ্কার বুঝিয়েছে জনগণের আদর্শ থাকা চলবে না। আপনার হয় আদর্শহীন হয়ে বাঁচতে হবে, না হলে আপনার অন্যের মতাদর্শ নিয়ে বাঁচতে হবে, এর বাইরে জায়গা নেই। 
আমি কি চাই? আমি বইমেলায় কেন স্টল দেওয়া হলো না জানতে চাই না। আমি জানতে চাইÑ [১] গত ৫ বছরে বাংলা একাডেমি কী কী কাজ করেছে, কতোটা গবেষণা প্রকাশ করেছে। [২] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই জায়গা নিয়ে কতো লোক কাজ করে, সরকারের মোট খরচ কতো হয়। [৩] এই একাডেমির বার্ষিক খরচের হিসাব জানতে চাই, বাজেট, আয়, ব্যয় এবং মেলা থেকে আয়, সেটা খরচের খাত। যে সব কমিটি করা হয়, মিটিং খরচ, সব হিসাব জানতে চাই। বাংলা একাডেমির সততা থাকলে পুরো বাজেট এবং একাউন্ট স্টেটমেন্ট জনসম্মুখে প্রচার করুক। ফেসবুক থেকে 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়