মুশফিক ওয়াদুদ: গত চার দলীয় সরকারের আমলে জামায়াত এবং শিবিররে বহু নেতাকর্মী রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় গিয়েছিলেন। এখনও হয়তো আছেন। এদের বেশ বড় অংশ ছিল চূড়ান্ত প্রতারক। অনেক ক্রেতাই খুবই অসন্তুষ্ট ছিলেন জামায়াত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট কোম্পানি নিয়ে, তাদের কাছ থেকে এপার্টমেন্ট, জমি কিনে । এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ছিল পিংক সিটি জেনোভ্যালির চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে। সাংবাদিক থাকতে ক্রেতাদের বেশ কয়েকটি সংবাদ সম্মেলন কাভার করেছি। একবার এক সংবাদ সম্মেলনে এক ক্রেতা ইন্টারেস্টিং একটি কথা বলেছিলেন যেটা সংবাদে লিখতে পারিনি। ভদ্রলোক ছোটখাট একটি ব্যবসা করতেন। কিশোরগঞ্জে পৈত্রিক জমি বিক্রি করে পিংক সিটিতে জমি কিনেছিলেন। বললেন, তিনি জামায়াতকে পছন্দ করতেন।
পিংক সিটির মালিকদের বুজুর্গ ভাব থেকে জমি কিনেছিলেন। আরো বললেন, আগে চাইতেন জামায়াত একবার ক্ষমতায় আসুক। জামায়াত সংশ্লিষ্ট এক ব্যবসায়ীর কাছে প্রতারিত হয়ে তাঁর মনে হয়েছে জামায়াতের ক্ষমতার কাছাকাছি যাওয়া উচিত না কখনো। ‘এরা মিষ্টি মিষ্টি কথা বলে পাবলিকের ১২ টা বাজায় দিবে’, বলেছিলেন তিনি। এখন পিংক সিটি জেনোভ্যালির কি অবস্থা জানি না। লেখক ও গবেষক